Suvendu on Anubrata: কেষ্ট রাজ্যসভায় যাবে কী, ও তো নাম লিখতেও জানে না, পড়তেও জানে না; উলুবেড়িয়ায় কটাক্ষ শুভেন্দুর

Suvendu Adhikari: উলুবেড়িয়ায় শুভেন্দু বলেন, "মমতা ব্যানার্জি পিছন ঘুরে দেখবেন, তোমার কথাতে তোমার ববি, অরূপও থাকবে না।"

Suvendu on Anubrata: কেষ্ট রাজ্যসভায় যাবে কী, ও তো নাম লিখতেও জানে না, পড়তেও জানে না; উলুবেড়িয়ায় কটাক্ষ শুভেন্দুর
অনুব্রত মণ্ডলকে কটাক্ষ শুভেন্দু অধিকারীর।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 15, 2022 | 8:13 PM

হাওড়া: রবিবারই বেহালায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। কেন্দ্রীয় সরকার নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করে ‘এজেন্সি’গুলিকে ব্যবহার করছেন বলে দাবি করেন তিনি। মঞ্চের সামনে উপস্থিত দলীয় কর্মী সমর্থকদের সরাসরি প্রশ্ন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, “কী ভয় লাগছে? কাল যদি আমার বাড়িতে যায় আপনারা কী করবেন? রাস্তায় নামবেন তো? গণতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করবেন তো? আমারটা আমি একাই লড়ে নেব। কিন্তু আপনাদেরটা আপনাদের লড়ে নিতে হবে তো?” তৃণমূল সুপ্রিমোর এই বক্তব্যের পাল্টা সোমবারই সুর চড়ান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিছনে কেউই থাকবেন না। সেই দিন খুব সামনেই আসছে।

এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আমি আপনাদের বলি, এখন সবে ভোর ৬টা। অপা সিন্ডিকেট ধরা পড়েছে। কেষ্ট গেছে, ভাইপোর সময় আসছে। প্রস্তুতি নিন, তৈরি হোন। মমতা ব্যানার্জি কাল বলেছেন, ‘সিবিআই আমার বাড়িতে আসবে, তোমরা নামবে তো’? মমতা ব্যানার্জি পিছন ঘুরে দেখবেন, তোমার কথাতে তোমার ববি, অরূপও থাকবে না। তোমার পিছনে কেউ থাকবে না। সেই দিনটা আসছে। তাই জোট বাঁধুন, তৈরি হোন। সামনের দিন জোর লড়াই। ‘২৪-এ একসঙ্গে ভোট। রাষ্ট্রবাদী সরকার তৈরি হবে। তেরঙ্গা যাত্রার জন্য পুলিশের অনুমতি লাগবে না। সেদিন সামনেই আসছে।”

রবিবার অনুব্রত মণ্ডলের হয়েও প্রশ্ন তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কী কারণে কেষ্টকে গ্রেফতার করা হল, তা জানতে চান তিনি। অনুব্রতর নির্মোহ মনোভাব বোঝাতে তৃণমূল সুপ্রিমোকে বলতে শোনা গিয়েছিল, “আমি একদিন কেষ্টকে জিজ্ঞাসা করলাম, তুই তো কিছুই চাস না। ওকে এমএলএ হতে বলুন, হবে না। ওকে এমপি হতে বলুন হবে না। আমি ওকে অনেকবার বলেছি, রাজ্যসভায় যা।” উলুবেড়িয়ার অনুষ্ঠান থেকে মমতার সেই বক্তব্যের পাল্টা শুভেন্দু বলেন, “যিনি মাগুর মাছ বিক্রি করতে করতে কয়েক হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছেন, তাঁর আত্মকথা শোনালেন। ‘কেষ্টকে রাজ্যসভাতে পাঠাতে চাইলাম, গেল না।’ যাবে কী করে? কেষ্ট তো নাম লিখতেও জানে না, পড়তেও জানে না। আর এটা স্বাধীনতা দিবসের বক্তব্য? প্রধানমন্ত্রীকে তুই বলছে। তারপর তো আমাকে যা বলেছে, তার উত্তর আমি ঠিক সময়ে সুদ আসলে দিয়ে দেব।”