Road Accident: সেজেগুজে বাবার সঙ্গে বেরোল ছেলেটা, ঘরে ফিরবে কাচের গাড়িতে চেপে? এ কেমন সপ্তমী এলো…

Howrah: পাড়ায় পাড়ায় উৎসবের মেজাজ। ছোট ছোট বাচ্চারা মা, বাবার হাত ধরে প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ওদেরই তো পুজো।

Road Accident: সেজেগুজে বাবার সঙ্গে বেরোল ছেলেটা, ঘরে ফিরবে কাচের গাড়িতে চেপে? এ কেমন সপ্তমী এলো...
পথদুর্ঘটনায় মৃত্যু শিশুর।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 02, 2022 | 2:27 PM

হাওড়া: সপ্তমীর সকালে বিষাদের সুর ধামশিয়ার ঘোষ বাড়িতে। রবিবার সকাল সকাল ছেলে ও ভাইঝিকে নিয়ে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। বাইকে ছেলে, ভাইঝিকে বসিয়ে প্যান্ডালে প্যান্ডালে ঘোরার পর বাড়ি ফিরছিলেন। পাঁচলার কাছে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে জমা জল কাটাতে গিয়ে লরির ধাক্কায় পড়ে যান। ছেলে, ভাইঝি নিয়ে ছিটকে পড়েন মিন্টু ঘোষ নামে ওই ব্যক্তি। লরির চাকা পুরো পিষে দেন ১০ বছরের ছেলে সিদ্ধার্থ ঘোষকে। কাকার সঙ্গে ভাইঝি স্মৃতি ঘোষকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে। এদিকে এই ঘটনার পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ এলে তাদের ঘিরে ধরেন এলাকার লোকেরা। পরে পাঁচলা থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

পাড়ায় পাড়ায় উৎসবের মেজাজ। ছোট ছোট বাচ্চারা মা, বাবার হাত ধরে প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ওদেরই তো পুজো। ওদের হাসিমুখেই সব দুঃখ ভুলে যান বাড়ির বড়রা। কিন্তু রবিবার সকালে যা ঘটল তাতে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে সিদ্ধার্থের বাড়ির লোকের। ছোট্ট চনমনে ছেলেটা সেজেগুজে দিদির হাত ধরে বাবার বাইকে চেপে ঠাকুর দেখতে বেরোল, আর ফিরবে নাকি কাচের গাড়িতে চড়ে! ভাবতে পারছেন না স্থানীয়রা। গলার কাছে কান্না দলা পাকিয়ে উঠছে প্রত্যক্ষদর্শীদেরও। গুরুতর আহত অবস্থায় মিন্টু ও স্মৃতিকেও স্থানীয় বাসিন্দারা গাববেড়িয়া হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছেন।

এদিকে এই ঘটনার পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার লোকেরা। এই মুহূর্তে জাতীয় সড়কে জল জমে রয়েছে। আর সেই জমা জলে ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটেই যাচ্ছে। অভিযোগ, জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের এসব নিয়ে কোনও হেলদোল নেই। তাঁরা জানান, বারো মাসই এই পথ মরণ ফাঁদ। প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ আসতেই তাদের ঘিরে ধরে অভিযোগ উগরে দেন এখানকার বাসিন্দারা।

রানা ঘোষ নামে মিন্টুদের গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, “আমাদের গ্রামেরই বাসিন্দা মিন্টু ঘোষ তাঁর ছেলে ও ভাইঝিকে নিয়ে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিল। পাঁচলা বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে এই জল কাটাতে গিয়েই বিপদটা ঘটে। দীর্ঘদিনের এই জল জমার সমস্যা। বারবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি। কিন্তু ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে জল জমার সমস্যার কোনও সমাধান হয়নি। এই জল কাটাতে গিয়েই লরির তলায় পড়ে পিষ্ট হয়ে যায় বাচ্চা ছেলেটা। ঘটনাস্থলেই মারা যায়। ভাইঝিও গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি।”