Crime: ঘরের ভিতর লাইট,পাখা,টিভি সব চলছে কিন্তু সাড়া মিলছে না কারও! পুলিশ এসে দরজা ভাঙতেই হতবাক সকলে

Uluberia: স্বামীর সঙ্গে বর্তমানে তাঁর ডির্ভোসের মামলা চলছিল। ওই একই বাড়িতে স্বপ্নাদেবীর সঙ্গে থাকতেন তাঁর বৃদ্ধা শাশুড়ি মীরা চন্দ্র ।

Crime: ঘরের ভিতর লাইট,পাখা,টিভি সব চলছে কিন্তু সাড়া মিলছে না কারও! পুলিশ এসে দরজা ভাঙতেই হতবাক সকলে
এই বাড়িতেই শাশুড়িকে নিয়ে থাকতেন স্বপ্না চন্দ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 15, 2021 | 4:53 PM

হাওড়া: নবমীর রাত। আলো ঝলমলে গোটা রাজ্য। প্রায় প্রত্যেকেই ব্যস্ত পুজো মণ্ডপে (Durga puja) ঘুরে ঠাকুর দেখতে। এরই মধ্যে কখন যে অঘটন ঘটে গেল উলুবেড়িয়ার (Uluberia) একটি পরিবারে কেউ টেরই পেল না। বাড়ির মধ্যে থেকে রহস্যজনকভাবে উদ্ধার হল এক মহিলাকে। মৃত আরও এক মহিলা। গোটা এলাকায় মাটি হয়ে গিয়েছে পুজোর আনন্দ। ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য ।

ঘটনাস্থান উলুবেড়িয়ার নোনা (Nona) এলাকা। পরিবার সূত্রে খবর, মৃত মহিলার নাম স্বপ্না চন্দ্র (Sapna Chandra)। পেশায় তিনি উলুবেড়িয়া হাসপাতালের (Uluberia Hospital) নার্স ছিলেন। অভিযোগ, স্বামীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কারণে স্বপ্নাদেবী আলাদা বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। স্বামীর সঙ্গে বর্তমানে তাঁর ডির্ভোসের মামলা চলছিল। ওই একই বাড়িতে স্বপ্নাদেবীর সঙ্গে থাকতেন তাঁর বৃদ্ধা শাশুড়ি মীরা চন্দ্র ।

জানা গিয়েছে, স্বপ্না দেবীর এক ছেলে ও এক মেয়ে । মেয়েটি আগেই মারা যায়। এদিকে ছেলের বাজারে বিশাল অঙ্কের দেনা করায় বাড়িতে প্রায় অনেক বছর ধরেই থাকে না।

দিদির খোঁজ নেওয়ার জন্য প্রায় প্রতিদিনই স্বপ্না চন্দ্রের ভাই (Brother) তাঁকে ফোন করতেন। গতকালও তার অন্যথা হয়নি। কিন্তু একাধিকবার ফোন করেও মেলেনি কোনও উত্তর। এরপরই সন্দেহ হয় তাঁর। পুরো বিষয়টি তিনি জানান প্রতিবেশীকে। পাশের বাড়ির বাসিন্দারা এসে অনেকক্ষণ ডাকাডাকির পরও কোনও সাড়া শব্দ না পাওয়ায় তারা উলুবেড়িয়া থানার পুলিশকে (Uluberia police station) খবর দেয়। পুলিশ (Police) ঘটনাস্থানে এসে দরজা ভেঙে দেখে রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে রয়েছে স্বপ্না দেবী। অন্যদিকে মীরা চন্দ্র বেঁচে থাকলেও তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তৎক্ষনাত তাঁকে উলুবেড়িয়া হাসপাতালে (Uluberia Hospital) ভর্তি করা হয়।

হাসপাতালে শুয়েই পরে মীরা চন্দ্র (Mira Chandra) পুলিশকে (Police) জানায়, ভিতরে কয়েকজন অপরিচিত লোক ঢুকেছিলেন তাদেরকে ঠিক চিনতে পারেননি তিনি। তারপরই এই ধরনের ঘটনা। আর বিশেষ কিছুই বলতে পারেননি ওই বৃদ্ধা।

মৃত মহিলার ভাই বলেন, “আমার দিদিকে সন্ধে বেলা (Evening) থেকে ফোন করা হয়েছিল। কিন্তু কিছুতেই ফোন তুলছিল না। পরে পাশের এক ছেলেকে ফোন করে বিষয়টি জানাই। সে এসে দেখে ঘরের ভিতর লাইট, পাখা, টিভি সবকিছুই চলছে কিন্তু ভিতর তেকে কেউ কোনও সাড়া শব্দ করছে না। এরপর এলাকার লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। আমরাও চলে আসি। দরজা ভেঙে দেখি রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে দিদি আর দিদির শাশুড়ি। ধারালো কিছু দিয়ে কোপ মারা হয়েছে বলে আমাদের অনুমান। কিন্তু শাশুড়ি প্রাণে বেঁচে গেলেও দিদি আর নেই।”

ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।  পুলিশ ওই মহিলার ছেলের খোঁজ শুরু করেছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তাঁর স্বামীকেও এমনটাই খবর।

আরও পড়ুন: ১৪৫ ফুটের বেশি মণ্ডপকে অনুমতি কেন? শ্রীভূমির হাত ধরে মন খারাপের স্মৃতি ফিরল দেশপ্রিয় পার্কে