Dengue: ওদলাবাড়িতে নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৭, আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৫৩
Dengue: ইতিমধ্যে ২ হাজার মশারি ব্লক স্বাস্থ্য দফতরের হাতে এসে পৌঁছেছে। বুধবার থেকেই সেগুলো বিতরণ করা শুরু হয়েছে বাগ্রাকোটের শ্রমিক মহল্লায়।
ওলদাবাড়ি: উত্তরবঙ্গে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি বাড়াচ্ছে উদ্বেগ। বৃহস্পতিবারই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে এক ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। তার পরই ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগী হল স্বাস্থ্য দফতর ও স্থানীয় প্রশাসন। স্বাস্থ্য দফতরের উদ্বেগ বাড়িয়ে বাগ্রাকোটে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। পাথরঝোরা ও মানজিং বস্তিতেও ডেঙ্গি আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। যদিও পুরনো ৪৬ জন আক্রান্তের মধ্যে ২০ জন সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।
বৃহস্পতিবার সকালে মালের বিএমওএইচ দীপঙ্কর করের নেতৃত্বে স্বাস্থ্য দফতরের বিশেষ দল বাগ্রাকোট চা বাগানের বিডিআর বস্তি ও টপ লাইনের ৬০০ বাড়ির প্রতিটিতে ঘুরে ঘুরে নতুন করে পালস মোড সমীক্ষার কাজ শুরু করেছেন। ওদলাবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালের চিকিৎসকের উপস্থিতিতে শুরু হয়েছে বিশেষ ফিভার ক্যাম্পও। বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টো পর্যন্ত ক্যাম্পে নতুন করে ৪০ জনের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য মাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর। একই সঙ্গে পুরনো আক্রান্তদের মধ্যে ২০ জনের সুস্থ হওয়ার খবর মিলেছে।
ফিভার ক্যাম্প থেকেই আবার নতুন করে ২ জনকে ডেঙ্গির উপসর্গ সহ ভর্তি করা হয়েছে ওদলাবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে। ইতিমধ্যে ২ হাজার মশারি ব্লক স্বাস্থ্য দফতরের হাতে এসে পৌঁছেছে। বুধবার থেকেই সেগুলো বিতরণ করা শুরু হয়েছে বাগ্রাকোটের শ্রমিক মহল্লায়। অন্যদিকে মহকুমা ও ব্লক প্রশাসনের তরফেও বাগ্রাকোটের ডেঙ্গি পরিস্থিতি মোকাবিলায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু হয়েছে।
মালের মহকুমাশাসক পীযূশ ভাগনরাও শালুঙ্কে বলেছেন, “এলাকার প্রায় ৩০০ বাড়িতে সাফাই অভিযান চালানো হয়েছে। আগামী শুক্রবার আরও ৩০০ বাড়িতে এই অভিযান চলবে। মশা মারতে নিয়মিতভাবে ফগিং চলছে।“ এলাকায় কোথাও যাতে জল জমে থাকতে না পারে তা সুনিশ্চিত করতে প্রশাসনের তরফে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে মহকুমাশাসক জানিয়েছেন। উদ্বেগজনক এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় বসে নেই বাগান কর্তৃপক্ষও। বাগানের টপ লাইনে পরিত্যক্ত একটি জলাধারে মশার লার্ভা পাওয়া গিয়েছে জানতে পেরেই কংক্রিটের জলাধারটি জেসিবি মেশিন লাগিয়ে ভেঙে ফেলে দেওয়া হয়েছে। বাগানের এবং গ্রামের যে সমস্ত জায়গায় জল জমে রয়েছে, সেগুলিকে নষ্ট করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।