Murder in Jalpaiguri : ‘হাত বেঁধে দিদিকে ঝুলিয়ে দিল..’, আধো গলায় ভয়ঙ্কর ঘটনা শোনাল ৩ বছরের শিশু

Murder in Jalpaiguri : মৃত ছাত্রীর নাম নেহা ভাওয়াল (১৫)। তাঁর বাড়ি বানারহাটের সুকান্তপল্লি এলাকায়।

Murder in Jalpaiguri : ‘হাত বেঁধে দিদিকে ঝুলিয়ে দিল..’, আধো গলায় ভয়ঙ্কর ঘটনা শোনাল ৩ বছরের শিশু
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 28, 2023 | 9:17 PM

বানারহাট: দশম শ্রেণির ছাত্রীর রহস্যমৃত্যু বানারহাটে (Banarhat)। পরিবারের অভিযোগ, ছাত্রীর পরিচিত ৩ নাবালক রাতে বাড়িতে ঢুকে তাঁকে মেরে ঝুলিয়ে দিয়েছে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মৃতার ৩ বছরের ভাই। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে অভিযুক্ত তিন নাবালককে আটক করেছে বানারহাট থানার পুলিশ (Police)। ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার রাত ৯টা নাগাদ। শনিবার সকালে বিষয়টি জানাজানি হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়। মৃত ছাত্রীর নাম নেহা ভাওয়াল (১৫)। তাঁর বাড়ি বানারহাটের সুকান্তপল্লি এলাকায়। বানারহাট উচ্চমাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণিতে পড়ছিল সে। 

শুক্রবার রাতে তাঁকে বাড়িতেই ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। সেই সময় বাড়িতে শুধু তাঁর তিন বছরের ভাই ছিল বলে জানা যায়। সে স্পষ্টই জানিয়েছে শুক্রবার রাতে তিনজন ছেলে তাদের বাড়িতে ঢুকে প্রথমে তার দিদির হাত বেঁধে ফেলে। এরপর গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে দেয়। থানিক পড়ে বাড়িতে ফিরে আসে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। ঘটনার আকস্মিকতায় তাঁরা প্রথম বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন। তাঁদের চিৎকারে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। নাবালিকাকে উদ্ধার করে বানারহাট প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

ঘটনা প্রসঙ্গে মৃতার মা মাম্পি রাহা জানিয়েছেন, অনেকদিন ধরে তাঁর মেয়েকে উত্যক্ত করত ময়নাগুড়ির এক নাবালক। সেই ছেলেটিই গতকাল বানারহাটে এসেছিল। ঘটনার নেপথ্যে তাঁর হাত থাকতে পারে পুলিশের কাছে সন্দেহও প্রকাশ করেছেন তাঁরা। পরিবার ও প্রতিবেশীদের অভিযোগের ভিত্তিতেই ইতিমধ্যেই বানারহাট থানার পুলিশ তিন নাবালককে আটক করে। এদের মধ্যে দুজন  দশম শ্রেণির ছাত্র বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের বাড়ি বানারহাটেই। অপর একজনের বাড়ি ময়নাগুড়িতে। ঘটনায় বানারহাটের ধৃত ছাত্ররা জানাচ্ছে ময়নাগুড়ি ছেলেটির সঙ্গে ওই নাবালিকার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সেই সূত্রেই তাঁদের সঙ্গে ছেলেটির পরিচয় ছিল। তবে খুনের কথা অস্বীকার করেছে তারা। তাঁদের দাবি, ময়নাগুড়ির ছেলেটি রাতে তাদের সঙ্গে স্কুলের অনুষ্ঠানে থাকলেও ছাত্রীর মৃত্যুর সঙ্গে তারা জড়িত নয়। ঘটনায় অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দা সুজয় বসু বলেন, “আমরা দোষীদের ফাঁসি চাইছি। আগামীতে যাতে আর কেউ এই কাজ করার সাহস না দেখায় সে কারণেই আমরা এই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। পুলিশ-প্রশাসনকে এটা দেখতে হবে।”