
রাজগঞ্জ: এসআইআরের মূল পর্ব শুরু হতে না বতেই নানা প্রান্ত থেকে উঠেছে এসেছে একের পর এক অভিযোগ। এবার রাতের অন্ধকারে তৃণমূল কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে এনুমারেশন ফর্ম বিলির অভিযোগ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা রাজগঞ্জে। খবর পেয়ে বিএলও-কে ঘিরে ধরল বিজেপি কর্মীরা। অভিযোগ, যেখানে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফর্ম বিলি করার কথা, সেখানে রাতে ডাকা হচ্ছে এলাকার বাসিন্দাদের। তারপর বুথের কাছাকাছি এক জায়গায় বসে বিলি করা হচ্ছে ফর্ম।
এদিকে ফর্ম বিলির সময় বিএলও-র সঙ্গে থাকার কথা সব রাজনৈতিক দলের বিএলও-দের। বিজেপির অভিযোগ, তাঁদের দলের বিএলএ-কে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখেই পুরো কাজ করছেন বিএলও উৎপল রায়। সঙ্গে ছিলেন শুধু তৃণমূলের বিএলএ। গোটা ঘটনায় ক্ষোভ স্থানীয় বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্য কমল রায়। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ বিধানসভার কুকুরজান গ্রাম পঞ্চায়েতের পিপিলি পাড়া ১৮/১৬৮ নম্বর বুথে। তাতেই ব্যাপক চাপানউতোর জেলার রাজনৈতিক মহলে।
বৃহস্পতিবার রাতে যে সময় ফর্ম বিলি করা হচ্ছিল সেই সময় স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়তে দেখা যায় বিএলও-কে। ওই এলাকায় বিজেপির তরফে দলের বিএলএ হয়েছেন মধুসূদন রায়। তাঁর স্পষ্ট অভিযোগ, তাঁকে অন্ধকারে রেখেই ফর্ম বিলি শুরু হয়ে যায়। তাঁরা জানতে পেরে কথা বলতেও যান। তখনই বিএলও জানান রাত একটা পর্যন্ত তিনি ফর্ম বিলি করবেন।
যদিও অন্য কথা বলছে তৃণমূল। তৃনমূলের রাজগঞ্জের ব্লক সভাপতি অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “বিএলও কাউকেই ডাকবেন না। তিনি তাঁর কাজ করবেন। রাজনৈতিক দলগুলির যাঁরা বিএলএ রয়েছেন তাঁদেরই বিএলও-র সঙ্গে যোগাযোগ করে নিতে হবে। আমাদের দলের লোকেরা পুরো প্রক্রিয়া নিয়েই খুব অ্যাকটিভ রয়েছেন। তাঁরা যোগাযোগ করলে সময়টা জানতে পারেন।” বিএলও উৎপল রায় এতে কোনও ভুল খুঁজে পাচ্ছেন না। তিনি তাঁর সিদ্ধান্তেই অনড় রয়েছেন। তাঁর সাফ কথা, তিনি তাঁর কাজ সামলে রাতেই ফর্ম বিলি করবেন।