Jalpaiguri: ‘সমুদ্র চুরি করেছে তৃণমূল!’, বিজেপি সাংসদের মন্তব্যে তৃণমূল নেতা বললেন, ‘১০০ দিনের কাজে পশ্চিমবঙ্গ ভারত সেরা’
Jalpaiguri: বিজেপি নেতা বলেন, 'যতদিন না একশো দিনের কাজের টাকার সঠিক হিসাব রাজ্য সরকার দিতে পারবে ততদিন রাজ্যে টাকা আসবে না।'
জলপাইগুড়ি: পুকুর নয় গোটা সমুদ্র নাকি চুরি হয়েছে। এবার এমনই অভিযোগ করলেন বিজেপি সাংসদ। ‘জলপাইগুড়ি জেলায় একশো দিনের কাজে পুকুর নয় সমুদ্র চুরি হয়েছে। আর এজন্যই বন্ধ হয়েছে কেন্দ্রীয় টাকা আসা। যতদিন না একশো দিনের কাজের টাকার সঠিক হিসাব রাজ্য সরকার দিতে পারবে ততদিন রাজ্যে টাকা আসবে না।’ বিষয়টি নিয়ে এমনটাই দাবি জলপাইগুড়ি জেলার বিজেপি সাংসদ।
সাংসদের বক্তব্যের পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূল মুখপাত্র দুলাল দেবনাথের। তিনি হুমকি দিলেন, ‘অবিলম্বে টাকা না এলে শ্রমিকদের জনরোষে পড়তে পারেন সাংসদ সহ অন্যান্য বিজেপি নেতারা।’
কী ঘটেছে?
বুধবার জলপাইগুড়িতে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন বিজেপি সাংসদ ডাঃ জয়ন্ত কুমার রায়। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজ্যে একশো দিনের কাজের টাকা দেওয়া বন্ধ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর কারণ, একশো দিনের কাজে যে দুর্নীতি হয়েছে তাকে পুকুর নয়, সাগর চুরির সঙ্গে তুলনা করা যায়। জলপাইগুড়ি জেলায় সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে ব্যক্তিগত ছোট চা-বাগানে একশো দিনের কাজ করানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এই পরিস্থিতি রাজ্যের সর্বত্রই।’
সাংসদ আরও অভিযোগ করেন, ‘একশো দিনের কাজের খোঁজ খবর নিতে সম্প্রতি কেন্দ্র থেকে একটি দল তদন্ত করতে এসেছিল। তাঁদের দেওয়া তথ্যভিত্তিক রিপোর্টে পরিষ্কার উল্লেখ করা হয়েছে যে, একশো দিনের কাজে পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতি হয়েছে এই জেলা সহ গোটা রাজ্যে। রাজ্য সরকার এই প্রকল্পের সঠিক হিসেব দিতে না পারার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার অর্থ দেওয়া বন্ধ রেখেছে।’
ঘটনায় পালটা প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র তথা জলপাইগুড়ি জেলাপরিষদের সহ সভাধিপতি দুলাল দেবনাথ। বলেন, ‘জলপাইগুড়ি সাংসদ একজন বিশিষ্ট চিকিৎসক। অত্যন্ত ভাল মানুষ। যদিও তাঁকে জলপাইগুড়িতে খুব একটা দেখা যায় না। একশো দিনের কাজে পশ্চিমবঙ্গ ভারত সেরা। এরপরেও তিনি কার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তৃণমূল পরিচালিত জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত সমিতি গুলির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেন তা আমার জানা নেই।’ সঙ্গে আরও যোগ করে তৃণমূল নেতা বলেন, ‘ওদের সহযোগী এজেন্সি সিবিআই আছে। তাদের দিয়ে তদন্ত করাক। জেলার এই মুহূর্তে ১১৯ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। টাকা না পেয়ে শ্রমিকদের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। মমতা ব্যানার্জী দুয়ারে রেশন দিয়ে কোনও ভাবে বাঁচিয়ে রেখেছেন। একশো দিনের মজুরি না পেয়ে জেলায় জোট বাধছে শ্রমিকেরা। অবিলম্বে টাকা না দিলে জেলায় যে ধরনের শ্রমিক অসন্তোষ হবে তা উনি কল্পনা করতে পারছেন না।’