Dhupguri murder: কলাগাছে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা? যুবকের দেহ উদ্ধারে উঠছে প্রশ্ন

Jalpaiguri: ঘটনাটি ঘটেছে ধুপগুড়ি পুরসভার অন্তর্গত এক নম্বর ওয়ার্ডের ভাওয়াল পাড়া এলাকায়। বুধবার সকালে সেখানকার বিসর্জন ঘাটের পাশে একটি কলা গাছের নীচে পড়েছিল মৃতদেহটি।

Dhupguri murder: কলাগাছে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা? যুবকের দেহ উদ্ধারে উঠছে প্রশ্ন
ধৃপগুড়িতে মৃতদেহ উদ্ধার (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 26, 2022 | 8:37 PM

জলপাইগুড়ি: কলাগাছে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা (Suicide) কি সম্ভব? এক যুবকের দেহ উদ্ধার ঘিরে এমনই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে জলপাইগুড়ির ধুপগুড়িতে। খুনের অভিযোগ তুলেছে মৃতের পরিবার। তাদের বক্তব্য, গলাগাছের পাতা এত নরম। সেখানে কি করে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করতে পারে কেউ?

ঘটনাটি ঘটেছে ধুপগুড়ি পুরসভার অন্তর্গত এক নম্বর ওয়ার্ডের ভাওয়াল পাড়া এলাকায়। বুধবার সকালে সেখানকার বিসর্জন ঘাটের পাশে একটি কলা গাছের নিচে পড়েছিল মৃতদেহটি। জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম প্রসেনজিৎ নন্দী(৩৫)। ধুপগুড়ি এলাকার একটি জুতোর দোকানে কাজ করতেন তিনি। পরিবারের দাবি, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হঠাৎ তাঁর মোবাইলে একটি ফোন আসে। এরপরেই তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। সকালে উদ্ধার হয় দেহ। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, কলা গাছের বেশ কিছু অংশ জড়ানো ছিল গলায়।

এছাড়াও অনতিদূরে পড়েছিল কলা গাছের আরও অংশ। তাই রাতেও সেখানে কোনও আসর বসতে পারে বলে অনুমান। সেখানে বচসার জেরেই কি আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত? স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ এর উত্তর হ্যাঁ মনে করলেও বিপরীত পক্ষের দাবি, কলাগাছ থেকে কিভাবে আত্মহত্যা সম্ভব? সেক্ষেত্রে খুন করে মৃতদেহ ঝুলিয়ে দেওয়ার সম্ভাবনাই দেখছেন। এ দিকে, খবর পেয়ে ধুপগুড়ি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। তারাই মৃতদেহটি উদ্ধার করে পাঠায় ময়নাতদন্তের জন্য। যদি মৃত্যুর কারণ নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানায়নি তারা। রাতে ওই যুবক যাদের সঙ্গে বেরিয়েছিল তাদের খোঁজ চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।

মৃতের বোন বলেন, ‘কালকে আমার দাদার কাছে একটা ফোন আসে। ওদের দোকানের কাছে কেউ একজন ডেকে পাঠায়। মাকে বাড়িতে বলে যে ফোন এসেছে বেরোচ্ছি। এই বলে চলে যায়। অনেকক্ষণ কেটে যাওয়ার পরও বাড়িতে আসেনি। সেই কারণে আমরা চিন্তা করছিলাম। সারারাত দাদা বাড়ি ফেরেনি। আজ শুনি কলাগাছের মধ্যে বেঁধে রাখা হয়েছে।’

পুলিশের বক্তব্য, একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না এলে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট করে বলা যাবে না।