Dhupguri College: কোভিড পরিস্থিতিতে সন্ধ্যা ৬টায় কলেজে ছাত্র পরিষদের সভা! বিতর্কে ধূপগুড়ি কলেজ

Dhupguri College: শুক্রবার সন্ধ্যা ছটা নাগাদ ধূপগুড়ি সুকান্ত কলেজে পৌঁছন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য।

Dhupguri College: কোভিড পরিস্থিতিতে সন্ধ্যা ৬টায় কলেজে ছাত্র পরিষদের সভা! বিতর্কে ধূপগুড়ি কলেজ
ধূপগুড়ি কলেজ (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 27, 2021 | 9:21 AM

জলপাইগুড়ি: কলেজ ছুটি হয়ে যাওয়ার পরে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভা নিয়ে বিতর্ক ধূপগুড়ির সুকান্ত কলেজে। অভিযোগ করেছে এসএফআই ও বিজেপির অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ। ধুপগুড়ি সুকান্ত মহাবিদ্যালয় এর ঘটনা।

শুক্রবার সন্ধ্যা ছটা নাগাদ ধূপগুড়ি সুকান্ত কলেজে পৌঁছন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য। কলেজে ছাত্র সংসদের কর্মিসভা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমুলের জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক রাজেশ কুমার সিং-সহ আরও অনেকে। সন্ধ্যায় কলেজে কর্মিসভাও হয়। কলেজের অধ্যক নীলাংশু শেখর দাস ফোনে দাবি করেন, সন্ধ্যার সময় কোনও সভা করার অনুমতি দেওয়া হয়নি এবং সভা হয়েছে সেই বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।

তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ঘোষিত কর্মসূচি ছিল বিকেল চারটার সময়। অভিযোগ, তা শুরু হয় ৬ টা নাগাদ। তৃণমুল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি আসেন সন্ধ্যা ৬ টার সময়। এমনকি সন্ধ্যাবেলা কলেজ প্রাঙ্গণে রীতিমতো মিছিল করা হয় বহিরাগতদের নিয়ে। এমনটাই অভিযোগ এসএফআই এবং এবিভিপি-র।

বিরোধী ছাত্র সংগঠনের অভিযোগ, কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের সমস্যা নিয়ে কলেজ অধ্যক্ষ সঙ্গে কথা বলতে গেলে কোভিড বিধির দোহাই দিয়ে বিরোধী সংগঠনের ছাত্রনেতাদের কলেজে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় না। এমনকি কলেজে ছাত্রছাত্রীদেরও বিশেষ কাজ ছাড়া কলেজে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে ধূপগুড়ি মহাবিদ্যালয় এইভাবে বহিরাগতদের নিয়ে সভা করার অনুমতি দিল কেন?

পুরোপুরি বেআইনিভাবে বহিরাগতদের নিয়ে কলেজে এই সভা করার অনুমতি আদৌ কি কলেজ কর্তৃপক্ষ দিয়েছে? প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী ছাত্র সংগঠন এসএফআই, এবিভিপি। তারা কলেজ কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেছেন। প্রশ্ন তুলেছেন অধ্যক্ষের ভূমিকা নিয়েও। একে তো সন্ধ্যা ছ’টার সময়ে সভার অনুমতি, তার ওপর আবার বহিরাগতদের নিয়ে মিছিল, কীভাবে অনুমতি দিলেন অধ্যক্ষ?

যদিও কলেজ কর্তৃপক্ষ সাফাই দিয়েছেন। কলেজ অধ্যক্ষ নিলাংশু শেখর দাস ফোনে বলেন, “সন্ধ্যার সময় কোনও সভা করার অনুমতি দেওয়া হয়নি এবং সভা হয়েছে সেই বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। তৃণমূল ছাত্র পরিষদ বিকেল চারটার সময় কলেজ সভা করার জন্য অনুমতি নিয়েছিল। একটি কর্মিসভা করার, অনুমতি দেওয়া হয়েছিলো সভা কক্ষে।”

এসএফআই নেতা গৌরব দাস বলেন, “কর্তৃপক্ষের ভূমিকা পুরোটাই অনুুপ্রেরণায় চলে। যিনি সব কিছুই এখন ওপর থেকে পারমিশন নিয়েই করেন। তৃণমূল ছাত্র পরিষদ কোথাওই গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে বিরোধী দলগুলিকে ঢুকতে দেয় না। নৃশংসভাবে অত্যাচার করে বিরোধীদের ওপর। বহিরাগতদের নিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যেই ধূপগুড়ি কলেজে কীভাবে একটা সভা হল?”

তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা কৌশিক রায় বলেন,  “আজকে কলেজে একটা কর্মিসভা ছিল। সময় ছিল সাড়ে চারটের সময়। বিশেষ কারণে বিষয়টা পাঁচটা থেকে সাড়ে পাঁচটার মধ্যে হয়। ক্লাস সাসপেন্ড করা হয়নি।”

আরও পড়ুন: Nandigram Chaos: বিজেপি নেতা-কর্মীদের গ্রেফতারির প্রতিবাদ, টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ-বনধ নন্দীগ্রামে