ছেলের বিয়েতে আড়ম্বর নয়, সেই টাকায় কেনা হল অ্যাম্বুলেন্স

করোনা (COVID-19) পরিস্থিতিতে রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে অ্যাম্বুলেন্সের অভাব বেশি করে টের পাওয়া যায়।

ছেলের বিয়েতে আড়ম্বর নয়, সেই টাকায় কেনা হল অ্যাম্বুলেন্স
নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: May 14, 2021 | 7:52 PM

ডুয়ার্স: করোনা (COVID-19) পরিস্থিতিতে ছেলের বিয়ে। তাই কোনও বাড়তি আড়ম্বর করতে চাননি ক্রান্তির মিষ্টি ব্যবসায়ী রমেন ঘোষ। এখন মানুষের পাশে দাঁড়ানোটা খুব দরকার। তাই বিয়ের অনুষ্ঠানের টাকা বাঁচিয়ে তা দিয়ে একটি অ্যাম্বুলেন্স কিনে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে দান করলেন তিনি। এই বিপদে সকলকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়তে হবে। নিঃসন্দেহে রমেনবাবুর এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। শুক্রবার ক্রান্তির বিডিও প্রবীর কুমার সিনহা, পদ্মশ্রী করিমুল হকের উপস্থিতিতে অ্যাম্বুলেন্সটি স্বেচ্ছাসেবী ওই সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয়। ছিলেন নবদম্পতিও।

জানা গিয়েছে, মাসখানেক আগে রমেনবাবুর ছোট ছেলে নচিকেতা ঘোষের বিয়ে হয়। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে কোনওরকম বাড়তি আড়ম্বর করতে চায়নি ঘোষ পরিবার। একেবারে ঘরোয়া ভাবেই বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। তখনই পারিবারিক ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল এলাকার মানুষের জন্য কিছু করতে হবে। ক্রান্তি-সহ প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতে অ্যাম্বুলেন্সের অভাব একটা বড় সমস্যা।

বিশেষ করে করোনা পরিস্থিতিতে রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে অ্যাম্বুলেন্সের অভাব বেশি করে টের পাওয়া যায়। সবকিছু ভেবে এরপরই ঘোষ পরিবার সিদ্ধান্ত নেয় অ্যাম্বুলেন্স কেনার। শুক্রবার ব্লক প্রশাসনের উপস্থিতিতে স্থানীয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের হাতে অ্যাম্বুলেন্সটি তুলে দেয় তারা। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটিই অ্যাম্বুলেন্সের রক্ষণাবেক্ষণ করবে।

আরও পড়ুন: ছোট্ট ডিসপোজাল ব্যাগে মুড়ে শ্মশানে এল দেহ, ঠিক একটা পুতুল! করোনা কাড়ল ৫ মাসের পরীকে

রমেন ঘোষ বলেন,”মানুষের জন্য কিছু করতে পারাটাই আমাদের কাছে আনন্দের। ছোট ছেলের বিয়েতে কোনওরকম জাঁকজমক করিনি। সেই অর্থ দিয়েই মানুষের সেবায় অ্যাম্বুলেন্সটি কেনা হল। এছাড়া এলাকার মানুষদের অনেকদিনের দাবিও ছিল। সেই দাবি পূরণ হওয়ায় আমাদেরও ভাল লাগছে।” স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষে নকুল সাহা বলেন,”আমাদের সংস্থাকে অ্যাম্বুলেন্সটি দেওয়া হয়েছে। মানুষের সেবায় সেটি ব্যাবহার করা হবে।” ক্রান্তির বিডিও প্রবীর কুমার সিনহার কথায়, “রমেন বাবু ও তাঁর পরিবারের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। আমরা তাঁদের সাধুবাদ জানাই।”