Jalpaiguri Burma Teak: লরিভর্তি সিমেন্টের বস্তা, প্রথমটায় ঘোল খেয়ে গিয়েছিলেন দুঁদে কর্তারাও, তারপর লক্ষাধিক সম্পত্তি উদ্ধার
Jalpaiguri Burma Teak: জানা যাচ্ছে, সিমেন্টের আড়ালে মেঘালয় থেকে কলকাতা একটি ১৪ চাকার লরিতে বার্মা টিক পাচার করা হচ্ছিল।
জলপাইগুড়ি: দৃশ্যত লরি ভর্তি সিমেন্টের বস্তা। প্রথমে দুঁদে কর্তাদেরও বিষয়টি নজর এড়িয়ে যায়। কিন্তু খটকা লাগে একটা জায়গায়। বস্তার আড়াল থেকেই কিছু একটা দেখতে পেয়েছিলেন কর্তারা। তাছাড়া আগে থেকেও খবর ছিল তাঁদের কাছে। সেই মোতাবেক লরির চালককেও জিজ্ঞাসাবাদ করছিলেন তাঁরা। কথায় অসঙ্গতি থাকায় তল্লাশি চালানো হয় লরিতে। আর তারপরই পর্দাফাঁস। সিমেন্টের বস্তার আড়ালেই পাচার করা হচ্ছিল কোটি টাকার বার্মাটিক। বন দফতরের অভিযানে ২০ লক্ষাধিক টাকার বার্মাটিক উদ্ধার হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে এক পাচারকারিকে। বৈকন্ঠপুর বনবিভাগের বেলাকোবা রেঞ্জ বড়সড় সাফল্য পেল। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, বার্মাটিক মেঘালয় থেকে কলকাতায় পাচার করা হচ্ছিল। ঘটনায় লরি চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতের নাম আসারুল মোহম্মদ।
জানা যাচ্ছে, সিমেন্টের আড়ালে মেঘালয় থেকে কলকাতা একটি ১৪ চাকার লরিতে বার্মা টিক পাচার করা হচ্ছিল। বৈকন্ঠপুর ডিভিশনের বেলাকোবা রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার সঞ্জয় দত্তের কাছে গোপন সূত্রে খবর এসেছিল। আগে থেকেই বন আধিকারিক জানতেন, কিছু বার্মা টিক মেঘালয় থেকে কোলকাতা পাচার হবে। সেই খবরের ভিত্তিতে মঙ্গলবার ভোরে ৩১ নং জাতীয় সড়কের করোতোয়া এলাকায় টিম নিয়ে ওঁত পেতে বসেছিলেন সঞ্জয় দত্ত।
ওই এলাকা দিয়ে একাধিক গাড়ি যায়। প্রায় প্রত্যেকটি গাড়িতেই তল্লাশি চালানো হয়। এরপর একটি সিমেন্টের বস্তা ভর্তি লরি এলাকা দিয়ে যাচ্ছিল। লরিটিকে আটকে প্রথম চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাঁর কথায় অসঙ্গতি থাকায় লরিতে তল্লাশি চালানো হয়।
লরিতে প্রথমে সারি সারি সিমেন্টের বস্তা ছিল। তারপরই রাখা ছিল বার্মা টিক। চোরাই সেগুন কাঠ। বাড়ি উত্তর প্রদেশ। আসারুলকে জেরা করে জানা যায়, মেঘালয় থেকে কলকাতা পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল কাঠগুলো।
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্রাকে আনুমানিক কুড়ি লক্ষ টাকার বার্মা টিক ছিল। এই পাচারের পিছনে সক্রিয় চক্রের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।