Jalpaiguri Commerce College: হেড ক্লার্কের সঙ্গে অধ্যাপিকার ‘মাখামাখি’র ভাইরাল ছবিই ঝাঁঝ বাড়াচ্ছে অধ্যক্ষ-বিতর্কের, জোরাল পদত্যাগের দাবি

Jalpaiguri: হেড ক্লার্ক বলেন, তিন বছর আগে একটি ছবি তোলা হয়েছিল। কলেজের অধ্যাপক, অধ্যাপিকাদের একটি গ্রুপ ফোটো। সেটিকে এডিট করেই সম্প্রতি অধ্যক্ষ একটি ছবি ভাইরাল করেন।

Jalpaiguri Commerce College: হেড ক্লার্কের সঙ্গে অধ্যাপিকার 'মাখামাখি'র ভাইরাল ছবিই ঝাঁঝ বাড়াচ্ছে অধ্যক্ষ-বিতর্কের, জোরাল পদত্যাগের দাবি
বিতর্ক বাড়ছে জলপাইগুড়ি কমার্স কলেজে।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 21, 2022 | 8:16 AM

জলপাইগুড়ি: আনন্দ চন্দ্র কলেজ অব কমার্সের ঝামেলা মেটার তো কোনও লক্ষণই নেই, উল্টে এবার তা নেমে এল রাস্তায়। এবার অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে জলপাইগুড়ি শহরে বের হল মিছিল। সেই মিছিলে পা মেলালেন কলেজের অধ্যাপক, অধ্যাপিকা ও কলেজ কর্মীরা। বহু প্রাক্তনীও শামিল হন এই মিছিলে। অভিযোগ ও পালটা অভিযোগকে ঘিরে গত সপ্তাহ থেকে সরগরম হয়ে উঠেছে জলপাইগুড়ির আনন্দ চন্দ্র কলেজ অব কমার্স। এক অধ্যাপিকার অভিযোগ ঘিরে যে বিবাদের সূত্রপাত, সম্প্রতি তাতে যুক্ত হয় ছবি-বিতর্ক। অধ্যাপক, অধ্যাপিকাদের দাবি, এবার নোংরামোর সীমা পার হয়ে যাচ্ছে। এই অধ্যক্ষ কলেজে থাকলে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে না বলেও দাবি তাঁদের একাংশের। সোমবার তাই অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবি তুলে মিছিল করেন তাঁরা। যে মিছিল পৌঁছয় জলপাইগুড়ির কোতোয়ালি থানা অবধি।

কলেজের হেড ক্লার্ক রাজীব চৌধুরী অভিযোগ তোলেন, তাঁরা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মুখ খোলায় হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে। তাঁদের বাড়ির লোকজনকে ফোনে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। একইসঙ্গে তিনি সেই ছবি বিতর্ক নিয়েও এদিন সরব হন। যে ছবিটি ভাইরাল হয়, সেটি ক্রপ করা। আসল ছবিতে আরও তিনজন ছিলেন। হেড ক্লার্ক বলেন, তিন বছর আগে একটি ছবি তোলা হয়েছিল। কলেজের অধ্যাপক, অধ্যাপিকাদের একটি গ্রুপ ফোটো। সেটিকে এডিট করেই সম্প্রতি অধ্যক্ষ একটি ছবি ভাইরাল করেন। তাঁদের আন্দোলনকে দমাতেই এই ছবি নিয়ে কুৎসা করার চেষ্টা বলে অভিযোগ রাজীব চৌধুরীর। তিনি জানান, সাইবার থানাকে সবটাই জানানো হয়েছে। এই চক্রান্তের পর্দা খুব তাড়াতাড়িই উঠবে।

কলেজেরই এক প্রাক্তনী অজয় সাহার কথায়, “আমাদের কলেজে এ ধরনের নোংরামো কখনওই ঘটেনি। গত কয়েকদিনে যা যা ঘটছে, তাতে আমরা মনে করছি অধ্যক্ষ এই কলেজের বদনাম করতে উঠেপড়ে লেগেছেন। অধ্যক্ষ একাই ঠিক কথা বলছেন, কলেজের বাকি অধ্যাপক, অধ্যাপিকা, অশিক্ষক কর্মীরা সবাই ভুল এ তো হয় না।” যদিও অধ্যক্ষ সিদ্ধার্থ সরকার বলেন, “পুলিশ তদন্ত করছে। এর বেশি কিছু আমার বলার নেই।” আগেরদিনই তিনি বলেছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তোলা হচ্ছে, আগে সেগুলি প্রমাণ করা হোক। অন্যদিকে ছবি বিতর্ক প্রসঙ্গে পুলিশসুপার দেবর্ষি দত্ত জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ স তদন্ত শুরু করেছে।