Jalpaiguri Mid Day Meal: অদ্ভুত একটা ভয়ে স্কুলে আসছেন না রাঁধুনিরা, মিড ডে মিলের বদলে খুদেদের জুটছে বিস্কুট

Jalpaiguri Mid Day Meal: প্রায় সাত দিন ধরে চলা এই জটিলতা আজও কাটেনি জলপাইগুড়ি মাড়োয়ারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রাথমিক বিভাগে।

Jalpaiguri Mid Day Meal: অদ্ভুত একটা ভয়ে স্কুলে আসছেন না রাঁধুনিরা, মিড ডে মিলের বদলে খুদেদের জুটছে বিস্কুট
মিড ডে মিল নিয়ে সমস্যা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 29, 2022 | 8:21 AM

জলপাইগুড়ি: হেনস্থার ভয়ে স্কুলে আসছেন না রাঁধুনিরা। ফলে তৈরি হচ্ছে না মিড ডে মিল। বদলে কেক-বিস্কুট খাইয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে খুদে পড়ুয়াদের। প্রায় সাত দিন ধরে চলা এই জটিলতা চলছে জলপাইগুড়ি মারোয়ারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রাথমিক বিভাগে।

জলপাইগুড়ির এই স্কুলে কিছুদিন আগেই এক শিক্ষিকাকে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল। এবার এবার মিড ডে মিল তৈরি করার বরাত নিয়ে অভিযোগ উঠল। এই স্কুলে প্রাথমিক বিভাগে প্রায় ৮০ জন পড়ুয়া রয়েছে। স্কুল সূত্রে জানা যাচ্ছে, গত ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ওই স্কুলে আর মিড ডে মিল রান্না করা হচ্ছে না। বদলে পড়ুয়াদের মধ্যে বিলি করা হচ্ছে কেক, বিস্কুট ইত্যাদি। কিন্তু এই শুকনো খাবার পেয়ে খুশি নয় পড়ুয়ারা। স্কুল পড়ুয়াদের দাবি, স্কুল থেকে সুস্বাদু খাবার দেওয়া হোক।

সম্প্রতি স্কুলের দুই রাঁধুনিকে হেনস্থার অভিযোগ ওঠে স্কুলের এক অভিভাবিকার বিরুদ্ধে। তারপর তারা বিষয়টি বিভিন্ন দফতরে লিখিতভাবে জানিয়ে আর স্কুলে রান্না করতে আসছেন না। ফলে তৈরি খাবার পাচ্ছে না খুদেরা।

টিআইসি সরিতা চৌধুরী জানান, গত ২২ তারিখ থেকে স্কুলে রাঁধুনি আসছেন না। ফলে রান্না হচ্ছে না। বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তাদের নির্দেশে পড়ুয়াদের শুকনো খাবার দেওয়া হচ্ছে।

রাঁধুনি আশা রজক বলেন, “আগে স্কুলের মিড ডে মিলের দায়িতে ছিলেন টিআইসি। খাবারের মান নিয়ে অভিযোগ ছিল। তার তদন্তে টিম এসেছিল। আমি তাদেরকে অভিযোগ করেছিলাম ছাত্রীদের রান্নার জন্য মোট যত পরিমাণ তেল,ডাল,মশলা ইত্যাদি প্রয়োজন, তা আমাদের সরবরাহ করা হয় না। ফলে রান্না খারাপ হয়। এরপর টিমের সদস্যরা আমাদেরকেই মিড ডে মিল বানিয়ে খাওয়ানোর নির্দেশ দেন। তাদের নির্দেশ পেয়ে আমরা খাবার দিচ্ছিলাম।”

রাঁধুনিদের অভিযোগ, এক অভিভাবক হেনস্থা করেছে। সেই ভয়ে স্কুলে আসছেন না তাঁরা। এক ছাত্রীর বক্তব্য, “খাবারের মান খুব খারাপ ছিল। এখন আমাদের কেক, বিস্কুট ইত্যাদি দেওয়া হচ্ছে। এসব খেতে ভাল লাগে না।আমরা চাই নতুন রাঁধুনি আসুক। সুস্বাদু খাবার দেওয়া হোক।”

ঘটনায় ডি আই প্রাইমারি শ্যামল চন্দ্র রায় বলেন, “এই স্কুল থেকে আমরা মিড ডে মিল সংক্রান্ত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি আমরা ওসি মিড ডে মিল, বিডিও সকলকেই জানিয়েছি। আশা করছি দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।”