Jalpaiguri Padma shri: অভাবকে হেলায় উড়িয়ে শিল্পকে আঁকড়েছেন বুকে, জলপাইগুড়ির একশোর্ধ্ব মঙ্গলাকান্ত পেলেন পদ্মশ্রী সম্মান
Jalpaiguri Padma shri: সারাঙ্গি বাজিয়ে হেলায় তিনি বিভিন্ন পশু পাখির হুবহ আওয়াজ বের করে থাকেন। তার হাতে যেন তাঁর জাদু রয়েছে।
জলপাইগুড়ি: বঙ্গরত্নের পদ্মশ্রী (Padmashri) প্রাপ্তিতে খুশির হাওয়া জলপাইগুড়িতে (Jalpaiguri)। বিশিষ্ট সারাঙ্গি বাদক বঙ্গরত্ন মঙ্গলাকান্ত রায় এবার পদ্মশ্রী পুরস্কারে সম্মানীত হলেন। করিমুল হকের পর এবার মঙ্গলাকান্তের এই পুরস্কার প্রাপ্তিতে খুশির হাওয়া জেলা জুড়ে। ময়নাগুড়ি ব্লকের আমগুড়ি গ্রামপঞ্চায়েতের ধওলাগুড়ি গ্রামের বাসিন্দা মঙ্গলাকান্ত রায়। বয়স ১০২ বছর। বিশিষ্ট সারাঙ্গি বাদক গত ২০১৭ সালে বঙ্গরত্ন সম্মানে ভূষিত করে রাজ্য সরকার। এবার তিনি পদ্মশ্রী পুরস্কারে সম্মানিত হলেন। এর আগে জলপাইগুড়ি জেলায় পদ্মশ্রী সম্মান পেয়েছিলেন বাইক অ্যাম্বুলেন্স দাদা করিমুল হক। এবার মঙ্গলাকান্তের এই পুরস্কার প্রাপ্তিতে খুশির হাওয়া জেলা জুড়ে।
সারাঙ্গি বাজিয়ে হেলায় তিনি বিভিন্ন পশু পাখির হুবহ আওয়াজ বের করে থাকেন। তার হাতে যেন তাঁর জাদু রয়েছে। নানা ধরনের পশু পাখির সুর থেকে মানুষের হাসি কান্না তাঁর সারাঙ্গি যেন জীবন্ত হয়ে ওঠে।
ছেলেবেলা থেকে অভাব তাঁর নিত্যসঙ্গী। রাজ্য সরকারের শিল্পী ভাতা পেলেও আজও তিনি অভাবের মধ্যেই রয়েছেন। কিন্তু শত অভাবের মধ্যেও সারাঙ্গিকে তিনি বুকে আগলে রেখেছেন। আর সারাঙ্গির সুরের সুবাদেই তিনি আজ বিখ্যাত।
যখন শিল্পীর বয়স প্রায় নব্বই, সে সময় তিনি ডাক পান দিল্লির প্রগতি মঞ্চে অনুষ্ঠান করার জন্য। সেখানে তিনি পশু পাখির ডাক শুনিয়ে নিজের দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছিলেন। তাঁর তিন পুত্র ও চার কন্যা সন্তান রয়েছে। অভাবকে নিত্যসঙ্গী করেই শিল্পকে বাঁচিয়ে রেখেছেন তিনি।
২০১৭ সালে মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে বঙ্গরত্ন সম্মানে ভূষিত করেন। এবার পদ্মশ্রী সম্মানের পর তাঁর মুকুটে নতুন পালক যুক্ত হল। পদ্মশ্রী সম্মান পেয়ে তিনি অত্যন্ত আনন্দিত। মঙ্গলাকান্ত বলেন, “এ সম্মান আমার কাছে অর্থের থেকেও বহু দামী।”