Jalpaiguri Women Trafficking: সন্ধ্যায় প্ল্যাটফর্মে ঘুরছিল দুই নাবালিকা, রাত ১১টার পর তাদের সঙ্গে যোগ দেয় দুই যুবকও! স্থানীয় হকাররা করলেন পর্দাফাঁস
Jalpaiguri Women Trafficking: ওই দুই নাবালিকা নাকি স্বেচ্ছায় তাঁদের সঙ্গে ভিন রাজ্যে কাজে যেতে রাজি হন। দুই নাবালিকাকে সন্ধ্যা থেকে একাই দেখা যায়।
জলপাইগুড়ি: দুই নাবালিকা, আর তাঁদের সঙ্গে দুই তরুণ। সন্ধ্যা থেকেই তাঁদেরকে স্টেশনের পাশে ইতঃস্তত ঘুরে বেড়াতে দেখেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। রাত ১১টা। তখনও তাঁরা ওইভাবেই সন্দেহজনকভাবে এলাকায় ঘুরছিলেন। স্থানীয় দোকানিদের অনেকেই গিয়ে তাঁদেরকে প্রশ্ন করেন। তাঁদের কথায় বেশ কিছু অসঙ্গতি ধরা পড়ে। ততক্ষণে অবশ্য গুটি গুটি পায়ে কেটে পড়েছেন এক যুবক। দুই নাবালিকা জানিয়েছিল, তাঁরা নাকি মুম্বই যাচ্ছেন কাজের জন্য। তারপরই সন্দেহ আরও গাড় হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে দুই নাবালিকাকে উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, কাজের প্রলোভন দেখিয়ে দুই নাবালিকাকে পাচার করা হচ্ছিল। জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি রেলস্টেশনের ঘটনা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাতে দুই নাবালিকা আর দুই যুবককে ধূপগুড়ি রেল স্টেশনে এদিক ওদিক ইতঃস্তত ঘুরতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্ল্যাটফর্মের হকাররাও বিষয়টি খেয়াল করেছিলেন। তাঁরা দীর্ঘক্ষণ ওই চার জনের ওপর নজর রাখেন।
ওই দুই নাবালিকাকে দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর দেওয়া হয় ধূপগুড়ি থানায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, সেই সময়ই সুযোগ বুঝে একজন যুবক সেখান থেকে পালিয়ে যান। বাকি এক জনকে ধরে ফেলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
অভিযুক্ত ওই যুবককে জিজ্ঞাসা করলে জানা যায়, তাঁর নাম ধীরাজ রায়। ময়নাগুড়ি রোড স্টেশন এলাকায় তাঁর বাড়ি। ফোনেই দুই নাবালিকার সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল তাঁদের। কিন্তু পুলিশ জানিয়েছে, ধীরাজের কথাবার্তাতেও অসঙ্গতি রয়েছে। তিনি জানান, তারা দু’জন মুম্বই যাচ্ছিলেন কাজের জন্য।
ওই দুই নাবালিকা নাকি স্বেচ্ছায় তাঁদের সঙ্গে ভিন রাজ্যে কাজে যেতে রাজি হন। দুই নাবালিকাকে সন্ধ্যা থেকে একাই দেখা যায়। রাতের দিকে দুই যুবকের সঙ্গে ওই দুই নাবালিকার সঙ্গে দেখতে পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, কাজের প্রলোভন দেখিয়ে ভিন রাজ্যে পাচার করা হত ওই নাবালিকাকে।
ধূপগুড়ি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে থেকে দুই নাবালিকা-সহ এক যুবককে থানায় নিয়ে যায়। তাঁদেরকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। নাবালিকা পাচারের চেষ্টা করা হচ্ছিল কিনা, এটা আদৌ কোনও চক্র কিনা, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
পুলিশ জানাচ্ছে, এর আগেও ডুয়ার্সের বিভিন্ন জায়গা থেকে কাজের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিক নারী পাচার অভিযোগ সামনে এসেছে। তাতে স্কুল ছাত্রী থেকে শুরু করে বিবাহিত মহিলারাও রয়েছেন। তাই এবিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে পুলিশ। বাকি এক যুবকেরও খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। দুই নাবালিকার বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।