মোদী-দরবারে জমা স্মারকলিপি, স্বাধীন রাজ্যের দাবিতে সরব কামতাপুর প্রোগ্রেসিভ পার্টি

Kamtapur: স্মারকলিপিতে, পৃথক রাজ্যের দাবি ছাড়াও, আরও ছয় দফা দাবি পেশ করা হয়। সেই ছয়টি দাবিতে, কামতাপুরী ভাষাকে ভারতীয় সংবিধানের অষ্টম তফসিলি ভাষার অন্তর্ভুক্তিকরণ-সহ একাধিক দাবি জানানো হয়।

মোদী-দরবারে জমা স্মারকলিপি, স্বাধীন রাজ্যের দাবিতে সরব কামতাপুর প্রোগ্রেসিভ পার্টি
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 30, 2021 | 5:06 PM

জলপাইগুড়ি: ভাষা ও সংস্কৃতিকে স্বীকৃতি দিয়ে পৃথক রাজ্যের দাবি বরাবরই করে এসেছেন কামতাপুরীরা। এ বার, পৃথক রাজ্য-সহ আরও ছয় দফা দাবি জানিয়ে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ডেপুটেশন জমা দিল কামতাপুর প্রোগ্রেসিভ পার্টি (Kamtapur Progressive Party)। শুক্রবার জলপাইগুড়ি জেলা শাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী দফতরে স্মারকলিপি প্রদান করলেন কামতাপুর প্রোগ্রেসিভ পার্টির (Kamtapur Progressive Party) সদস্য়েরা।

কামতাপুর প্রোগেসিভ পার্টির তরফে দলের সহ-সভাপতি বুধারু রায় বলেন, “আমাদের পৃথক রাজ্যের দাবি বহুদিন থেকেই ছিল। সঙ্গে আরও কিছু প্রয়োজনীয় দাবি নিয়ে মোট ছয়দফার দাবি পেশ করা হল।” ওই স্মারকলিপিতে, পৃথক রাজ্যের দাবি ছাড়াও, আরও ছয় দফা দাবি পেশ করা হয়। সেই ছয়টি দাবিতে, কামতাপুরী ভাষাকে ভারতীয় সংবিধানের অষ্টম তফসিলি ভাষার অন্তর্ভুক্তিকরণ, ‘বিশ্বমহাবীর’ চিলা রায়ের জন্ম ও মৃত্য়ুদিন কেন্দ্রীয় ছুটি হিসেবে ঘোষণা, উত্তরবঙ্গে এইমস হাসপাতাল-সহ গোর্খা সেনার মতো নারায়ণী সেনার রেজিমেন্ট প্রতিষ্ঠা-সহ একাধিক দাবি জানানো হয়েছে ওই স্মারকলিপিতে।

এদিন, দলের সহ-সভাপতি বুধারু রায় আরও বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ক্ষমতায় এলে কামতাপুরীদের সমস্ত দাবি পূরণ করা হবে। উত্তরবঙ্গে এইমস তৈরি হবে। সেসব কিছুই হয়নি। তাই আমরা ফের একবার একজোট হয়ে  আমাদের দাবি কেন্দ্রীয় সরকারকে জানাচ্ছি।”

প্রসঙ্গত, উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য ঘোষণার করার দাবি যখন করেন অধুনা প্রতিমন্ত্রী জন বার্লা, তখন আলাদা রাজ্যের স্বীকৃতি চেয়ে সরব হয় কামতাপুর প্রোগ্রেসিভ পার্টি। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লার মন্তব্যের বিরুদ্ধে অবশ্য সুর তুলেছিল কামতাপুর প্রোগ্রেসিভ পার্টি। সে প্রসঙ্গে, বুধারু রায় বলেন, “বিজেপির ফাঁদে পা দেওয়া উচিত নয়।  কারণ লোকসভা নির্বাচনের আগে তারা যেসকল প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তার একটিও উত্তরবঙ্গের মানুষের জন্য পালন করেনি। তাই বিজেপির উপর আস্থা না রাখাই ভাল।” আরও পড়ুন: পাওনা নিয়ে ‘বচসা’ দুইপক্ষে, ‘হামলা’ তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে!