Physical Harassment: ধূপগুড়িতে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবতীকে ‘ধর্ষণে’ ১২ দিন পর গ্রেফতার অভিযুক্ত

Dhupguri: জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে ধূপগুড়ি থানা এলাকা থেকেই ওই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিন তাকে জলপাইগুড়ি আদালতে পেশ করা হয়েছিল।

Physical Harassment: ধূপগুড়িতে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবতীকে 'ধর্ষণে' ১২ দিন পর গ্রেফতার অভিযুক্ত
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 12, 2022 | 11:09 PM

ধূপগুড়ি: মানসিক ভারসাম্যহীন যুবতীকে ধর্ষণের অভিযোগে অবশেষে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। অভিযোগের ১২ দিন পর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নির্যাতিতার মা গত ৩০ অগস্ট ধূপগুড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলেন। অভিযোগ ছিল স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। কিন্তু নির্যাতিতার পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ তোলা হচ্ছিল,পুলিশ বিষয়টিকে নিয়ে সক্রিয় পদক্ষেপ করছে না। এই সংক্রান্ত খবর আগেই প্রকাশ করেছিল টিভি নাইন বাংলা। এমন পরিস্থিতিতে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় স্তরে প্রতিবাদেও সামিল হয়েছিল বিরোধী শিবির। এলাকায় বেশ কিছু সভা, মিছিলও করা হয়ে বিরোধী দলের তরফে। এমন পরিস্থিতিতে অবশেষে সাফল্য ধূপগুড়ি থানার। গ্রেফতার করা হয়েছে ঘটনার মূল অভিযুক্তকে।

জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে ধূপগুড়ি থানা এলাকা থেকেই ওই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিন তাকে জলপাইগুড়ি আদালতে পেশ করা হয়েছিল। উল্লেখ্য, এর আগেই নির্যাতিতার পরিবারের তরফ থেকে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছিল। বলা হয়েছিল, পুলিশ অভিযুক্তকে ধরার বদলে নির্যাতিতার প্রতিবেশীদের উপর নাকি চাপ তৈরি করছে। প্রতিবেশীদের একাংশও একইরকম অভিযোগ তুলেছেন ইতিমধ্যেই। এমন পরিস্থিতিতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। যদিও জেলার পুলিশ সুপার অবশ্য পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন। ঘটনার তদন্ত চলছে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।

উল্লেখ্য, রাজ্যে একের পর এক ধর্ষণের অভিযোগ বেশ অস্বস্তি রয়েছে প্রশাসনের অন্দরে। হাঁসখালির ঘটনার তদন্তভার ইতিমধ্যেই আদালত সিবিআই-এর হাতে তুলে দিয়েছে। এর পাশাপাশি রাজ্যে আরও কয়েকটি ধর্ষণের অভিযোগের তদন্তভার তুলে দেওয়া হয়েছে দুঁদে আইপিএস দময়ন্তী সেনের হাতে। এমন পরিস্থিতিতে আবারও ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার যে অভিযোগ উঠে আসছিল, তাতে অস্বস্তি আরও বেড়েছিল পুলিশের।

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই কলকাতা নিরাপদতম শহর হিসেবে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, “কলকাতা শহরে ধর্ষণের ঘটনা নথিভুক্ত ১১ টি। দিল্লিতে তা ১২২৬।” যদিও একটি ধর্ষণের ঘটনাও হওয়া উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি।