নদীতে ভাসছে করোনায় মৃতদের দেহ, সে জল গড়াল মাছ বাজারেও! কপালে হাত ব্যবসায়ীদের

যেসব মাছ (Fish Market) বিক্রি করা হয় এখানে, তা মূলত পুকুরে চাষ করা। অথচ গুজব মানুষকে এমন ভাবে বেঁধেছে, জেনে শুনেও ভয় পাচ্ছেন।

নদীতে ভাসছে করোনায় মৃতদের দেহ, সে জল গড়াল মাছ বাজারেও! কপালে হাত ব্যবসায়ীদের
নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: May 17, 2021 | 6:15 PM

জলপাইগুড়ি: কথাই আছে, জল বহু দূর গড়ায়। তবে আতঙ্কের সে জল যে মাছ বাজার (Fish Market) অবধি গড়িয়ে আসবে তা ভাবতেই পারেননি মাছ বিক্রেতারা। নদীতে কোভিড আক্রান্তদের মৃতদেহ ভাসিয়ে দেওয়ার খবর সামনে আসার পর থেকেই কপালে হাত রাজগঞ্জের বিন্নাগুড়ির মাছ ব্যবসায়ীদের। তাঁরা বলছেন, জলে দেহ ভাসার ছবি ভাইরাল হতেই মাছ কিনতে চাইছেন না লোকজন। সকালে যে মাছ নিয়ে পসার সাজাচ্ছেন, ১০টা বাজলেও ঝাঁকা ভর্তিই থেকে যাচ্ছে।

আপাতত রাজ্যজুড়ে কড়া বিধিনিষেধ চলছে। সকালে মাত্র তিন ঘণ্টার জন্য বাজার হাট বসছে। বিক্রিবাটাও অনেকটাই কম। তার উপর আবার করোনায় গঙ্গায় দেহ ভাসানোর ঘটনা নিয়ে গ্রামেগঞ্জে নানা গুজব ছড়াচ্ছে। যার জেরে মাছ বাজারে মানুষের যাতায়াত তলানিতে ঠেকেছে। কার্যত লকডাউন আর গুজবের জোড়া ফলায় বিদ্ধ হয়ে মাথায় হাত মাছ ব্যবসায়ীদের।

রাজগঞ্জ ব্লকের বিন্নাগুড়ি গ্রামপঞ্চায়েতের আমবাড়ি ফালাকাটা বাজার। সোমবার আমবাড়িতে হাটের দিন। দু’ হাত ভরে বাজার করেন মানুষ। একটু সস্তাও হয় এ দিনটা। অথচ এ সপ্তাহে একেবারে বাজার ফাঁকা। ঝাঁকা ভর্তি মাছ যেমন কে তেমনই পড়ে রয়েছে। হাতে গোনা কয়েকজন এলেন। হাজারো প্রশ্নের পর অধিকাংশই ফাঁকা হাতে ফিরেছেন।

আরও পড়ুন: ‘আইনে ভরসা আছে, শান্ত থাকুন’, দলীয় কর্মী-সমর্থকদের বার্তা অভিষেকের

আমবাড়ির মাছ ব্যবসায়ী সঞ্জয় সাহানি, নিতাই দাসেরা জানান, বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে জলে দেহ ভাসার ছবি ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই মাছ বাজারমুখী হতে চাইছেন না সাধারণ মানুষ। অনেক মাছ ব্যবসায়ী জানান, বিহারের ছবি ভাইরাল হওয়ার পর থেকে গুজব রটেছে মাছ খাওয়া যাবে না। আর সেই কারণে মাছ কিনতে আসছেন না মানুষ। এর ফলে চরম ক্ষতির মুখে সমস্ত মাছ ব্যবসায়ীরা।

তাঁদের কথায়, যেসব মাছ বিক্রি করা হয় এখানে, তা মূলত পুকুরে চাষ করা। অথচ গুজব মানুষকে এমন ভাবে বেঁধেছে, জেনে শুনেও ভয় পাচ্ছেন। একইসঙ্গে এই মাছ ব্যবসায়ীদের দাবি, “আমরা গ্রামীণ এলাকায় ব্যবসা করি। যে সময় বাজার খোলা থাকছে সে সময় দিন মজুর বাজারে আসেন না। তাই গ্রামীণ এলাকায় বাজার খোলার সময় পাল্টানো হলে ভাল হয়।”