
কলকাতা: প্রবল বৃষ্টিতে ধস নেমে উত্তরবঙ্গে যে বিপর্যয়ের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে উদ্বেগ সব মহলেই। ছুটে যাচ্ছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরা। মঙ্গলবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পর আজ বুধবার উত্তরবঙ্গে সফরে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। এই পরিস্থিতিতে অবিলম্বে আবাস যোজনায় ঘর তৈরি করে দেওয়া হোক, রাজ্য সরকারের কাছে এমনই দাবি জানালেন সুকান্ত।
বানভাসিদের জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এমন দাবি করেছেন বালুরঘাটের সাংসদ। আবাস যোজনায় বুধবার বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই কথা বলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
বানভাসিদের জন্য ত্রান বিলি করতে বুধবার জলপাইগুড়ি যান সুকান্ত। এদিন জলপাইগুড়ির তিনটি বিধানসভার বানভাসি মানুষদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। বিভিন্ন জায়গায় বানভাসি বা ঘরছাড়া পরিবারগুলি তাঁর কাছে ঘর তৈরির দাবি জানায়। ময়নাগুড়িতে এদিন এক বানভাসি পরিবার তাঁর পা ধরে ঘর তৈরি করে দেওয়ার আর্জি জানায়।
সুকান্ত বলেন, “আমি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করব, বন্যায় যাঁদের ঘর ভেঙেছে, তাঁদের স্পট ভিজিট করে রাজ্যের আধিকারিকরা যেন সঙ্গে সঙ্গে প্রথম কিস্তির টাকা অনুমোদন করে দেয়। আর সাত দিনের মধ্যে যেন ওই টাকা বানভাসিদের অ্যাকাউন্টে চলে যায়।”
ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গ সফর সেরে ফেলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে তিনি ভেঙে পড়া ব্রিজ ও রাস্তা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সারানোর নির্দেশ দিয়েছেন। নিহতদের পরিবার পিছু এক জন সদস্যকে হোমগার্ডে চাকরি দেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। দুর্গত এলাকায় কমিউনিটি কিচেন চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া, যাঁদের ঘরবাড়ি নষ্ট হয়েছে, তাঁদের নামের তালিকা তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন। যাঁদের সমস্ত নথি নষ্ট হয়ে গিয়েছে, সেগুলোও করে দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আধার কার্ড রেশন কার্ড, কাস্টা সার্টিফিকেট তৈরি করে দেওয়া হবে আলাদা ক্যাম্পের মাধ্যমে। ত্রাণ শিবিরের কাজের তদারকির জন্য় সরকারি আধিকারিকদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।