TMC Leader shot dead at Jalpaiguri: গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন হয়েছিলেন রাজগঞ্জের তৃণমূল নেতা, ধৃতকে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ

Rajganj: স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কাজের সুবাদে রবিবার সন্ধ্যায় রাজগঞ্জের ভুটকি হাট এলাকায় গিয়েছিল মহম্মদ সোলেমান। তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের তফসিলি জাতি ও উপজাতি এবং ওবিসি সংগঠনের বলরাম অঞ্চলের বুথ সভাপতি

TMC Leader shot dead at Jalpaiguri: গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন হয়েছিলেন রাজগঞ্জের তৃণমূল নেতা, ধৃতকে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ
মৃত তৃণমূল নেতা, নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 26, 2021 | 7:46 PM

জলপাইগুড়ি: খোলা বাজার এলাকায় চলে গুলি। দুষ্কৃতীর গুলিতে নিহত হন তৃণমূল নেতা (TMC Leader shot dead)। জখম হন আরও এক স্থানীয় লটারি বিক্রেতা। মৃত তৃণমূল নেতার নাম মহম্মদ সোলেমন। রাজগঞ্জে তৃণমুল নেতা খুনের ঘটনায় এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ বার,  ধৃতকে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত।

তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় সরকারি আইনজীবী বলেন, “রাজগঞ্জের এক তৃণমূল নেতাকে খুনের ঘটনায় গতকালই ওই ব্যক্তিকে চোপড়া থেকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ধৃতের কাছে বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র ছাড়াও আরও কিছু জিনিস পাওয়া গিয়েছে। হাতে এসেছে বেশ কিছু তথ্য এসেছে। অন্য দুষ্কৃতীর খোঁজ করা হচ্ছে। তদন্তের স্বার্থে ধৃতকে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

গতকালই রাজগঞ্জের তৃণমূল নেতাকে খুনের ঘটনায় দীনেশ মহম্মদ নামে এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার তাকেই আদালতে পেশ করা হয়।

রাজগঞ্জ ও জলপাইগুড়ি জেলার পুলিশ জানিয়েছে, তৃণমূল নেতা সোলেমন মহম্মদকে গুলি চালানোর ঘটনায় যুক্ত ছিল দীনেশ। ঘটনার রাতেই এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দেয় সে। বৃহস্পতিবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে  একটি বিশেষ দল চোপড়া থেকে দীনেশ মহম্মদকে গ্রেফতার করে। জলপাইগুড়ি পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত জানিয়েছেন, ধৃতকে শুক্রবার জলপাইগুড়ি আদালতে হাজির করে তদন্তের স্বার্থে পুলিশি হেফাজতের আবেদন করা হবে।

গত রবিবার, তৃণমূল নেতা মহম্মদ সোলেমনের উপর চড়াও হয় দুই দুষ্কৃতী। হামলায় গুলিবিদ্ধ হন ওই তৃণমূল নেতা এবং এক লটারি বিক্রেতা। গুরুতর জখম অবস্থায় তড়িঘড়ি তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। পরে হাসপাতালেই মৃত্যু হয় মহম্মদ সোলেমানের।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কাজের সুবাদে রবিবার সন্ধ্যায় রাজগঞ্জের ভুটকি হাট এলাকায় গিয়েছিল মহম্মদ সোলেমান। তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের তফসিলি জাতি ও উপজাতি এবং ওবিসি সংগঠনের বলরাম অঞ্চলের বুথ সভাপতি। একইসঙ্গে এলাকায় নিজস্ব ব্যবসায় ছিল তাঁর। ওদিন রাতে তিনি বাড়ি ফেরার সময় গন্ডার মোড় এলাকায় তপন মাহাতোর লটারি দোকানে বসেন। সেই সময় দু’জন দুষ্কৃতী বাইক নিয়ে এসে গুলি করে পালিয়ে যায়।

হামলার ঘটনায় গুরুতর জখম হন সোলেমান ও লটারি বিক্রেতা তপন মাহাতো। জানা গিয়েছে, মাথার পিছন দিকে গুলি লাগে সোলেমানের। দ্রুত তাঁদের শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি সোলেমানের। হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর। এদিকে ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকার মানুষ। আগে ওই এলাকায় এই ধরনের ঘটনা কখনও ঘটেনি বলেই দাবি তাঁদের।

ঘটনায় রাজগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক খগেশ্বর রায়ের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তিনি দলীয় কাজে লাটাগুড়িতে ছিলেন। দুষ্কৃতীরা শিলিগুড়ির দিকে পালিয়ে গিয়েছে বলে খবর। পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করতে তিনি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। লাটাগুড়ি থেকে ফেরার পর তিনি গোটা বিষয়টি বিশদে জানবেন।

এদিকে ঘটনাস্থলে রক্তের দাগ স্পষ্ট। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়। স্থানীয় মানুষরাও ভিড় জমাতে শুরু করেন। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছন জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত। এই হামলার বিষয়ে যদিও বিশেষ কিছু সেই মুহূর্তে জানাননি তিনি। তবে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, “গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।”

স্থানীয় সূত্রে খবর, সোলেমন মহম্মদের রাজনৈতিক পরিচয়ের পাশাপাশি চায়ের ব্যবসাও রয়েছে। সুতরাং, কেবলই রাজনৈতিক উদ্দেশে হামলা, নাকি ব্যবসায়িক কোনও শত্রুতা ছিল, সেই সব দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দীনেশ ছাড়াও অপর দুষ্কৃতীর খোঁজ করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: Seikh Sufiyan: গুরুতর অসুস্থ সুফিয়ান, ‘সিবিআইয়ের থেকে বাঁচার নাটক’, কটাক্ষ বিজেপির