Municipal Election 2022: পুলিশের সামনেই মনোনয়ন ছিঁড়ে দিল তৃণমূল নেতা, মহকুমা শাসকের কার্যালয়ের সামনেই কেঁদে ভাসালেন প্রার্থী

Bengal Municipal election 2022: তৃণমূলের বাধায় মনোনয়ন দাখিলই করতে পারলেন না ১৬ নং ওয়ার্ডের বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সিলর তথা জলপাইগুড়ি পৌরসভার বিদায়ী বোর্ডের চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল পৌলমি সাহা।

Municipal Election 2022: পুলিশের সামনেই মনোনয়ন ছিঁড়ে দিল তৃণমূল নেতা, মহকুমা শাসকের কার্যালয়ের সামনেই কেঁদে ভাসালেন প্রার্থী
তৃণমূল প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র ছিঁড়ে দেওয়া হল (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 09, 2022 | 10:08 PM

জলপাইগুড়ি: যেদিন থেকে প্রার্থী তালিকা বেরিয়েছে সেদিন থেকেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে জলপাইগুড়িতে। তালিকায় নাম না পেয়ে একদিকে যেমন নির্দলে যোগ দিয়েছেন প্রার্থীরা। তেমনই আবার বিক্ষুব্ধ প্রার্থীর মনোনয়ন ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে। গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ালো এলাকায়।

জানা গিয়েছে, তৃণমূলের বাধায় মনোনয়ন দাখিলই করতে পারলেন না ১৬ নং ওয়ার্ডের বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সিলর তথা জলপাইগুড়ি পৌরসভার বিদায়ী বোর্ডের চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল পৌলমি সাহা। এরপরই অশান্তি আরও বেড়ে যায় জেলায়।

এবার পৌর ভোটে ১৬ নং ওয়ার্ড থেকে টিকিট না পেয়ে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র দাখিল করতে গিয়েছিলেন পৌলমী দেবী। অভিযোগ সেই সময় তাকে বাধা দেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি অভিজিৎ সিনহা। তার আরও অভিযোগ মনোনয়ন কেন্দ্রের ভেতর পুলিশের সামনে অভিজিৎ সিনহা তার মনোনয়ন পত্র ছিঁড়ে দেন।

পৌলমী সাহা জানান, তিনি আজ নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করতে গিয়েছিলেন জলপাইগুড়ি সদর মহকুমা শাসকের কার্যালয়ে। মনোনয়ন কেন্দ্রের ভিতর পুলিশের সামনেই তাকে বাধা দেয় অভিজিৎ সিনহা। এরপর তাঁর হাত থেকে মনোনয়ন সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজ কেড়ে নিয়ে ছিঁড়ে দেয় অভিজিৎ। বিষয়টি তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা পুলিশ অফিসারকে জানিয়েছেন।

ঘটনায় তার বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেন অভিজিৎ সিনহা। তিনি টেলিফোনে জানান মনোনয়ন কেন্দ্রের ভেতর নির্বাচন কমিশনের সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। তাতে সব রেকর্ড হয়েছে। সেই ফুটেজ দেখলেই বোঝা যাবে কী হয়েছে। আসলে একজন নির্দল প্রার্থী ভোটে দাঁড়াতে গেলে তার ১০ জন প্রপোজার লাগে। যা উনি জোগার করতে না পেরে তৃণমূলের ওপর দোষ চাপাচ্ছেন।

অন্যদিকে, ১৪ নং ওয়ার্ডের আর এক নির্দল প্রার্থী মালবিকা ঘোষেরও মনোনয়ন পত্র ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠলো যুব তৃণমূল জেলা সভাপতি সৈকত চ্যাটার্জীর বিরুদ্ধে। খোদ মহকুমা শাসকের দফতরে তাঁর ফর্ম ছিঁড়ে দেওয়ায় কেঁদে ভাসালেন প্রার্থী। গোটা ঘটনায় পুলিশ সুপারের দারস্থ হয়েছেন তিনি। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দেন যুব তৃণমূল জেলা সভাপতি।

প্রসঙ্গত, আজ সারাদিন মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে জেলায় কম নাটক হয়নি। পুলিশি বাধার মুখে পড়ে শাসক দলের টিকিট না পাওয়া আরও এক বিক্ষুব্ধ নেতা মনোনয়ন দাখিল করতে পারেননি। একে তো মনোনয়ন জমা দিতে পারলেন না, উল্টে পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে স্বতপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে। শুধু তাই নয় টেনে হিঁচড়ে প্রার্থীকে তোলা হয় পুলিশের গাড়িতে। এই নিয়ে দিনভর চলে নাটক।

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা