Weed Smuggling: ৪০০ কেজি গাঁজা! তেলের ট্যাঙ্কার আটক করতেই তাজ্জব পুলিশ কর্তারা
Jalpaiguri: তদন্তকারীরা দেখেন, নির্দিষ্ট সময় মতোই জাতীয় সড়কে এসে পৌঁছয় একটি তেলের ট্যাঙ্কার। সেটিকে আটক করে তল্লাশি শুরু করতেই চোখ কপালে পুলিশ কর্তাদের!
জলপাইগুড়ি: বাইরে থেকে দেখলে একটা আস্ত তেল ট্যাঙ্কারই। কিন্তু সেই ট্যাঙ্কারের ভেতরে যে এইভাবে পাচারকার্য চলতে পারে তা বোধহয় ভাবতেও পারেননি পুলিশকর্তারা। একটি আস্ত তেলের ট্যাঙ্কার থেকে উদ্ধার হল, এক-দু’ কেজি নয়, একেবারে ৪০০ কিলো গাঁজা (Weed Smuggling)! আর সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল।
জলপাইগুড়ি আমবাড়ি ফাঁড়ির পুলিশ জানিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরেই গোপনে গাঁজা পাচারের খবর আসছিল। তবে, সেভাবে দুষ্কৃতীদের পাকড়াও করা সম্ভব হচ্ছিল না। এরপর গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গাঁজা পাচারকারীদের বিরুদ্ধে বড়সড় অভিযান চালান তদন্তকারীরা। তাঁরা পূর্বেই খবর পেয়েছিলেন, জাতীয় সড়ক ধরে বন্ধু নগর এলাকা থেকে একটি ফাঁকা পেট্রোল ট্যাঙ্কারে তেলের বদলে গাঁজা নিয়ে যাওয়া হবে। খবর পেয়েই জাতীয় সড়কে নাকা চেকিং শুরু করে পুলিশ।
এরপর তদন্তকারীরা দেখেন, নির্দিষ্ট সময় মতোই জাতীয় সড়কে এসে পৌঁছয় একটি তেলের ট্যাঙ্কার। সেটিকে আটক করে তল্লাশি শুরু করতেই চোখ কপালে পুলিশ কর্তাদের! তেলের বদলে ট্যাঙ্কারে সাজানো হয়েছে থর থরে প্যাকেট। সেই প্যাকেটের ভেতর ভর্তি গাঁজা। সব মিলিয়ে প্রায় ৪০০ কেজি গাঁজা উদ্ধার হয়। যার বাজার মূল্য অন্তত ২০ লক্ষ টাকা বলে অনুমান তদন্তকারীদের। সঙ্গে সঙ্গেই ট্যাঙ্কার চালক বিকাশ রায়কে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আমবাড়ি থানা সূত্রে খবর, ধৃত বিকাশ রায় গৌহাটি থেকে বিহারে নিয়ে যাচ্ছিলেন ওই ট্যাঙ্কার। তবে, কে বা কারা এই গাঁজা পাচার করতে সেসম্পর্কে কিছুই জানেন না বিকাশ। জেরায় ধৃত জানিয়েছেন, তিনি কেবল মালিকের হয়ে গাড়ি চালান। গাড়িতে গাঁজা ছিল তা তিনি জানতেন বটে, তবে কাদের জিনিস, কারাই বা পাবেন তা জানতেন না। বিহার থেকেই বা ওই ট্যাঙ্কার কোথায় পাঠানো হবে, তাও জানতেন না বিকাশ। তদন্তকারীদের যদিও অনুমান, বিকাশ তথ্য গোপন করছেন। তাঁকে আরও জেরা করলেই এই গাঁজা চক্রের নেপথ্যে কারা রয়েছে, তাদের নাম উঠে আসবে।
কিছুদিন আগেই মধ্য প্রদেশে বাবা-ছেলের একটি বিশাল গাঁজা চক্রের খোঁজ মেলে। ই-কমার্স সংস্থা অ্যামাজনের মাধ্যমে চলত গাঁজা বিক্রি। বিশাখাপত্তনম থেকে ওই বাবা ও ছেলেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: Kolkata Police: সবচেয়ে সুরক্ষিত! তবুও প্রশ্ন, শহরজুড়ে সিসিটিভি ক্যামেরা বসাতে ব্যর্থ কলকাতা পুলিশ