Woman Attack: মাঝবয়সী মহিলার ঘাড় বেয়ে নামছে রক্ত, মাটিতে পড়ে সমানে কেঁদে চলেছেন, কারণ শুনলে অবাক হবেন…

Jalpaiguri: রিঙ্কুদেবীর অভিযোগ, রবিবার তখন সন্ধ্যা। ছাগল নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। সেই সময় তাঁর দুই প্রতিবেশী মহিলা তাঁকে দাঁড় করিয়ে গালিগালাজ করেন।

Woman Attack: মাঝবয়সী মহিলার ঘাড় বেয়ে নামছে রক্ত, মাটিতে পড়ে সমানে কেঁদে চলেছেন, কারণ শুনলে অবাক হবেন...
অভিযোগকারী রিঙ্কু হালদার। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 21, 2022 | 6:50 AM

জলপাইগুড়ি: ভয়ঙ্কর কাণ্ড ময়নাগুড়িতে। গ্রাম্য বিবাদের জেরে এক মহিলার কান কেটে রক্তারক্তি। এক মহিলা তাঁর ছাগল নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। তাঁরই এক পড়শির সন্দেহ হয়, ওই ছাগলই পড়শির খেতের পাট খেয়ে নিয়েছে। এই নিয়ে তুমুল ঝামেলা শুরু হয়। এরপরই পড়শি মা-মেয়ে মিলে ওই ছাগলের মালকিনকে বেধড়ক মারধর করেন বলে অভিযোগ। কানের লতি ছিঁড়ে দেন বলেও অভিযোগ। আক্রান্ত মহিলা ময়নাগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগকারী জানান, ওই মা-মেয়ে প্রায় প্রায়ই ঝামেলা করেন। মেয়ের বিয়ে হয়ে গেলেও, বাপের বাড়িতে আসলেই ঝগড়া করেন তাঁদের সঙ্গে। এদিন সেই ঝামেলা সীমা ছাড়িয়ে যায় বলে দাবি অভিযোগকারীর।

ময়নাগুড়ি থানা এলাকার ঝাজাঙ্গি এলাকা। সেখানেই বাড়ি রিঙ্কু হালদারের। রিঙ্কু হালদারের উপরই হামলা হয় বলে অভিযোগ। তাঁর ছাগল পাট খেয়ে নিয়েছে, এক প্রতিবেশীর নিছক সন্দেহের ফল যে এতটা ভয়াবহ হতে পারে, ভাবতেই পারছেন না এলাকার লোকজন। রিঙ্কুদেবীর অভিযোগ, রবিবার তখন সন্ধ্যা। ছাগল নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। সেই সময় তাঁর দুই প্রতিবেশী মহিলা তাঁকে দাঁড় করিয়ে গালিগালাজ করেন। মিথ্যা অভিযোগ শুনে প্রতিবাদ করেন রিঙ্কু।

রিঙ্কু হালদারের কথায়, “আমি ছাগল নিয়ে যাচ্ছিলাম। আমাদেরই এলাকার একজন বাড়ি থেকে আমাকে দেখতে পায়। চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে। সমানে বলতে থাকে, ‘তোর ছাগলে পাট খেয়েছে’। বলতে বলতে একেবারে আমার সামনে চলে আসে। আমি আবার পাল্টা বললাম, দেখছ ছাগলটা আমার হাতে ধরা, কীভাবে ও পাট খায়? ও কোনও কথাই শুনতে চায়নি। খুব গালাগাল করতে থাকে। আমি বলি, তুমি কি নিজের চোখে আমার ছাগলকে পাট খেতে দেখেছ? আমিও দেখিনি, তুমিও দেখনি, তা হলে প্রমাণ দাও। এদিকে ততক্ষণে ওই মেয়েটার পিছু পিছু ওর মা-ও চলে আসে। দু’জন মিলে আমাকে মারধর শুরু করে। এমনভাবে কানে টান মেরেছে, কানের দুল ছিঁড়ে, কানের লতি ছিঁড়ে রক্তারক্তি কাণ্ড। আমার গলায় একটা হার পরা ছিল, সেটাও নিয়ে নিয়েছে। কান থেকে রক্ত বের হতে থাকে। আমি তো ওখানেই পড়ে যাই।”

ওই মহিলার কথায়, যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকেন তিনি। বাড়ির অদূরেই এই ঘটনা ঘটে। পাড়ার সকলেরই চেনা তিনি। অথচ ঘটনার সময় একজন প্রতিবেশীও এগিয়ে যাননি বলে অভিযোগ করেন রিঙ্কু। সকলে চুপ করে দাঁড়িয়ে দেখছিল। হইহট্টগোল শুনে রিঙ্কুর ছেলে ছুটে আসেন। টোটোয় চাপিয়ে রক্তাক্ত মাকে নিয়ে ময়নাগুড়ি হাসপাতালে যান। ছ’টা সেলাই পড়েছে রিঙ্কুর কানের নীচে। সোমবার ময়নাগুড়ি থানায় প্রতিবেশি মা, মেয়ের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানান। তবে অভিযুক্তদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তাঁদের বাড়িতে পাওয়া যায়নি। ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।