Protest: একুশের ভোটে কাজ করে এখনও মেলেনি টাকা, বিডিও অফিসের গেটে ধরনা ভিডিওগ্রাফারদের

Jalpaiguri News: রাজগঞ্জের বিডিও পঙ্কজ কোনার বলেন, ওনারা কিছু টাকা পেয়ে গিয়েছেন। কিছু টাকা বকেয়া রয়েছে। টাকা এলে বিল মিটিয়ে দেওয়া হবে।

Protest: একুশের ভোটে কাজ করে এখনও মেলেনি টাকা, বিডিও অফিসের গেটে ধরনা ভিডিওগ্রাফারদের
বিডিও অফিসের সামনে ধরনা।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 03, 2023 | 6:28 AM

জলপাইগুড়ি: ভোটের সময় ভিডিয়োগ্রাফির কাজ করেছিলেন একদল যুবক। অভিযোগ, সেই টাকা তাঁদের এখনও মেটানো হয়নি। বকেয়া টাকা চেয়ে এবার বিডিও অফিসের সামনে বিক্ষোভ ওই ঠিকাদার-সহ কর্মীরা। সোমবার বিডিও অফিসের গেট আটকে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। একুশের বিধানভা নির্বাচনে ভিডিওগ্রাফি করিয়েছিলেন ঠিকাদার। এই কাজে যাঁদের যুক্ত করেন, এখনও তাঁদের টাকা মেটাতে পারেননি বলে অভিযোগ। প্রতিদিন পাওনাদাররা বাড়িতে চড়াও হন। এমনই অভিযোগ তুলে এদিন রাজগঞ্জে বিডিও অফিসের সামনে বসে পড়েন ঠিকাদার-সহ কর্মীরা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। অভিযোগ প্রায় ২০ লক্ষ টাকার কাজ হয়েছিল। মেরেকেটে ৫ লক্ষ টাকা পেয়েছেন। সিংহভাগ টাকাই এখনও বাকি পড়ে আছে। ঠিকাদারদের অভিযোগ গত দু’বছরে তাঁদের মাত্র ২৫ শতাংশ টাকা দেওয়া হয়েছে। বাকি টাকার জন্য গত দু’বছর ধরে বিভিন্ন সরকারি দফতরে ঘুরেও লাভ হয়নি।

এরপরই সোমবার দুপুর থেকে রাজগঞ্জ বিডিও অফিসের গেট আটকে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হন প্রায় ৫০ জন যুবক। বিকেল অবধি চলে বিক্ষোভ। পরে পুলিশ এসে বিডিওর কাছে নিয়ে যায় তাঁদের। মিলন চন্দ নামে এক ঠিকাদারের কথায়, “আমরা ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে ভিডিয়োগ্রাফির কাজ করেছিলাম। সেই টাকা এখনও পাইনি। আমরা বিডিও, ডিএম-সহ অনেককেই বলেছি। তবে কাজ হয়নি। বহু কলেজ পাশ করা ছেলে কাজ করেছিল। কাজ করিয়ে এখনও টাকা দেয়নি। ২০ লক্ষ টাকার কাছাকাছি কাজ হয়েছিল। এর মধ্যে ২০ শতাংশের মতো পেয়েছি। ৫ লক্ষ টাকা ২ জন পেয়েছি। এখনও প্রায় ১৪ লক্ষ টাকা পাব আমরা।”

ভিডিওগ্রাফির কাজ করেন আকাশ সাহা নামে এক যুবক। এদিন বিক্ষোভে শামিল হয়েছিলেন তিনিও। আকাশ বলেন, “২০২১ সালে আমরা ভোটের কাজ করি। এতদিন পরও কেন টাকা পেলাম না সেটাই প্রশ্ন। আমার ব্যক্তিগতভাবে ১৭ হাজার ৪০০ টাকা। যে দাদাদের অধীনে কাজ করেছিলাম, তাঁদের বললে, ওনারা বলছেন, বিডিওর সঙ্গে কথা বলেছেন। কাজ হয়নি।” যদিও এ প্রসঙ্গে রাজগঞ্জের বিডিও পঙ্কজ কোনার বলেন, ওনারা কিছু টাকা পেয়ে গিয়েছেন। কিছু টাকা বকেয়া রয়েছে। টাকা এলে বিল মিটিয়ে দেওয়া হবে। নির্বাচন কমিশনের আওতায় কাজ করে কেন এখন টাকার জন্য দোরে দোরে ঘুরতে হবে, প্রশ্ন তুলেছেন বিক্ষোভকারীরা।