Woman Harrasment: নির্যাতনে দু’বার গর্ভের সন্তান খুইয়ে রুখে দাঁড়ালেন তরুণী, স্বামীর বিরুদ্ধে সটান হাজির থানায়

Crime News: পুলিশ সূত্রে খবর, ২০২০ সালে ময়নাগুড়ি উত্তর খাগড়াবাড়ি এলাকার বাসিন্দা পম্পা রায়ের সঙ্গে বিয়ে হয় ময়নাগুড়ি পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের আশিস রায়ের।

Woman Harrasment: নির্যাতনে দু'বার গর্ভের সন্তান খুইয়ে রুখে দাঁড়ালেন তরুণী, স্বামীর বিরুদ্ধে সটান হাজির থানায়
স্বামীর বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 19, 2022 | 8:51 AM

জলপাইগুড়ি: পণের টাকা দিতে পারেনি মেয়ের মা-বাবা। অভিযোগ, সেই রাগে স্ত্রীকে নিয়মিত মারধর করেন স্বামী। পর পর গর্ভের দুই সন্তানকেও খোয়াতে হয়েছে এই অত্যাচারে। এরপরই রুখে দাঁড়ান তিনিও। স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। ওই তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিকে সোমবার অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। ময়নাগুড়ি থানা এলাকার ঘটনা।

পুলিশ সূত্রে খবর, ২০২০ সালে ময়নাগুড়ি উত্তর খাগড়াবাড়ি এলাকার বাসিন্দা পম্পা রায়ের সঙ্গে বিয়ে হয় ময়নাগুড়ি পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের আশিস রায়ের। দেখেশুনেই বিয়ে হয়েছিল তাঁদের। পম্পার অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই বারবার তাঁর গায়ে হাত তুলতেন স্বামী। তাতে শ্বশুরবাড়ির লোকজন মদত দিতেন। মূলত পম্পাকে বাপের বাড়ি থেকে টাকা পয়সা নিয়ে আসার জন্যই চাপ দেওয়া হত বলে অভিযোগ। এরইমধ্যে সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়েন পম্পা। কিন্তু তাতেও স্ত্রীর উপর অত্যাচার বিন্দুমাত্র কমেনি। গার্হস্থ্য হিংসার বলি হয় পম্পার গর্ভের সন্তান।

পরে ফের সন্তানসম্ভবা হন পম্পা। অভিযোগ, এবারও একই ঘটনা ঘটে। এরপরই রুখে দাঁড়ানোর কথা ভাবেন ওই তরুণী। পালিয়ে বাপের বাড়িতে যান। সেখান থেকে প্রথমে হাসপাতাল, পরে থানা। পম্পা রায়ের কথায়, “শ্বশুরবাড়িতে সবসময় অত্যাচার করে, মারধর করে। আমার আগের বাচ্চাটাকেও মারধর করে গর্ভেই নষ্ট করে দেয়। এবারও একই ঘটনা। তিন মাসের বাচ্চা ছিল পেটে। তাকে শেষ করেছে মারধর করে। এরপর আমি বাড়ি থেকে পালিয়ে পিসির বাড়িতে চলে গিয়েছিলাম। রাতে সেখানে ছিলাম। পরদিন বাপের বাড়ির লোকেরা গিয়ে নিয়ে আসে। হাসপাতালে ভর্তি করে। খুব রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। পরে আলট্রাসোনোগ্রাফিতে দেখা গেল বাচ্চাটা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ময়নাগুড়ি হাসপাতাল থেকে আমাকে জলপাইগুড়ি হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে ওয়াশ করার পর বাড়ি ফিরে থানায় যাই। আমি চাই ওদের শাস্তি।”

সোমবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে ময়নাগুড়ি থানায় যান। স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির মোট ৬ জনের বিরুদ্ধে ময়নাগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আশিস রায়। ময়নাগুড়ি থানার আইসি তমাল দাস বলেন, “আমরা লিখিত অভিযোগ পেতেই অভিযুক্তর বাড়িতে যাই। আশিস রায়কে গ্রেফতার করি। তাঁকে মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হবে। অন্যান্য অভিযুক্তরা পলাতক। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।”