মুখ্যমন্ত্রী পদ! এটাই কি দূরত্বের কারণ? শুভেন্দুর তৃণমূল-বিচ্ছিন্নতা নিয়ে নয়া ইঙ্গিত কল্যাণের

TV9 বাংলা ডিজিটাল: ‘গামছা পরা ছেলে’, ‘পান্তা খাওয়া ছেলে’টা নাকি হয়ে উঠেছেন ‘দিদি’র সমকক্ষ! তিনি নাকি মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার! আর তা না দেওয়াতেই গোঁসা! বর্তমান বঙ্গ রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ‘শুভেন্দু অধিকারী’ (Suvendu Adhikari) নামটা ফিরছে লোকের মুখে মুখে। প্রশ্ন একটাই- একুশের নির্বাচন যেখানে এত বড় একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে ঘাস ফুল শিবিরের কাছে, সেখানে একদা মমতার […]

মুখ্যমন্ত্রী পদ! এটাই কি দূরত্বের কারণ? শুভেন্দুর তৃণমূল-বিচ্ছিন্নতা নিয়ে নয়া ইঙ্গিত কল্যাণের
মুখ্যমন্ত্রী পদ! এটাই কি দূরত্বের কারণ? শুভেন্দুর তৃণমূল-বিচ্ছিন্নতা নিয়ে নয়া ইঙ্গিত কল্যাণের
Follow Us:
| Updated on: Nov 13, 2020 | 10:45 AM

TV9 বাংলা ডিজিটাল: ‘গামছা পরা ছেলে’, ‘পান্তা খাওয়া ছেলে’টা নাকি হয়ে উঠেছেন ‘দিদি’র সমকক্ষ! তিনি নাকি মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার! আর তা না দেওয়াতেই গোঁসা! বর্তমান বঙ্গ রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ‘শুভেন্দু অধিকারী’ (Suvendu Adhikari) নামটা ফিরছে লোকের মুখে মুখে। প্রশ্ন একটাই- একুশের নির্বাচন যেখানে এত বড় একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে ঘাস ফুল শিবিরের কাছে, সেখানে একদা মমতার ছায়াসঙ্গী, নন্দীগ্রামের আন্দোলনের সহযোদ্ধা কেন ‘বিচ্ছিন্ন’ হয়ে যাচ্ছেন? তাহলে উত্তর সেই ‘পদ’? কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Kalyan Banerjee) মন্তব্যে অন্তত তেমনটাই ইঙ্গিত মিলল।

দাপুটে মন্ত্রী বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে যে দলকে কিছুটা হলেও ভুগতে হবে, তা ভালভাবেই আঁচ করতে পারছেন তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা। শুভেন্দুকে ফের সক্রিয় ভাবে দলের মূলস্রোতে ফেরানোর বার্তা দাবি ও আবেদন আকারে সমাজমাধ্যমে ছড়িয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর ফেসবুক পেজের পাশাপাশি শুভেন্দুর সঙ্গে সংযুক্ত সমাজমাধ্যমেও অনেকেই ‘দ্রুত সংসার জোড়া দেওয়া’র কথা লিখেছেন।

এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার ঘাটালে বিজয় সম্মেলনীর মঞ্চে সোজাসুজি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না নিলেও ‘দলনেত্রী’র নাম নেন তিনি। যা গত কয়েকদিনের ধারা থেকে যথেষ্টই আলাদা। শুভেন্দুর মুখে ‘দলনেত্রী’র কথা ফিরে আসায় চর্চা শুরু হয়েছে তৃণমূলের অন্দরে।

কিন্তু এসবের মধ্যেই আবারও অন্য একটা দিক উস্কে দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। শেওড়াফুলির একটি সভা থেকে তাঁর কটাক্ষ, “এখনও হয়তো বিজেপি থেকে মুখ্যমন্ত্রী, উপ-মুখ্যমন্ত্রীর পদ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়নি। লিখে রাখুন দেবে না।” কল্যাণের সাফ কথা, “তৃণমূলের একজনই দলনেতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলে থেকে বিরোধিতা করা চলবে না।” সত্যিই বিজেপি থেকে ‘মুখ্যমন্ত্রী’ বা মুখ্যমন্ত্রী পদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে শুভেন্দুকে? কল্যাণের মন্তব্যে জল্পনা আরও ঘোরালো হলো।

এক সময় ঘাটালে পরিবহণ মন্ত্রীর একটি মন্তব্যও কিন্তু কিছুটা সেই ইঙ্গিত মিলেছিল বলে রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা। শুভেন্দু বলেন, “কাঁথির লোক, মেদিনীপুরের মানুষ শুধু চাকরবৃত্তি করেন না।” হঠাত্ কেন এই প্রসঙ্গ? সেক্ষেত্রে শুভেন্দু ব্যাখ্যা দিয়েছেন অন্য। তাঁর বক্তব্য, তিনি নাকি এই কথাটা একবার প্রয়াত ডক্টর নীতীশ সেনগুপ্তকে বলেছিলেন। তিনি যেসময় কাঁথিতে নির্বাচনে লড়তে এসেছিলেন, সেসময় এক প্রসঙ্গে একথা তাঁকে বলেছিলেন শুভেন্দু। যদিও সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে শুভেন্দুর এই কথা যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

নন্দীগ্রামের সভায় শুভেন্দুর গলায় ‘ভারতমাতা জিন্দাবাদ’ তাঁর পদ্ম-শিবিরে যাওয়া নিয়ে চর্চাতেও অক্সিজেন জুগিয়েছিল। আর এদিন ঘাটালের সভায় বললেন, “অন্যরা দেখবে আর জ্বলবে।” কথাটার তাত্পর্যপূর্ণ না হলেও কাদের ইঙ্গিত করা হল তা নিয়ে ভাবিত অনেকেই।