Civic Volunteer: আমবাগানে ঝুলছে সিভিক ভলান্টিয়ারের দেহ, কাঠগড়ায় মহিলা সহকর্মী, নেপথ্যে পরকীয়া?

Civic Volunteer: বিগত কিছুদিন ধরে লিলিকে খানিক এড়িয়ে চলছিলেন মনজির। পরিবারের সদস্যদের দাবি, স্ত্রী সন্তানের কথা ভেবেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েছিলেন ওই যুবক।

Civic Volunteer: আমবাগানে ঝুলছে সিভিক ভলান্টিয়ারের দেহ, কাঠগড়ায় মহিলা সহকর্মী, নেপথ্যে পরকীয়া?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 08, 2022 | 8:21 PM

চাঁচোল: সিভিক ভলান্টিয়ারের (Civic Volunteer) কাজ করতে গিয়ে আলাপ। সেখান থেকে প্রণয়ের সম্পর্ক। এদিকে বিবাহিত দুজনকেই। অগত্যা বাড়িতে না জানিয়ে চলতে থাকে পরকীয়া (Extra Marital Affair)। সূত্রের খবর, সম্প্রতি দুজনের সম্পর্কে চিড় ধরতেই ক্ষেপে ওঠেন প্রেমিকা। বাড়িতে গিয়ে প্রেমিকের স্ত্রীর সামনেই দিয়ে আসেন হুমকি। তারপরেই আমবাগান থেকে উদ্ধার হল প্রেমিকের দেহ। এ ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদার চাঁচলের খরবা গ্রাম পঞ্চায়েতের গোপালপুর গ্রামে। খুনের (Murder)অভিযোগ উঠেছে এলাকার এক মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে। 

সূত্রের খবর, চাঁচল ১ নম্বর ব্লকের খরবা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার গোপালপুর গ্রামে বাড়ি মনজির ঔরাঙ্গজেবের৷ বয়স ৩৪ বছর৷ পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর সাতেক আগে মনজির সিভিক ভলান্টিয়ারের চাকরি পান৷ চাঁচল থানার অধীনে কাজ করতেন তিনি। তাঁর বিয়েও হয়ে গিয়েছে। ছয় ও চার বছরের দুটি ছেলেও রয়েছে৷ স্ত্রী ও সন্তান ছাড়া বাড়িতে রয়েছেন বৃদ্ধ বিধবা মা ও ছোট ভাই৷ তবে তাঁর উপার্জনেই সংসার চলছিল৷ সূত্রের খবর, মনজির যে সময় চাকরি পান সেই একইসময় একই থানার অধীনে কাজে যোগ দেন ফিরদৌসি খাতুন ওরফে লিলি। একসঙ্গে কাজ করতে করতেই দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। দুজনের মধ্যে পরকীয়ার সম্পর্কও ছিল। ৩০ বছর বয়সী লিলির বাড়ি ওই এলাকারই কালীগঞ্জ গ্রামে৷ তিনিও বিবাহিত৷ তাঁরও সন্তান রয়েছে৷ তবে কিছুদিন আগে তাঁর বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায় বলে জানা যাচ্ছে। 

সূত্রের খবর, বিগত কিছুদিন ধরে লিলিকে খানিক এড়িয়ে চলছিলেন মনজির। পরিবারের সদস্যদের দাবি, স্ত্রী সন্তানের কথা ভেবেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েছিলেন ওই যুবক। সে কারণেই লিলির সঙ্গে যোগাযোগ কমিয়ে দিয়েছিলেন। অভিযোগ, যোগাযোগ কমে আসতেই লিলির মাথায় আগুন জ্বলে ওঠে। অভিযোগ, বুধবার সন্ধ্যায় ৪-৫ জনকে সঙ্গে নিয়ে লিলি মনজিরের বাড়িতে চড়াও হন৷ মনজিরের মা ও স্ত্রীকে হুমকিও দেন বলে অভিযোগ। মনজির তাঁর ফোন না ধরলে তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলারও হুঁশিয়ারি দিয়ে আসেন। সূত্রের খবর, তারপর থেকেই মনজিরের আর খোঁজ পাচ্ছিলেন না পরিবারের সদস্যরা৷ কাজ শেষে রাতে বাড়ি ফেরেননি মনজির৷ সকালে বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে একটি আমবাগানে মনজিরের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান কয়েকজন কৃষক৷ তাঁরাই প্রথম গ্রামে এসে ঘটনার কথা জানান। তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা গ্রামে। এদিকে ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারকে আটক করেছে চাঁচোল থানার পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।