Mid Day Meal: জলে দুর্গন্ধ, ঘোলাটে লাল রং, তাই দিয়েই চলে মিড ডে মিলের রান্না
Malda news: স্কুলে ঘেরাও করে রাখা হয় প্রধান শিক্ষক ও অন্যান্য শিক্ষকদের। অভিভাবকদের অভিযোগ, গত একমাসে প্রায় সাতজন শিশু অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
মালদা: মিড ডে মিলের (Mid Day Meal) রান্না হোক বা অঙ্গনওয়াড়ির রান্না… বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অভিযোগ উঠে এসেছে। কখনও খিচুড়িতে সাপ, কখনও টিকটিকি, কখনও আরশোলা পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এবার পড়ুয়াদের খাবারের জলেও বিষের অভিযোগ। অভিভাবকরা অভিযোগ তুলছেন, নোংরা ও দুর্গন্ধযুক্ত জল পান করতে হচ্ছে পড়ুয়াদের। শুধু তাই নয়, এই জল দিয়েই মিড ডে মিলের রান্না চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। ঘটনাটি মালদার চাঁদমুনি ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের কুমারিয়া প্রাথমিক স্কুলে। এই নোংরা পানীয় জলের অভিযোগ তুলেই এদিন স্কুলে এসে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবক-অভিভাবিকারা। স্কুলে ঘেরাও করে রাখা হয় প্রধান শিক্ষক ও অন্যান্য শিক্ষকদের। অভিভাবকদের অভিযোগ, গত একমাসে প্রায় সাতজন শিশু অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, বারবার বিডিওকে জানিয়েও কোনও ফল হয়নি। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই তাঁরা স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও অন্যান্য শিক্ষকদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। স্কুলের গেটে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, এই এলাকায় জলের মধ্যে অনেক বেশি পরিমাণে আর্সেনিক, আয়রন সহ অন্যান্য মিনারেল রয়েছে। কল থেকে যে জল বেরোয়, তা অনেক ঘোলা। গ্রামবাসীরা অভিযোগ করছেন, এই জলে কাপড় পর্যন্ত কাঁচা দুষ্কর হয়ে ওঠে। সাদা কাপড় কাঁচতে গেলে তা অন্য রং হয়ে যায়। তাই বাধ্য হয়ে গ্রামবাসীদের পুকুরের জল ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু অভিযোগ উঠছে, এই জলই স্কুলের পড়ুয়াদের খেতে হচ্ছে। শুধু তাই নয়, মিড ডে মিলের রান্নাও এই জলেই করা হয়।
বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে স্থানীয় পঞ্চায়েতে ও বিডিওকে জানানো হলেও এখনও কোনও সমাধান হয়নি। এদিকে গত একমাসে প্রায় সাতজন শিশু অসুস্থ হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। অতীতেও শিশুরা অসুস্থ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে জানতে স্কুলের শিক্ষকদের সঙ্গেও কথা বলা হয়েছিল টিভি নাইন বাংলার তরফে। বিজন কুমার কর নামে এক সহকারি শিক্ষকও বলছেন, ‘জল দুর্গন্ধযুক্ত। অদ্ভুত এক গন্ধ। সকালে আসলে প্রথমে লাল রঙের জল বেরোয়। ওই জলেই মিড ডে মিলের রান্না হয়, বাচ্চারা খায়। আমরা চাই বিকল্প কিছু ব্যবস্থা হোক।’