
মালদহ: TV9 নাইন বাংলার খবরের জের। BLO পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল তৃণমূল নেতা তথা তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যকে। মালদহের মানিকচকের এনায়েতপুরে বিএলও করা হয় তৃণমূলের নেতা তথা এনায়েতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য মতিউল আনসারি। তিনি শ্যামপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। আমরা সেই খবর করার পরেই তৎপর হয় প্রশাসন। সরিয়ে দেওয়া হল তাঁকে। তাঁর জায়গায় নতুন বিএলও করা হল ইদ্রিস আলিকে। তিনি মিরাগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
প্রসঙ্গত, রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বুধবারই অভিযোগ করেছিলেন, অনেক BLO-ই রয়েছেন, যাঁরা সরাসরি শাসকদলের সঙ্গে যুক্ত। এই নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টিও আকর্ষণ করেছেন তিনি। পাশাপাশি নিজের সামাজিক মাধ্যমে এরকম BLO-র নাম প্রকাশও করেন। হরিণঘাটা ১ নম্বর ব্লকের BLO-র নামও উল্লেখ করেন।
মালদহের মানিকচকের এনায়েতপুরে শ্যামপুর প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক মতিউল আনসারির নাম প্রকাশ্যে আসে। তিনি এনায়েতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য।তিনিই আবার এনায়েতপুরেই ১৫৬নম্বর বুথের বিএলও। এলাকার পরিচিত তৃণমূল নেতা। আর তিনিই আবার বিএলও।বুধবারই এই খবর সামনে আনে TV9 বাংলা।
সেই স্কুলে সেই তৃণমূল নেতার বক্তব্য নিতে গিয়ে আমদের একরকম হুমকির মধ্যে পড়তে হয়। প্রথমে স্কুলের প্রধান শিক্ষক জিব্রায়েল সেখ প্রথমে আমাদের জানান ওই তৃণমূল নেতা স্কুলেই আসেন নি,বাড়িতে আছেন। পরে স্কুলের ভেতরে কয়েকটি ক্লাস ঘর খুঁজতে গিয়েই BLO কে ধরে ফেলেন সাংবাদিকরা। তিনি ক্যামেরা, বুম ঠেলে সরিয়ে সেখান থেকে সরে যেতে চাইছিলেন।
ওই বিএলও-কে দায়িত্ব থেকে সরানোর দাবি জানিয়ে বিডিও-কে চিঠি দিয়েছে সিপিএম। বাম এই দলের মানিকচকের আহ্বায়ক দেবজ্যোতি সিনহা বলেন, “বিএলও নিয়োগ করেন বিডিও। বিডিও অফিস থেকে যে তালিকা দেওয়া হয়েছে, সেখানে দেখা গিয়েছে, তৃণমূলের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি বিএলও। তৃণমূলের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি যদি বিএলও-র দায়িত্ব পালন করেন, তাহলে গোটা প্রক্রিয়ার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। সেজন্য আমরা দাবি জানিয়েছে, ওই শিক্ষককে সরিয়ে অন্য কাউকে বিএলও-র দায়িত্ব দিতে হবে।”