
মালদহ: শুরু থেকেই বিএলও-দের বিরুদ্ধে উঠেছে গুচ্ছ গুচ্ছ অভিযোগ। নড়েচড়ে বসেছিল নির্বাচন কমিশন। বাড়ি বাড়ি না গিয়ে যত্রতত্র ফর্ম দেওয়ার অভিযোগে বেশ কিছু বিএলও-দের কাছে গিয়েছে শোকজ নোটিস। তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জলঘোলাও কম হয়নি। তারপরেও কি ছবিটা বদলেছে? এবার অভিযোগ আসছে মালদহ থেকে। ঘরে বসে ফর্ম বিলি করছেন বিএলও। আসছে এমন অভিযোগ। তার জেরে বহু গ্রামবাসী ফর্মই পাচ্ছেন না। তাতেই পঞ্চায়েত অফিসের সামনে আছড়ে পড়ল বিক্ষোভ। সরগরম রাজনৈতিক মহল।
ক্ষোভে ফুঁসছেন মালদহের চাঁচলের মতিহারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সন্তোষপুরের বাসিন্দারা। সরব বিরোধীরাও। ইতিমধ্যেই কমিশনে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়ে ফেলেছে বিজেপি। সন্তোষপুর গ্রামের ২০৮ নং বুথের বিএলও জাফর ইকবাল। তাঁর বিরুদ্ধেই কর্তব্য গাফিলতির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গ্রামবাসীরা বলছেন এসআইআরের মূল পর্ব শুরু হতেই বিএলও ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন না। উল্টে নিজের বাড়ি থেকে ফর্ম দিচ্ছেন। ফলে অধিকাংশ গ্রামবাসী এখনও ফর্ম হাতে পাননি। কিন্তু সময় আর বেশি নেই। সে কারণেই উদ্বেগের মেঘ গোটা গ্রামেই।
এদিন বিএলও-র অপসারণের দাবি স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনে বিক্ষোভ দেখান গ্রামের প্রচুর মানুষ। যদিও ক্ষোভের মুখে গ্রামবাসীদের দাবি মানতে নারাজ অভিযুক্ত বিএলও। তিনি বলছেন আসলেই নাকি এটা গ্রাম্য বিবাদ। তাঁকে বদনাম করার চেষ্টাতেই গ্রামের একাংশের লোকজন এইসব কাজ করছে। তবে সুর চড়াচ্ছে বিজেপি। কমিশনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপি নেতা অভিষেক সিংহানিয়া। এখন দেখার শেষ পর্যন্ত জল কোনদিকে গড়ায়।