Govt School: সরকারি স্কুলে ক্লাস নিচ্ছেন রাঁধুনি, তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা

Cook: মোট চারজন শিক্ষক রয়েছেন এই বিদ্যালয়ে। তার মধ্যে একজন রয়েছেন ছুটিতে। আরেক পার্শ্ব শিক্ষক পলাশ দাস নিয়মিত ভাবে বিদ্যালয় আসেন না। ছাত্রদের পড়াতে দেখা গেল মিড ডে মিলের রাঁধুনি সান্তনা দাসকে।

Govt School: সরকারি স্কুলে ক্লাস নিচ্ছেন রাঁধুনি, তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা
ভজমোহন নিম্ন বুনিয়াদী প্রাথমিক বিদ্যালয়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 30, 2022 | 6:15 AM

মালদা: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস নিচ্ছেন মিড ডে মিলের রাঁধুনি। শ্রেণিকক্ষের ছাদে ফাটল। ফের সামনে সরকারি বিদ্যালয়ের বেহাল দশা। পর্যাপ্ত শিক্ষক যে নেই তা মেনে নিয়েছেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। স্কুলের বেহাল দশা নিয়ে রাজ্য সরকারকে খোঁচা বিজেপির। পাল্টা দিল তৃণমূলও। মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার হরিশ্চন্দ্রপুর সদরে ভজমোহন নিম্ন বুনিয়াদী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেহাল অবস্থা নিয়ে জমল রাজনৈতিক তরজা।

ফের প্রকাশ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেহাল অবস্থা। বিদ্যালয়ে নেই পর্যাপ্ত শিক্ষক। যারাও আছেন অনেকে নিয়মিত আসেন না বিদ্যালয়ে। ক্লাস নিচ্ছে মিড ডে মিলের রাঁধুনি। এদিকে শ্রেণি কক্ষের ছাদে ফাটল থাকায় আতঙ্কে ক্লাস করছে পড়ুয়ারা। পর্যাপ্ত শিক্ষক না থাকার ফলে রাঁধুনি ক্লাস নিচ্ছেন সাফাই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের। তৃণমূলের আমলে ধ্বংস হয়ে গেছে শিক্ষা-ব্যবস্থা তীব্র কটাক্ষ বিজেপির। খতিয়ে দেখে প্রয়োজন মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে পাল্টা তৃণমূল। তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা।

মোট চারজন শিক্ষক রয়েছেন এই বিদ্যালয়ে। তার মধ্যে একজন রয়েছেন ছুটিতে। আরেক পার্শ্ব শিক্ষক পলাশ দাস নিয়মিত ভাবে বিদ্যালয় আসেন না। ছাত্রদের পড়াতে দেখা গেল মিড ডে মিলের রাঁধুনি সান্তনা দাসকে। পাশাপাশি ফাটল দেখা দিয়েছে শ্রেণীকক্ষের ছাদে। যার ফলে আতঙ্কে ক্লাস করছে ক্ষুদে পড়ুয়ারা। বিদ্যালয় সূত্রের খবর পার্শ্ব শিক্ষক পলাশ দাস বহুদিন ধরে নিয়মিত আসেন না। এই নিয়ে শিক্ষা দপ্তরের প্রশাসনিক কর্তা এবং পার্শ্ব শিক্ষক সংগঠনের পদাকাধিকারীদেরকেও জানিয়েছে বিদ্যালয়। এমনিতেই ছাত্র সংখ্যা অনুযায়ী নেই পর্যাপ্ত শিক্ষক। বাকি তিনজনের মধ্যে একজন ছুটিতে রয়েছেন। ফলে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এবং অন্য এক জন সহকারী শিক্ষকের পক্ষে সম্পূর্ণ ক্লাস নেওয়া সম্ভব হয়ে পড়ছে। সেই জন্যই বাচ্চাদের দেখা শোনার জন্য বলেছেন মিড ডে মিলের রাঁধুনিকে। দরকার পড়লে বাচ্চাদের ক্লাসও নিচ্ছেন তিনি। এই কথা স্বীকার করে নিলেন বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক।