মৃতরা কাজও করছেন, মিলছে ‘১০০ দিনের কাজের’ টাকাও!
Job Card: অভিযোগকারীরা জানিয়েছেন, ১০০ দিনের কাজে মৃত ব্যক্তিরাও কাজ করছেন! শুধু কাজ করছেন এমন নয়, পাচ্ছেন টাকাও! এইভাবে মোট ১০০টি ভুয়ো অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে বলে অভিযোগ।
মালদা: দীর্ঘদিন মারা গিয়েছেন মালতী। কিন্তু, তাঁর জব কার্ডের (Job Card) মাধ্যমে অ্যাকাউন্টে ঢুকছে টাকা! কিন্তু সেই টাকা মালতীর পরিবার পাচ্ছেন না, এমনকী টাকা তোলা হয়েছে বলেও জানতে পারেননি তাঁরা! তাহলে কার কাছে যাচ্ছে এই টাকা? চাঁচলের ১ নম্বর ব্লকের কংগ্রেস পরিচালিত মহানন্দাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ধঞ্জনা বুথ পঞ্চায়েতের সদস্য় ও সুপারভাইজারের বিরুদ্ধে এইভাবেই ১০০ দিনের কাজের টাকা আত্মসাত্ করার অভিযোগ উঠল।
অভিযোগকারীরা জানিয়েছেন, ১০০ দিনের কাজে মৃত ব্যক্তিরাও কাজ করছেন! শুধু কাজ করছেন এমন নয়, পাচ্ছেন টাকাও! এইভাবে মোট ১০০টি ভুয়ো অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে বলে অভিযোগ। ১২ লক্ষ টাকার মধ্যে প্রায় ৮ লক্ষ টাকা এইভাবেই ‘নয়ছয়’ হয়েছে বলে অভিযোগ শ্রমিকদের। তাঁরা জানিয়েছেন, ১০০ দিনের প্রকল্পের মাধ্যমে হারিয়ান ব্রিজ থেকে ভগবানপুর পর্যন্ত ক্যানেল সংস্কারের কাজ শুরু হয়। অভিযোগ, ভুয়ো মাস্টাররোল দেখিয়ে সেই ক্যানেল সংস্কারের কাজের টাকা মৃত ব্যক্তিদের অ্যাকাউন্টে পাঠাচ্ছেন সুপারভাইজার গণেশ রবিদাস ও ধঞ্জনা বুথের পঞ্চায়েত সদস্যা মঞ্জুরা বিবি।
সম্প্রতি, জব কার্ডের তালিকায় নাম নথিভুক্ত করতে গিয়ে সেখানে মালতী দাস নামে এক মহিলার নামও দেখতে পান শ্রমিকরা। অথচ, তাঁদের অভিযোগ, মালতী দাস নামের ওই মহিলা বেশ কয়েকবছর আগে মারা গিয়েছেন। অথচ, তাঁর কার্ড নম্বর ১৪/২০৫ এবং মাস্টার রোল ৮১৩৭। আর সেই নথিভুক্তিকরণের জেরেই টাকা ঢুকছে অ্যাকাউন্টে। ঘটনায়, চাঁচল ১ নম্বর ব্লকের বিডিও ও মহকুমা শাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই বুথের তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতি বুধা আলি।
তৃণমূলের বুথ সভাপতি বুধা আলি অভিযোগ করে বলেন, “১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে লক্ষ লক্ষ টাকা দুর্নীতি করছেন সুপারভাইজার ও পঞ্চায়েত সদস্য। ভুয়ো মাস্টাররোল দেখিয়ে জীবিতদের পাশাপাশি মৃত ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকাচ্ছেন সুপারভাইজার। আমরা এ নিয়ে বিডিও এবং মহকুমা শাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। আমরা চাই এই দুর্নীতি বন্ধ হোক ওদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।” যদিও এই সমস্ত রকম অভিযোগ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন সুপারভাইজার গণেশ রবিদাস ও পঞ্চায়েত সদস্য মনজুরা বিবি। তাঁরা বলেছেন, “যাঁরা কাজ করেছেন তাঁদেরকেই টাকা দেওয়া হয়েছে। কোনও দুর্নীতি করা হয়নি।” আরও পড়ুন: আর দূরে নয় চিন, হাসিমারার ছাউনিতে দাপানো শুরু করল রাফাল