Firearms recovered: আগ্নেয়াস্ত্র পাচার করতে গিয়ে হল কাল, পুলিশের কাছে হাতেনাতে পাকড়াও পাচারকারী

Malda: ধৃতের নাম সফিকুল ইসলাম।

Firearms recovered: আগ্নেয়াস্ত্র পাচার করতে গিয়ে হল কাল, পুলিশের কাছে হাতেনাতে পাকড়াও পাচারকারী
আগ্নেয়াস্ত্রের জাল লাইসেন্স কারবার (প্রতীকী ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 30, 2021 | 7:32 PM

মালদা: জেলা থেকে উদ্ধার একের পর আগ্নেয়াস্ত্র (Arms)। যার জেরে যথেষ্ঠ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মালদার মোথাবাড়ির ঘটনা। ধৃতের নাম সফিকুল ইসলাম। বাড়ি কালিয়াচকের রাজনগরের কাঁঠালবাড়ি। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে তিনটি সেভেন এমএম পিস্তল। একটি পাইপ গান। সাতটি ম্যাগাজিন। ২০ রাউন্ড কার্তুজ। এছাড়াও মিলেছে একটি মোবাইল।

Fire arms recover

আগ্নেয়াস্ত্র সহ পাচারকারী

গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মোথাবাড়ি থানার পুলিশ জানতে পারে মোথাবাড়িতে আর্সেনিক মুক্ত জল প্রকল্পের কাছে সফিকুল বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র পাচারের জন্যে অন্য একজনের হাতে তুলে দেওয়ার উদ্দেশ্যে হাজির হয়েছে। দ্রুত পুলিশ সেখানে পৌঁছায়। সফিকুলকে ধরেও ফেলে। তাঁর কাছে থাকা একটি ব্যাগ থেকে অস্ত্রগুলি উদ্ধার হয়। তবে কার কাছে সে অস্ত্র পাচার করছিল তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। সফিকুলের মোবাইল থেকে খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার বাড়ির ভেতরেই উদ্ধার বিপুল আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ (Fire arms)। এই ঘটনায় গ্রেফতার দুই। করনদিঘি থানার পুলিশ (Karandighi police) ভাকশালা গ্রামে হানা দিয়ে এই অস্ত্র মজুতকারীদের হদিশ পায়। উদ্ধার হয় কয়েকটি পাইপগান সহ কার্তুজ। ওই বাড়িতেই আগ্নেয়াস্ত্র তৈরি হতো বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে খতিয়ে দেখতে তদন্তে পুলিশ।

পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম চিহারু শর্মা ও সোহদেব শর্মা। ইতিমধ্যে ধৃতদের সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে ধৃতদের আজ ইসলামপুর মহকুমা আদালতে পেশ করেছে করনদিঘি থানার পুলিশ।

গোপন সুত্রে খবরের ভিত্তিতে করনদিঘি থানার ভাকশালা গ্রামে চিহারু শর্মা নামে এক ব্যাক্তির বাড়িতে হানা দেয় করনদিঘি থানার পুলিশ। তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে চারটি অবৈধ পাইপগান এবং ১৯ রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার হয়। জিজ্ঞাসাবাদের পর তার এক সঙ্গী সহদেব শর্মাকে গ্রেফতার করে।

এদিকে পুলিশ চিহারু ও সহদেবের বাড়ি তল্লাশি চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির কিছু সরঞ্জামেরও হদিশ পায়। ওই দুই বাড়িতেই পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে অস্ত্র তৈরি হোত বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান তদন্তকারীদের। এদিন ধৃতের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় আগ্নেয়াস্ত্র প্রচুর যন্ত্রাংশও। এই আগ্নেয়াস্ত্রগুলি কোথায় বিক্রি হত আর এর তৈরির জিনিস কোথা থেকে আসত তার হদিশ করতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে করনদিঘি থানার পুলিশ। যদিও এখনো পর্যন্ত জেলা পুলিশের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

আরও পড়ুন: Swastha Sathi: বিশ্লেষণ: কেন সরকারি হাসপাতালেও বাধ্যতামূলক স্বাস্থ্যসাথী?