Malda: কেন বিয়ে করবেন না প্রেমিক? ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে কীটনাশক খেলেন প্রেমিকা

Suicide: কলেজ ছাত্রীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু এখন আর বিয়ে করতে রাজি নয় তার প্রেমিক।

Malda: কেন বিয়ে করবেন না প্রেমিক? ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে কীটনাশক খেলেন প্রেমিকা
প্রেমিক বিয়ে করতে না চাওয়ায় অভিমানে আত্মঘাতী প্রেমিকা (প্রতীকী ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 12, 2021 | 4:55 PM

মালদা: দুজনেই প্রথম বর্ষের পড়ুয়া। বছরখানেক মাত্র বয়স হয়েছে দুজনের সম্পর্কের। কিন্তু এখন আর বিয়েতে রাজি নয় প্রেমিক। অভিমানে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে মাঝ রাস্তায় কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা প্রেমিকার। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয় প্রেমিককে।

চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মালদা (Malda) জেলার হবিবপুর (Habibpur) থানার আইহো ঘোষপাড়া ব্রিজ এলাকায়। এদিকে, অসুস্থ অবস্থায় মালদা মেডিক্যাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওই প্রেমিকা। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হাবিবপুর থানার পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ধৃত যুবককে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছরখানেক আগে পুরাতন মালদা থানা (Malda police station)এলাকার দক্ষিণচর লক্ষীপুরের কলেজ পড়ুয়া এক যুবতীর সঙ্গে হবিবপুর থানা এলাকার এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বর্তমানে তারা দুজনেই কলেজের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া। সেই সুবাদেই দুজনের মধ্যে তৈরি হয় প্রেমের সম্পর্ক। ধীরে ধীরে বাড়ে তার গভীরতাও। দীর্ঘদিন সেই সম্পর্কে বিশেষ সমস্যাও ছিল না।

তবে বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই তাদের এই সম্পর্কের মাঝে টানাপড়েন দেখা দেয়। যার মূল সমস্যা, বিয়ে করা নিয়ে বিবাদ। ওই কলেজ ছাত্রীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু এখন আর বিয়ে করতে রাজি নয় তার প্রেমিক। সেই নিয়েই দুজনের মধ্যে চলছিল টানা অশান্তি। সেই সমস্যা মেটাতে ওই যুগল আইহো ঘোষপাড়া ব্রিজ এলাকায় দেখা করেন।

কিন্তু প্রেমিক অটল নিজের মতেই। যার ফলস্বরূপ মাঝরাস্তায় ওই কলেজছাত্রী কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এদিকে, যুবতীকে কীটনাশক খেতে দেখতে পান স্থানীয়রা। তড়িঘড়ি তারা ছুটে এসে ওই কলেজ ছাত্রীকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে বুলবুলচন্ডী গ্রামীণ হাসপাতালে (Hospital)। খবর দেওয়া হয় তার পরিবারের সদস্যদের। পরে পরিবারের সদস্যরা সেখানে থেকে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওই কলেজ ছাত্রীকে ভর্তি করে। সেখানেই আপাতত অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসাধীন তিনি।

অন্যদিকে, এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় হবিপুর থানার পুলিশ। ওই যুবতীর প্রেমিক তথা ওই কলেজ পড়ুয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ আধিকারিকরা। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হবিবপুর থানার তদন্তকারী আধিকারিকরা। খতিয়ে দেখা হচ্ছে কি কারণে কীটনাশক খাওয়ার মত পর্যায়ে গেল এই ঘটনা। পাশাপাশি খতিয়ে দেখা হচ্ছে ওই যুবক তার প্রেমিকাকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দিয়েছিল কিনা। কথা বলা হচ্ছে যুবতীর পরিজনদের সঙ্গেও।

উল্লেখ্য, গত মাসে ক্যানিয়ে এই রকমই একটি খবর সামনে আসে। ত্রিকোণ প্রেমের জেরে ক্যানিং থানার এক সাব ইন্সপেক্টরের পরিবার আক্রান্ত। আক্রান্ত হতে হয়েছে পুলিশ অফিসারকেও। বারুইপুর হাসপাতালে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের সামনেই তাঁকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।

ঘটনার সূত্রপাত ওই পুলিশ কর্তার ছেলের প্রেম নিয়ে। বারুইপুরে ছেলে-মেয়ে স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন ওই পুলিশ অফিসার। তাঁর ছেলের সঙ্গে এলাকারই এক মেয়ের বন্ধুত্ব হয়। পরে তা গাঢ় হয়। দু’জনের মধ্যে সম্পর্ক দানা বাঁধে। পরিবারের সদস্যরাও সে কথা জানতেন।

তবে পুলিশ কর্তার পরিবারের দাবি, সেই মেয়েটি ইদানীং প্রীতম নামে অন্য এক ছেলের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। সেই বিষয়টি জানতে পারেন পুলিশ কর্তার ছেলে। এই নিয়ে প্রথমে ওই মেয়েটিকে বোঝানোর চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু তাতে কাজ হয় না। পরে যে ছেলেটির সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন তাঁর প্রেমিকা, তাঁকে শাসান বলে অভিযোগ। এরপরই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

প্রীতম নামে ওই  ছেলেটি তাঁর দলবল নিয়ে পুলিশ কর্তার ছেলের ওপর চড়াও হন। পুলিশ কর্তার ছেলেকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।

ছেলেকে উদ্ধার করে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিত্সা করাতে নিয়ে আসেন পুলিশ কর্তা। সেখানে তাঁর স্ত্রী-মেয়েও ছিল। অভিযোগ, হাসপাতালেই প্রীতম তাঁর দলবল নিয়ে চড়াও হন। সেখানে পুলিশ কর্তাকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। সঠিক বিচারের দাবি তুলেছেন আক্রান্ত পুলিশ কর্তা। তা না হলে সপরিবারে আত্মহত্যা করবেন বলেও হুমকি দিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন: Child Vaccination: কোভ্যাকসিন কতটা সুরক্ষিত শিশুদের শরীরে! TV9 বাংলাকে জানালেন চিকিৎসকরা