Malda: ধানক্ষেত থেকে উদ্ধার পরিযায়ী শ্রমিকের কানকাটা দেহ, তরজায় তৃণমূল-বিজেপি

Malda: যে অবস্থায় বাবলুর দেহ উদ্ধার হয়েছে তা দেখে আঁতকে ওঠেন পরিবারের সদস্যরা। খুবলে নেওয়া হয়েছে তাঁর কান। শরীরের একাধিক জায়গাতেও রয়েছে আঘাতের চিহ্ন।

Malda: ধানক্ষেত থেকে উদ্ধার পরিযায়ী শ্রমিকের কানকাটা দেহ, তরজায় তৃণমূল-বিজেপি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 30, 2022 | 6:19 PM

মালদা: ভিন রাজ্যে করতেন পরিযায়ী শ্রমিকের (Migrant Worker) কাজ। মাস দুয়েক আগে বাড়ি ফিরেছিলেন মালদার (Malda) চাঁচল গ্রাম পঞ্চায়েতের সাঞ্জীব গ্রামের বাসিন্দা বাবলু হেমব্রম (৫৪)। তারপর থেকে ছিলেন বাড়িতেই। সূত্রের খবর, রবিবার শেষ তাঁকে বাড়িতে দেখা গিয়েছিল। বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া করে বেরিয়ে যাওয়ার পর আর বাড়ি ফেরননি বাবলু। এমনটাই জানাচ্ছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। বিগত তিন দিন ধরে বিস্তর খোঁজাখুঁজিও কোনও লাভ হয়নি। অবশেষে বাড়ির পাশে থাকা ধানক্ষেত থেকে উদ্ধার হল বাবলুর রক্তমাখা দেহ। 

যে অবস্থায় বাবলুর দেহ উদ্ধার হয়েছে তা দেখে আঁতকে ওঠেন পরিবারের সদস্যরা। খুবলে নেওয়া হয়েছে তাঁর কান। শরীরের একাধিক জায়গাতেও রয়েছে আঘাতের চিহ্ন। সূত্রের খবর, এদিন সকালে বাড়ির পাশে ধানক্ষেতে কাজ করছিলেন একদল কৃষক। তাঁরাই দেখেন ধানক্ষেতের মধ্যে রক্তমাখা অবস্থায় পড়ে রয়েছে বাবলুর দেহ। খবর দেওয়া হয় তাঁর বাড়িতে। স্ত্রী রেখা হাঁসদা এসে স্বামীর দেহ শনাক্ত করেন। তাঁর স্বামী একজনের থেকে ৪০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি। সে কারণেই তিনি খুন হয়েছেন কিনা তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোরদার চর্চা। দেহ উদ্ধারের খবর চাউর হতেই ধানক্ষেতে ভিড় বাড়তে শুরু হয়েছে উৎসুক জনতার। ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়। খবর যায় পুলিশে। ইতিমধ্যেই দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়েছে। 

ঘটনা প্রসঙ্গে মৃতের স্ত্রী বলেন, “রবিবার দুপুর ২টোর সময় বাড়ি থেকে বের হয়ে গিয়েছে। তারপর থেকে ওকে খুঁজছি কিন্তু পাচ্ছিলাম। আজ বাড়িতে খবর আসে ও মারা গিয়েছে। ও মিঠুন নামে একজনের কাছ থেকে চল্লিশ হাজার টাকা ধার নিয়েছিল। কাজ করত ওর সঙ্গে। কিন্তু, তা ফেরত দিতে পারেননি। সেই টাকা ফেরত দেওযার জন্য মিঠুন ওকে চাপ দিত। তারপর থেকে ভয়ে ও না জায়গায় পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। তবে ওই কারণেই খুন হয়েছে কিনা জানি না!” ইতিমধ্যেই এ ঘটনায় লেগেছে রাজনীতির রং। তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলেছেন এলাকার বিজেপি সাংসদ। 

এই ঘটনায় বড় আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। ঘটনায় ঘাসফুল শিবিরের দিকে আঙুল তুলেছেন তিনি। তাঁর দাবি, কখনও রাষ্ট্রপতিকে অপমান, কখনও আদিবাসী পরিযায়ী শ্রমিককে কান কেটে নিয়ে নির্মম ভাবে খুন, এটাই তৃণমূলের কালচার। দোষীদের শাস্তির দাবিতে আদিবাসীদের নিয়ে বড় আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছেন তিনি। যদিও তৃণমূল আবার সব অভিযোগ উড়িয়ে বিজেপির দিকেই পাল্টা আঙুল তুলেছে। তৃণমূলের জেলার মুখপাত্র শুভময় বসুর দাবি, 

“তৃণমূল বিদ্বেষের রাজনীতি করে না। আদিবাসীদের উন্নয়নে বহু প্রকল্প মুখ্যমন্ত্রী করেছেন। দ্রৌপদী মুর্মুর বিষয়ে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি।বিজেপি এসব নিয়ে ঘৃণার রাজনীতি করছে। এই ঘটনা পারিবারিক বিবাদ। রাজনৈতিক সম্পর্ক নেই।”