Swasthya Sathi card: দুর্ঘটনায় কেড়েছে পা, স্বাস্থ্য সাথী দেখিয়েও মেলেনি পরিষবা, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সাহায্যের আবেদন

Malda: মালদার মালতীপুর বিধানসভা এলাকার চন্দ্রপাড়া পঞ্চায়েত এলাকার বাহারাবাদের ঘটনা। সেখানেই বসবাস করেন সাইদুর ও তাঁর স্ত্রী।

Swasthya Sathi card: দুর্ঘটনায় কেড়েছে পা, স্বাস্থ্য সাথী দেখিয়েও মেলেনি পরিষবা, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সাহায্যের আবেদন
স্বামীর চিকিৎসার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সাহায্যের আবেদন (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 13, 2022 | 5:45 PM

মালদা: স্বাস্থ্য সাথীতে মেলেনি পরিষেবা। ঘরের সমস্ত গহনা বেচে শেষমেশ মৃত্যু সঙ্গে পাঙ্গা লড়ছেন সাইদুর রহমান। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে হাতজোড় করে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন সাইদুরের স্ত্রী।

মালদার মালতীপুর বিধানসভা এলাকার চন্দ্রপাড়া পঞ্চায়েত এলাকার বাহারাবাদের ঘটনা। সেখানেই বসবাস করেন সাইদুর ও তাঁর স্ত্রী। অসহায় পরিবার। এতটাই দরিদ্র পরিবার যে উনুনটুকুও জ্বলে গ্রামবাসীর সাহায্যে। বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করলে দারিদ্রতার ছাপ স্পষ্ট।

এ দিকে, বিছানায় শয্যাশায়ী একমাত্র রোজগেরে মানুষ সাইদুর রহমান। বারংবার স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে জেলার পাশাপাশি অন্যত্র ঘুরেও চিকিৎসা মেলেনি। পরিবার সূত্রে খবর, সাইদুর বাড়তি উপার্জনের জন্য একসময় পাড়ি দিয়েছিলেন সুদূর কেরলে। সেখানে নির্মাণ শ্রমিকের কাজও জুটে গিয়েছিল। তবে একদিন কাজ শেষ করে ঘরে ফেরার পথে ঘটে যায় দুর্ঘটনা। সড়ক পার হওয়ার পথে একটি যাত্রীবাহী বাস সজোরে ধাক্কা মারে সাইদুরকে। ঘটনাস্থলে জ্ঞান হারান তিনি। বিগত একমাস কেরলেই চিকিৎসা চলে তাঁর।

গোটা ঘটনার খবর পেয়ে স্ত্রী চাঁদা তুলে ও গহনা বিক্রি করে কেরলে গিয়ে স্বামীর চিকিৎসা করান আলিয়া বিবি। দু’বার অস্ত্রোপচারও হয়েছে। ইতিমধ্যে খরচ হয়ে গিয়েছে প্রায় দু’লক্ষ টাকা। টাকা ফুরিয়ে যাওয়ায় সম্প্রতি দুই সপ্তাহ হল ট্রেনে বাড়ি ফিরেছেন স্বামীকে নিয়ে। আপাতত শয্যাশায়ী রয়েছেন সাইদুর।

দুর্ঘটনার পরে এখনও পযর্ন্ত যন্ত্রণায় ছটফট করছেন সাইদুর। প্রতিটা মুহূর্ত মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। বাড়িতে রয়েছেন স্ত্রী, বৃদ্ধা মা ও তিন নাবালিকা কন্যা সন্তান। পরিবারে একমাত্র উপার্জনকারী শয্যসায়ী থাকায় তাঁরা পথে বসেছেন।

সাইদুরের স্ত্রী আলিয়ারা বিবি জানান, ‘স্বামীর পায়ু পথ থেকে ডান পায়ে নিচটা চলে গিয়েছে। দু’বার অস্ত্রপচারের পর বাইপাস করেই মল-মূত্র ত্যাগ করেন বিছানায়। এই অবস্থায় চিকিৎসকদের পরামর্শে আরও একবার অস্ত্রপচার জরুরি ভাবে করতে হবে। তবে খরচ অনেক।প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকার প্রয়োজন।যা ছিল সব ফুরিয়ে এখন পথে বসে রয়েছি।’ তিনি আরও জানান, ‘কেরলে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড কাজে আসেনি। মালদাতেও একটি বেসরকারি নার্সিং হোমে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সুবিধা পাওয়া যায়নি। পশ্চিমবঙ্গে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দিয়ে কোথায় পরিষেবা পাব, কুলকিনারা খুঁজে পাচ্ছি না। মুখ্যমন্ত্রী আমাদের পরিবারের পাশে দাঁড়ালে আমাদের গোটা পরিবারটা বেঁচে যাবে।’

এলাকাবাসী ফিরোজ আক্তার জানান, ‘আমরা গ্রামবাসীরা সাহায্য করেছি।এখনো করছি।সাহায্যেই তাদের সংসার চলে।এদিকে সুস্থ করতে তিন লক্ষ টাকার মতো খরচ হবে।এলাকার নেতা-নেত্রী সমাজসেবীরা পাশে দাঁড়ালে কিছুটা হলেও সুরাহা হবে।’