Nursing Training: ভর্তির জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা জমা ‘ভুতুড়ে’ কলেজে, মালদায় নার্সিং প্রশিক্ষণকে কেন্দ্র করে বড় প্রতারণার অভিযোগ

Nursing Training: পড়ুয়াদের দাবি, প্রায় তিন লক্ষ টাকা দিয়ে তিন বছরের জন্য নার্সিংয়ের কোর্স করানো হবে বলে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তরফে জানানো হয়েছিল। প্রথম কিস্তির টাকাও জমা দিয়েছেন তাঁরা।

Nursing Training: ভর্তির জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা জমা ‘ভুতুড়ে’ কলেজে, মালদায় নার্সিং প্রশিক্ষণকে কেন্দ্র করে বড় প্রতারণার অভিযোগ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 30, 2022 | 6:59 PM

মালদা: বেঙ্গালুরুতে দেওয়া হবে নার্সিং প্রশিক্ষণ (Nursing Training)। বাংলায় খোলা হয়েছিল শিক্ষা কেন্দ্র। সেখান থেকে পড়ুয়াদের পাঠানো হয়েছিল বেঙ্গালুরুতেও। কিন্তু, বেঙ্গালুরুতে পৌঁছেই চোখ কপালে উঠল পড়ুয়াদের। যে কলেজে প্রশিক্ষণ নেওয়ার কথা তার খোঁজই মিলল না। সামনে এল বড়সড় প্রতারণা চক্র। তারপরই মালদার (Malda) এক এডুকেশন সেন্টারের কর্ণধারের বিরুদ্ধে পড়ুয়াদের লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মাসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে। পড়ুয়া-অভিভাবকের অভিযোগ পেয়ে ইতিমধ্যেই তাঁকে আটক করেছে চাঁচল থানার পুলিশ। শুরু হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদ। অভিযোগ, নার্সিং প্রশিক্ষণের ফাঁদ বিছিয়ে চাঁচলে চলছিল এই প্রতারণা চক্র।

অভিযোগ, বেঙ্গালুরুতে নার্সিং প্রশিক্ষণ দেওয়ার নামে ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়েছিল অক্সফোর্ড ইন্সটিটিউট অফ কম্পিউটার এডুকেশন এন্ড টেকনোলজি সেন্টারের তরফে। পড়ুয়া ও একাধিক নার্সিং প্রশিক্ষণ সেন্টারের মধ্যে ‘মিডল ম্যানের’ কাজ করে এই সেন্টার। এমনটাই দাবি পডুয়াদের। সূত্রের খবর, এই শিক্ষাবর্ষে প্রায় ২২ জন ছাত্র-ছাত্রী বেঙ্গালুরুতে নার্সিং প্রশিক্ষণের জন্য ভর্তি হন ওই ইন্সিটিউটে। তাঁদের মধ্যে কেউ ৬০ হাজার আবার কেউ ৭০ হাজার টাকা দেন চাঁচলের অক্সফোর্ড সংস্থার কর্ণধার কাঞ্চন গুপ্তাকে। প্রশিক্ষণের জন্য একটি পরীক্ষায় বসতে তাঁদের বেঙ্গালুরুতে পাঠানোও হয়। অভিযোগ, ভিন রাজ্যে পৌঁছে তাঁরা লাগাতার হেনস্থার শিকার হন। এক হোটেলে কয়েকদিন তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়। ঘটনার প্রতিবাদ করলে সেখানেও তাঁরা হেনস্থার শিকার হন বলে অভিযোগ। অবশেষে কোনওরকমে সেখান থেকে তাঁরা পালিয়ে বাঁচেন। 

পড়ুয়াদের দাবি, প্রায় তিন লক্ষ টাকা দিয়ে তিন বছরের জন্য নার্সিংয়ের কোর্স করানো হবে বলে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তরফে জানানো হয়েছিল। সেই নিয়ম মেনেই ছাত্রছাত্রীরা ভর্তি হন। প্রথম কিস্তির টাকাও দিয়ে দেন অনেকে। এমমকী পড়ুয়াদের একাধিক শিক্ষা সংক্রান্ত আসল শংসাপত্রও জমা রয়েছে কলেজের হাতে। ঘটনা প্রসঙ্গে এই শিক্ষা কেন্দ্রের ছাত্র আব্দুল রহমান বলেন, “আমরা এখানে প্রায় ১ বছরের বেশি সময় ধরে কোচিং করছিলাম। আমাদের অনেক রঙীন স্বপ্ন দেখানো হয়েছিল। তারপর সেই স্বপ্ন ভেঙে চুরামার করে দেওয়া হয়। আমাদের টাকাও লুঠ করা হয়েছে। আমাদের বেঙ্গালুরুতে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার কথা ছিল। গিয়ে জানতে পারি আমারা যে টাকা দিয়েছিলাম সেই টাকা কোথাও জমাই হয়নি। যে কলেজের কথা বলা হয়েছিল তার কোনও অস্তিত্বই নেই। আমাদের কোনও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়নি। এ কথা জানানোর পরেই আমরা কাঞ্চন স্যারকে ফোন করি। কিন্তু ওনাকে ফোনে পাইনি। আমরা আমাদের টাকা ফেরত চাই।” ওই সংস্থার কর্ণধার কাঞ্চন গুপ্তার দাবি, “আমি কোনও প্রতারণা করিনি। আমি নিজেই প্রতারণার শিকার। ছাত্রদের রেজিস্ট্রেশন নম্বর নিয়ে প্রতারণা হয়েছে। আমি দেখছি কী করা যায়।”