Malda: বিয়ের বাকি তিনদিন, তার আগেই আমবাগানে যুবক কি না…বিশ্বাস করতে পারছে না পরিবারের লোকজন
West Bengal: মালদার হরিশচন্দ্রপুরের ঘটনা। বিয়ের ঠিক তিনদিন আগেই আমবাগান থেকে যুবকের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
মালদা: বিয়ের বাকি ছিল তিনদিন। শুরু হয়ে গিয়েছিল তোড়জোড়। আত্মীয়-স্বজন আসতেও শুরু করেছিলেন। তবে তার আগেই বিপত্তি। আমবাগানের মধ্যে যুবকের পরিণতি দেখে চমকে উঠলেন বাড়ির সকলে।
মালদার হরিশচন্দ্রপুরের ঘটনা। বিয়ের ঠিক তিনদিন আগেই আমবাগান থেকে যুবকের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃতের নাম সদাকাস আলি (২৪)। বৃহস্পতিবার তিনি নিজেই বিয়ের বাজার করে আনেন। পরিবারের দাবি, সন্ধ্যেবেলায় একটি ফোন পেয়ে বেরিয়ে যান। এরপর আর বাড়ি ফেরেননি।
বৃহস্পতিবার আমবাগান থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃতের পরিবারের অভিযোগ খুন করা হয়েছে তাঁদের বাড়ির ছেলেকে। পাত্রির পুরনো প্রেমিকই পথের কাঁটা না কি অন্য কোনও কারণ তার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকায়।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে খবর বিরূয়া আজিমপুর গ্রামের বাসিন্দা জালাল উদ্দিনের আট ছেলে। সাদাকাস সব থেকে ছোট। আগামী রবিবার তাঁর বিয়ে ছিল। বিয়ের সমস্ত কেনাকাটা পর্যন্ত হয়ে গিয়েছে। গতকাল তিনি নিজেই চাঁচল থেকে বিয়ের বাজার করতে যান। এরপর পরিবারের সদস্যরা গতকাল সন্ধ্যাবেলা সদাকাসের একটি ফোন আসে। তিনি কথা বলতে-বলতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। তারপর থেকেই নিখোঁজ। বাড়ির লোক সারা রাত ধরে এলাকায় খোঁজ খবর চালিয়েও ছেলের কোন খোঁজ পায়নি। সকালে গ্রামের একটি আমবাগান থেকে সদাকাসের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
ওই যুবকের পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের বাড়ির ছেলেকে কেউ বা কারা খুন করে করে আমবাগানের গাছে ঝুলিয়ে দিয়েছে। এর পিছনে পরকিয়াও থাকতে পারে বলে মনে করছে পরিবার। যদিও, সদাকাস আত্মহত্যা করতে পারে তা মানতে নারাজ পরিবারের লোক। মৃতের দাদা বলেন, ‘আমার ভাই কালকে সন্ধ্যেবেলা বাড়ি থেকে বের হয়। ওকে অনেকবার ফোন করি। তবে ফোন কেটে দিয়েছিল। এরপর গোটা রাত কেটে যায় খোঁজাখুঁজি শুরু করি। তারপর সকাল হতেই আমবাগান থেকে উদ্ধার করি।’