Maldah CID Raid: মালদায় মাছ ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে উদ্ধার ১কোটি ৩৯ লক্ষ টাকা, বড়সড় মাদক পাচার চক্রের হদিশ
Maldah CID Raid: এখনও পর্যন্ত তল্লাশিতে উদ্ধার হয়েছে ১ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকা। টাকা গুনতে আনা হয়েছে মেশিন।
মালদা: মালদায় বড়সড় মাদকপাচার চক্রের হদিশ। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে মালদার গাজোলে এক মাছ ব্যবসায়ীর বাড়িতে সিআইডি হানা। তল্লাশিতে উদ্ধার হয়েছে ১ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকা। টাকা গুনতে আনা হয়েছে মেশিন। জানা যাচ্ছে ওই ব্যবসায়ীর নাম জয়প্রকাশ। এখনও পর্যন্ত চলছে টাকা গোনার কাজ। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, সার্বিকভাবে পুলিশ সিআইডিকে সাহায্য করছে।কোনওভাবে যাতে অপ্রীতিকর কোনও পরিস্থিতি তৈরি না হয়, তার জন্য বিশেষ নজরদারি রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, জয়প্রকাশ নামে ওই ব্যবসায়ীর মূলত মাছের ব্যবসা রয়েছে। বিভিন্ন জলাভূমি, পুকুর লিজ় নিয়ে মাছের ব্যবসা করে থাকেন তিনি। কিছুদিন আগেই গঙ্গারামপুরে এক ব্যবসায়ী গ্রেফতার হন। তাঁর বিরুদ্ধেও অবৈধ লেনদেনের অভিযোগ ছিল। তাঁর সঙ্গে পরিচিতি ছিল জয়প্রকাশের। জয়প্রকাশের আত্মীয় হন ওই ব্যক্তি। গরু পাচার-সহ সীমান্তে বিভিন্ন ধরনের চোরা কারবারের টাকা আসত জয়প্রকাশের কাছে। সেই টাকাই আত্মীয়ের কাছে রেখেছিলেন তিনি।
এই সংবাদটি প্রকাশিত হওয়ার সময় পর্যন্ত এক কোটি ৩৯ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে। স্থানীয় ব্যাঙ্ক থেকে টাকা গোনার মেশিন নিয়ে এসেছেন আধিকারিকরা। সিআইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, বেশ কয়েকদিন ধরেই একটা বড় মাদক পাচার চক্রের তদন্তে চলছিল। সেই সূত্রেই উঠে আসে জয়প্রকাশের নাম। ছোট মাপে ক্যুরিয়ারকে তাঁরা গ্রেফতার করেছিলেন। তাদের কাছ থেকে গাজোলের ব্যবাসায়ীর নাম উঠে আসে। তিনি ফেনসিডিল পাচার চক্রের কিংপিন। তাঁর কাছ থেকে যে টাকা উদ্ধার হয়েছে, সেটিও ফেনসিডিল পাচারেরই টাকা।
একেবারে রং চটা বাড়ির সামনে এখন ভিড় করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সামনে একটা ছোট্ট লোহার গেট।একতলা বাড়ি, দোতলা নির্মীয়মান। প্লাস্টারও হয়নি তাতে। লাগে দরজা জানালার ফ্রেমও। সেই বাড়ির গৃহকর্তাই নাকি কোটি কোটি টাকার মালিক। নিতান্ত ছা-পোষা বাড়ির অন্দরে যে এত কোটি কোটি টাকা রাখা ছিল, তা ঘুণাক্ষরেও তাঁরা আঁচ করতে পারেননি বলে জানাচ্ছেন প্রতিবেশীরা।
এই নিয়ে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “কারোর বাড়িতে যদি হিসাব বহির্ভূত টাকা থাকে, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই ইনকাম ট্যাক্স রেইড করতে পারেন। সিআইডি যখন তল্লাশি চালাচ্ছে, তার পিছনে নিশ্চয় কোনও কারণ রয়েছে। এইভাবে যদি টাকা রেখে থাকে, তা দুর্নীতির পরিচয়। তবে এটাও ঠিক আমাদের দেশে বহু ব্যবসায়ী এইভাবে কাঁচা টাকার চলেছেন, বহু ক্ষেত্রে সেই টাকা ব্যবহৃত হয়। যাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে, তাঁকেই উত্তর দিতে হবে।”