Maldah Erosion: মালদায় নদী তীরে ভাঙন, বানভাসি রতুয়া-সহ একাধিক গ্রাম

Maldah Erosion: দুই নদীর জলস্তর বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এক সপ্তাহ আগেই জল ঢুকতে শুরু করেছিল অসংরক্ষিত এলাকাগুলিতে৷

Maldah Erosion: মালদায় নদী তীরে ভাঙন, বানভাসি রতুয়া-সহ একাধিক গ্রাম
মালদা ভাঙন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 06, 2022 | 10:43 AM

মালদা: গঙ্গা ও ফুলহরের জলে প্লাবিত ২০ টি গ্রাম। বানভাসি রতুয়া ১ নম্বর ব্লকের মহানন্দাটোলা, বিলাইমারি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার প্রায় ১০ হাজার পরিবার। লাল সতর্কতা গঙ্গায়। চরম বিপদসীমার কাছাকাছি ফুলহারের জলস্তরও। রতুয়া-১ ব্লকের মহানন্দটোলা ও বিলাইমারি পঞ্চায়েতের অন্তত ২০টি গ্রাম৷ ওই সমস্ত গ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে৷

খাবার ও পানীয় জলের সমস্যা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত সরকারি ত্রাণ পাননি কোনও বন্যা দুর্গত৷ সেকথা স্বীকার করেছেন মহানন্দটোলা পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধানও৷ গত এক সপ্তাহ ধরেই বাড়ছে গঙ্গা আর ফুলহরের জলস্তর৷ গঙ্গা রবিবারই চরম বিপদসীমা পেরিয়ে গিয়েছে৷

দুই নদীর জলস্তর বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এক সপ্তাহ আগেই জল ঢুকতে শুরু করেছিল অসংরক্ষিত এলাকাগুলিতে৷ গত দু’দিন ধরে প্রবল বেগে জল ঢুকছে ওই সমস্ত এলাকায়৷ বিলাইমারির রুহিমারি, গঙ্গারামটোলা, দ্বারকটোলা, শিসাবন্না, হাটপাড়া সহ ১০টি গ্রামে জল ঢুকেছে৷

মহানন্দটোলার সম্বলপুর, কোতুয়ালি, জিয়ারামটোলা, বঙ্কুটোলা, বোধনটোলা সহ ১০টি গ্রামও এখন জলের তলায়৷ শুধু কৃষিজমি কিংবা পাড়া নয়, জল ঢুকতে শুরু করেছে অনেক বাড়িতেও৷ সেসব বাড়ির লোকজন নিরাপদ জায়গায় সরে যেতে শুরু করেছেন৷ তবে এলাকা ছেড়ে কেউ ফ্লাড সেন্টারে যেতে নারাজ৷

মহানন্দটোলা পঞ্চায়েতের বন্যা দুর্গত হিমাংশু মিশ্র বলেন, ‘৮-১০ দিন ধরে জল বাড়ছে৷ বাড়িতে নদীর জল ঢুকে পড়েছে৷ এই পঞ্চায়েতের ১০টি গ্রাম এখন জলের নীচে৷ বিলাইমারি পঞ্চায়েতেরও ১০টি গ্রাম এই মুহূর্তে জলে ভাসছে৷ আমরা শুকনো খাবার খেয়ে কোনওরকমে বেঁচে আছি৷ এখনও পর্যন্ত কোনও সরকারি সহায়তা পাইনি৷” মহানন্দটোলা পঞ্চায়েতের প্রধান কৃষ্ণা সাহা জানাচ্ছেন, “গঙ্গা আর ফুলহরের জল এক সপ্তাহ ধরে বেড়ে চলেছে৷ আমার পঞ্চায়েতের প্রায় সম্পূর্ণ এলাকা এখন জলের তলায়৷ যোগাযোগ ব্যবস্থা পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন৷ এখানে সবচেয়ে বড় সমস্যা পানীয় জলের৷ গোখাদ্যেরও সমস্যা প্রচণ্ড৷ পানীয় জল, শুকনো খাবার আর ত্রিপলের জন্য বিডিওকে জানিয়েছি৷ বানভাসি মানুষের জন্য দুটো ফ্লাড সেন্টার খোলা হয়েছে৷” ব্লক প্রশাসনের কাছে ত্রাণ সামগ্রীরও আবেদন জানানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।