গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জের? তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দলের সদস্যদের
TMC Panchayat:পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্যদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত প্রধান পপি দাস নানাবিধ সরকারি কাজে দুর্নীতি করে চলেছেন দীর্ঘদিন ধরে।
মালদা: তৃণমূল (TMC) পরিচালিত পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে ব্লক উন্নয়ন আধিকারিকের শরণাপন্ন হলেন পঞ্চায়েত সদস্যরা। চাঁচলের ১ নম্বর ব্লকের মতিহারপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান পপি দাসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে জেলা নেতৃত্বকে লিখিত দিলেন পঞ্চায়েত উপপ্রধান-সহ বাকি ১১ জন সদস্য।
পঞ্চায়েতের তৃণমূল (TMC) সদস্যদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত প্রধান পপি দাস নানাবিধ সরকারি কাজে দুর্নীতি করে চলেছেন দীর্ঘদিন ধরে। অভিযোগ ওই পঞ্চায়েত প্রধান কংগ্রস থেকে আগত সদস্য়দের নিয়েই মূলত কাজ করেন। অন্য সদস্যদের গুরুত্ব দিতে নারাজ বলেই অভিযোগ। পঞ্চায়েত প্রধানের এই স্বেচ্ছাচারিতার জন্য়ই এলাকায় উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে না বলেই অভিযোগ অন্য সদস্যদের।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১৯ টি আসনের মধ্যে ৭টি আসনে জেতে তৃণমূল কংগ্রেস। ৮টি আসন দখল করে কংগ্রেস। ৪টি আসন যায় বামেদের দখলে। পরে কংগ্রেসের চারজন সদস্য তৃণমূলে যোগদান করায় বোর্ড গঠন করে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রধান নির্বাচিত হন কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে আসা পপি দাস। অভিযোগ, এরপর থেকেই দলের অন্য় সদস্যদের গুরুত্ব না দিয়ে কংগ্রেস থেকে আগত সদস্যদের গুরুত্ব দিতে শুরু করেন পপি। যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন খোদ পঞ্চায়েত প্রধান। অন্যদিকে, নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারণে এই ধরনের ঘটনা ঘটছে দাবি জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের। জেলা তৃণমূল কো-অর্ডিনেটর হেমন্ত শর্মা বলেন, “দলীয় নেতৃত্ব কে নিয়ে বসে পঞ্চায়েতের সমস্যা সমাধান করা হবে। কোনও ভুল বোঝাবুঝি হলে তা দলের অন্দরে মিটিয়ে নেওয়া হবে।” পঞ্চায়েতে শাসকশিবিরের এই অন্তর্দ্বন্দ্ব নজর এড়ায়নি বিজেপির। গোটা ঘটনাই ‘তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল’ বলে কটাক্ষ বিজেপির। আরও পড়ুন: জোর করে মদ খাইয়ে অর্ধনগ্ন করে আদিবাসী মহিলাকে মারধর! ভাইরাল ভিডিয়ো