Mithun Chakraborty: ‘বিজেপি সংবিধান মেনে চলে, একবার না এলে ফের লড়ব’, আবারও ‘ফাইটের’ ডাক ‘মহাগুরুর’ গলায়

Malda: মিঠুন বলেন, 'আমি হিংসায় বিশ্বাস করি না। আমি কারোর বিরুদ্ধে কটু কথা বলি না। আমরা সংবিধান মেনে চলা দল। একবার না এলে আবার লড়ব।'

Mithun Chakraborty: 'বিজেপি সংবিধান মেনে চলে, একবার না এলে ফের লড়ব', আবারও 'ফাইটের' ডাক 'মহাগুরুর' গলায়
মিঠুন চক্রবর্তী। ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 26, 2022 | 7:19 AM

মালদা: রাজ্যে এসেছেন মিঠুন চক্রবর্তী।বিজেপির প্রাক পুজো সম্মেলনীর জন্যই তাঁর এই রাজ্য সফর। রবিবার বালুরঘাটে পৌঁছন মিঠুন। এরপর রাত্রিবেলা পৌঁছন মালদায়। সেখানে জেলা বিজেপি কার্যালয়ে পৌঁছতেই লড়াইয়ের প্রসঙ্গ শোনা যায় ‘মহাগুরুর’ গলায়। তবে এবার অনেক বেশি সাবধানি। সুক্ষভাবেই তৃণমূলকে কটাক্ষ বিজেপি নেতার।

রবিবার রাত্রিবেলা বিজেপি কার্যালয়ে মিঠুন ঢুকতেই কর্মীদের উচ্ছ্বাস ছিল লাগামছাড়া। ফলে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একের পর প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি। জীবিত বিজেপি নেতাদের মদন মিত্রের তর্পণ ও তৃণমূল বিধায়ক তথা তৃণমূল জেলা সভাপতি রহিম বক্সীর বিজেপি কর্মীদের হাত পা কেটে নেওয়ায় প্রকাশ্য হুমকি নিয়ে মিঠুন বলেন, ‘আমি হিংসায় বিশ্বাস করি না। আমি কারোর বিরুদ্ধে কটু কথা বলি না। আমরা সংবিধান মেনে চলা দল। একবার না এলে আবার লড়ব। পরবর্তীতে অবশ্যই আসব। কিন্তু লড়ব সংবিধান মেনে।’

এ দিন, মালদা বিজেপি কার্যালয়ে অল্প সময় থেকে দ্রুত হোটেলে ফেরেন তিনি। সেখান থেকে মালদা টাউন স্টেশনে যান। রাতে দার্জিলিং মেলে কলকাতার পথে রওনা দেন মিঠুন।

উল্লেখ্য়, মালদায় রবিবার একটি দলীয় কর্মসূচি থেকে  তৃণমূল বিধায়ক তথা তৃণমূল জেলা সভাপতি রহিম বক্সী বিরোধীদের হাত-পা কেটে নেওয়ার নিদান দিয়েছিলেন। বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস হাতে বালা পরে বসে নেই। বিরোধীরা বাঁশের কথা বললে, হাত কেটে নেব। প্রতিরোধ কীভাবে করতে হয় তা তৃণমূলও জানে।তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের রুখতে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে হাতে বাঁশ নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।’

অপরদিকে, গতকাল মহালয়ার দিন পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিজেপির বিদায় চেয়ে তর্পণ করেন তৃণমূল নেতা মদন মিত্র। মহালয়ার সকালে বাবুঘাটে গিয়ে তর্পণের পর শুভেন্দু অধিকারী ও দিলীপ ঘোষের ছবিতে মালা পরিয়ে দেন মদন। যা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তরজা।