Malda Medical College: দালালদের ‘বখশিস’ দিলেই মিলবে বেড, মালদা মেডিক্যালে দালাল ‘দৌরাত্ম্যে’ নাভিশ্বাস রোগীর পরিজনদের
Malda Medical College: মোটা টাকা না দিলে মিলছে না বেড, থমকে চিকিৎসা, মালদা মেডিক্যালে দালাল দৌরাত্ম্যে নাভিশ্বাস রোগীর পরিজনদের।
মালদা: হাসপাতালেই ঢুকলেই পড়তে হয় দালালদের খপ্পরে। মোটা টাকা না দিলে হাসপাতালেই প্রবেশ নিষেধ। কোনও স্বাস্থ্য কর্মী এগিয়ে এসে রোগীকে সাহায্য করবে না।এমনই পরিস্থিতি মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে (Malda Medical College)। দালালরাজের অভিযোগ দীর্ঘদিন থেকেই উঠছিল মালদা মেডিকেল কলেজে। কিন্তু, কবে স্বাভাবিক হবে পরিস্থিতি? কবে ট্যাঁকের অতিরিক্ত কড়ি খরচ না করেই মিলবে পরিবেষা? প্রশ্ন রোগী থেকে রোগী (Patient) পরিজনদের। অভিযোগ, প্রসূতি বিভাগে সবথেকে বেশি দালালদের রমরমা। রোগীকে নিয়ে গেটের কাছে যেতেই গোপনে দালালদের অন্তত দুশো বা তিনশো টাকা না দিলে হাসপাতালের ভেতরে নিয়ে যেতে কোনও স্বাস্থ্য কর্মীই এগিয়ে আসবেন না। বাইরেই পড়ে থাকবে রোগী। তাঁর অবস্থা যদি গুরুতরও হয় তাতেও কোনও হেলদল থাকে না স্বাস্থ্য কর্মীদের।
এরপর বেড নিতে গেলেও চলে দর কষাকষি। সে ক্ষেত্রেও টাকা চাই দালালদের। টাকা না দিলে মিলবে না বেড। অন্তত ৫০০ টাকা। কখনও কখনও একটা বেডে তিন থেকে চার জন রোগীকে রাখার অভিযোগও সামনে এসেছে। ক্ষতস্থানে ড্রেসিং করানো, সময় মত ওষুধ খাওয়ানো এমনকী বেডের আশেপাশে পরিস্কার রাখা, সবেতেই আলদা আলাদা করে দিতে হবে টাকা। কখনও ২০০, কখনও ৩০০, কখনও ৫০০। হাসপাতালের সমস্ত ঝক্কি পোহানোর পর দালালদের এই বাড়তি খরচ সামলাতে গিয়ে বর্তমানে নাভিশ্বাস উঠছে মালদা মেডিকেলে ভর্তি থাকা রোগীর পরিজনদের।
এমনকি সুস্থ হওয়ার পরে ছুটি পেলেও টাকা না দিলে বেরোতে পারবেন না হাসপাতাল থেকে। খাতায় কলমে ছুটি হলেও হাসপাতালের দরজা বন্ধ। ‘বখশিস’ চাই দালালদের। সেই দালালদের বখশিশ দাও তবেই ছুটি নিয়ে বাড়ি যাও। গেটের সামনেই নিরাপত্তা রক্ষী থেকে পুলিশ কর্মী সকলেই আছেন। কিন্তু, রোগীর পরিজনদের অভিযোগ সবাই সব দেখেও কেউ কিচ্ছু দেখছেন না। তবে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরা দেখে মুখ লুকাতে দেখা গেল মালদা মেডিকেলের এই সমস্ত দালালদের।
ঘটনা প্রসঙ্গে হাসপাতালে আসা এক রোগীর পরিজন ইমরান খান বলেন, “দালালরাই সব করছে এখানে। বেডে নিতে গেলেও টাকা চাইছে। একজনের বেডে কমপক্ষে ২ জন থাকছে। তিন থেকে চার জনও থাকছে। শুনলাম কয়েকদিন আগে বেডের অভাবে একটা বাচ্চাও মারা গিয়েছে। পুরোটাই সেটিং আছে।” আর এক রোগীর পরিজন নূর মহম্মদ বলেন, “বেডের জন্য দালালকে আমি ২০০ টাকা দিয়েছি। আর তো কোনও উপায় নেই। টাকা না দিলে বেড পাওয়া যাবে না। তবে ওই বেডে আমার রোগী ছাড়াও তিন জন আছে।”