RG Kar কাণ্ডের ছায়া মালদহে, TMC MLA-র কলেজে পড়ুয়ার রহস্যজনক মৃত্যুর পরেও ‘চুপ’ পুলিশ, ‘ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে’, অভিযোগ পরিবারের
Malda: উচ্চমাধ্যমিক পাশের পরে তৌহিদকে জঙ্গীপুরের জাকির হোসেন ইন্সটিটিউট অফ ফার্মাসিতে মোটা টাকা খরচ করেই ভর্তি করেন তাঁর বাবা। যে কলেজের মালিক জঙ্গিপুরের বিধায়ক প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেন। স্বপ্ন ছিল, ছেলে ফার্মাসিস্ট হবে। কিন্তু…
কৌশিক ঘোষ, মুর্শিদাবাদ
মালদহ: আরজি কর কাণ্ডের ছায়া এবার মালদহতে। বিক্ষোভ গ্রামে। ফার্মেসি পড়তে যাওয়া মেধাবী ছাত্রের দেহ মিলেছে মুর্শিদাবাদের হোস্টেলে। যে কলেজের মালিক এলাকার তৃণমূল বিধায়ক। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত, ক্ষত। পরিকল্পনা করে খুনের অভিযোগ। অভিযোগ নেয়নি থানা। সংবাদমাধ্যমকেও জানাতে ‘নিষেধ পুলিশ’ এবং কলেজ কর্তৃপক্ষের। বিস্ফোরক অভিযোগ পরিবারের। অভিযোগ, তৃণমূল বিধায়ক নিজের ক্ষমতা আসল ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। ব্যবহার করা হচ্ছে পুলিশকে। ছেলের ওপর র্যাগিংয়ের অভিযোগও করছেন পরিবারের সদস্যরা।
মালদহের ইংরেজবাজার থানার যদুপুরের বাসিন্দা তৌহিদ করিম। বাবা রেজাউল করিম পেশায় গাড়ি চালক। উচ্চমাধ্যমিক পাশের পরে তৌহিদকে জঙ্গীপুরের জাকির হোসেন ইন্সটিটিউট অফ ফার্মাসিতে মোটা টাকা খরচ করেই ভর্তি করেন তাঁর বাবা। যে কলেজের মালিক জঙ্গিপুরের বিধায়ক প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেন। স্বপ্ন ছিল, ছেলে ফার্মাসিস্ট হবে। কিন্তু, ভর্তির কিছু মাসের র্যাগিংয়ের কথা শোনা যায় তৌহিদের মুখে। ছেলে ভেঙে পড়ছে দেখে তাঁকে বোঝাতে শুরু করেন পরিবারের সদস্যরা। যদিও তারপরেও হস্টেলেই ছিল ওই পড়ুয়ারা। কিন্তু, এক বছর যেতে না যেতেই তাঁর দেহ মিলল সেই হস্টেল থেকেই।
পরিবারের বক্তব্য, আগের দিনই ছেলের সঙ্গে তাঁর মায়ের ফোনে কথা হয়। ছাতু সহ কিছু সামগ্রী পাঠানোর কথা বলে ছেলে। বাবা রেজাউল সেই সব সামগ্রী হোস্টেলে নিয়ে গেলে জানতে পারেন ছেলের মৃত্যুর কথা। হস্টেলেরই একটি বন্ধ ঘর থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের অভিযোগ, ছেলের মৃত্যুর কথা কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে তাঁদের জানানো হয়নি। অনেক আগেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে সন্দেহ বাবার। সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন স্পষ্ট বলে দাবি। কলেজ জানায় ছেলে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু, বাড়ির লোকজনকে না জানালেও পুলিশকে জানায় কলেজ। পরে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ অভিযোগ নেয়নি বলে অভিযোগ। সংবাদমাধ্যমকেও জানাতে নিষেধ করে। অভিযোগ, কয়েকজন ছাড়া হোস্টেলের বাকি ছাত্রদের সঙ্গেও কথা বলতে দেওয়া হয়নি পরিবারের কাউকে।
এই নিয়ে যদুপুর গ্রামে বাড়ছে ক্ষোভের আগুন। দীর্ঘসময় কলেজে তৌহিদের দেহ পড়ে থাকলেও কেন কেউ ব্যবস্থা নিল না, কেন বাড়িতে জানানো হল না, সেই প্রশ্ন তুলছেন সকলে। এই বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। যোগাযোগের চেষ্টা করা হয় বিধায়কের সঙ্গে। কোনও কোনও তরফেই কোনও সাড়া মেলেনি।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)