Malda: রানি ভিক্টোরিয়ার তৈরি সমাধিস্থল ভেঙে চলছে নির্মাণ, বিস্ফোরক অভিযোগ বিরোধীদের

Malda: ভিক্টোরিয়া রানি হলে তাঁর নিজস্ব ফান্ড থেকে তিনি তৈরি করে দেন এই সমাধিস্থল। পাশেই রয়েছে পুকুর। চারদিকে সুবিশাল গাছ দিয়ে ঘেরা জায়গা।

Malda: রানি ভিক্টোরিয়ার তৈরি সমাধিস্থল ভেঙে চলছে নির্মাণ, বিস্ফোরক অভিযোগ বিরোধীদের
এই সেই পুকুর
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 09, 2023 | 5:42 PM

মালদহ: রানি ভিক্টোরিয়ার তৈরি ঐতিহাসিক স্থাপত্য ভেঙে, প্রাচীন গাছ কেটে, প্রাচীন পুকুর বুজিয়ে হচ্ছে নির্মাণ। এমনই অভিযোগ উঠল মালদহের ইংরেজবাজারে। ১০০ দিনের কাজের টাকা দিয়ে ওই নির্মাণ কাজ করছেন প্রোমোটার, এমন অভিযোগও উঠেছে। এই ঘটনায় ব্লক প্রশাসন, পুর কর্তৃপক্ষ, পঞ্চায়েত সমিতির বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছেন বিরোধীরা। সরব হয়েছে এলাকার গবেষক, ইতিহাসবিদ থেকে শুরু করে পরিবেশ রক্ষাকারী বিভিন্ন সংগঠন। মূল অভিযোগ প্রাক্তন পুর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।

মালদহ শহরের মাঝখানে রয়েছে ইংরেজবাজার ব্লক প্রশাসনের দফতর। তার ঠিক পিছনেই রয়েছে রানি ভিক্টোরিয়ার নিজস্ব ফান্ড দিয়ে তৈরি পুকুর ও সমাধিস্থল। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন ওই এলাকায় ছিল বহু প্রাচীন গাছও। আর এই পুকুর বুজিয়ে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে বলেই অভিযোগ উঠেছে। সব গাছ কেটে দিয়ে, পুকুরের অনেকটা বুজিয়ে নাকি তৈরি করা হয়েছে যায় মার্কেট কমপ্লেক্স। আর সেই নিয়ে তদন্ত করতে গিয়ে বর্তমান পুর কর্তৃপক্ষ, প্রশাসনিক আধিকারিকদের চক্ষু চড়কগাছ। পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর দাবি, বাম আমলেই এসব কাজ হয়েছে। সেই ফাইল লোপাট করা হয়েছে বলেও অভিযোগে জানিয়েছেন তিনি।

অভিযোগ, পুর এলাকায় জমি মাফিয়ারা এই সব কাজ করেছে ১০০ দিনের কাজের টাকায়। ৩০ লক্ষ টাকা খরচ করে ঐতিহাসিক নির্দশন ভাঙা হয়েছে বলে অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে প্রাক্তন বিডিও, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, ইংরেজবাজার পুরসভার এক প্রাক্তন চেয়ারম্যান এবং তিন ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। পুরো বিষয়টি জানাজানি হতেই সেই ফাইল পর্যন্ত লোপাট করা হয়েছে বলে অভিযোগ।

বিভিন্ন সংগঠনের দাবি, সিমেট্রি রোড, যার পাশেই ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সময়কার সমাধিস্থল রয়েছে, সেখানে একসময় ম্যালেরিয়ায় মহামারী শুরু হওয়ায় এলোমেলো ভাবে সমাধি দেওয়া হত। পরবর্তীতে ভিক্টোরিয়া রানি হলে তাঁর নিজস্ব ফান্ড থেকে তিনি তৈরি করে দেন এই সমাধিস্থল। পাশেই রয়েছে পুকুর। চারদিকে সুবিশাল গাছ দিয়ে ঘেরা জায়গা। অনেক পরে এই এলাকায় তৈরি হয় ব্লক অফিস। এই ঐতিহাসিক নিদর্শন সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে বলেই অভিযোগ।