Malda : ১৮ বছর বয়সের আগেই TET পরীক্ষায়? TV9 বাংলার হাতে সুইটির শংসাপত্র

Malda : নিয়ম মেনে চাকরি পেলেও এমন অভিযোগে মর্মাহত সুইটি দাস। তাঁর বিরুদ্ধে কেন এমন অভিযোগ উঠছে তা নিয়ে ধন্দে তিনি।

Malda : ১৮ বছর বয়সের আগেই TET পরীক্ষায়? TV9 বাংলার হাতে সুইটির শংসাপত্র
সুইটি দাস
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 25, 2022 | 1:27 PM

মালদা : প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের টেট পরীক্ষায় দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি হারিয়েছেন ২৬৯ জন। এই তালিকায় তাঁর নাম নেই। কিন্তু, তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, নির্দিষ্ট বয়সের থেকে কম বয়সেই তিনি পরীক্ষায় বসেছিলেন। প্রথমে এই অভিযোগ নিয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তিনি মুখ না খোলায় তাঁকে নিয়ে জল্পনা আরও বাড়ে। অবশেষে মুখ খুললেন মালদার বুলবুলচণ্ডী এলাকার সুইটি দাস। জানালেন, তিনি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের নিয়ম মেনেই নির্দিষ্ট বয়সে পরীক্ষা দেন। নিজের শংসাপত্রও দেখান তিনি।

চলতি বছরের ২৮ মার্চ চাকরি পেয়েছেন সুইটি। তাঁর বাবার নাম উত্তম দাস। তিনি হবিবপুর পঞ্চায়েত সমিতির বিজেপির সদস্য। সুইটির বিরুদ্ধে অভিযোগ, আঠারো বছর বয়স হওয়ার আগে প্রাথমিকে চাকরির জন্য টেট দিয়েছিলেন তিনি।

অভিযোগ নিয়ে কী বললেন সুইটি?

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের জন্য ২০১৪ সালে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এরপর ২০১৫ সালে সেই বিজ্ঞপ্তি আবার জারি হয়। তাতে বলা হয়, ২০১৫ সালের ২৫ মে-র আগে যাঁরা উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছেন, তাঁরা পরীক্ষায় বসার যোগ্য। সুইটি বলেন, “আমি ২০১৪ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছি। আর আমার জন্ম ১৯৯৬ সালের সাত ডিসেম্বর। ফলে আমি নির্দিষ্ট বয়সের থেকে কম বয়সে পরীক্ষা দিইনি। আমার যদি আঠারো বছর না হত, আমি অ্যাডমিট কার্ড পেতাম না।”

Primary TET

১৯৯৬ সালের ৭ ডিসেম্বর জন্ম সুইটির

ওই পরীক্ষায় বসার জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা কী ছিল?

প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, উচ্চ মাধ্যমিকে ৫০ শতাংশের বেশি নম্বর পেলে ওই পরীক্ষায় বসা যেত। তফসিলি জাতি, উপজাতি, ওবিসিদের জন্য নম্বরে ৫ শতাংশ ছাড় ছিল। আর যাঁরা স্নাতক পাশ করে পরীক্ষায় বসেছেন, তাঁদের কোনও নির্দিষ্ট নম্বর ছিল না। স্নাতক পাশ হলেই হবে। নিজের উচ্চ মাধ্যমিকের শংসাপত্র দেখিয়ে সুইটি বলেন, “উচ্চ মাধ্যমিকে আমার ৫০ শতাংশের বেশি নম্বর ছিল। ফলে এক্ষেত্রেও পরীক্ষায় বসার কোনও অসুবিধা ছিল না।”

Primary TET

উচ্চ মাধ্যমিকে ৫০ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়েছেন সুইটি দাস

কীভাবে চাকরি পেলেন সুইটি ?

২০১৫ সালের ১১ অক্টোবর টেট হয়। ২০১৬ সালে নিয়োগের প্রথম তালিকা প্রকাশিত হয়। দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশিত হয় ২০১৭ সালে। দ্বিতীয় তালিকায় থাকা ২৬৯ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। সুইটি জানান, তিনি দ্বিতীয় তালিকায় চাকরি পাননি। টেটের প্রশ্নপত্রে ভুল থাকায় মামলা হয়েছিল। এই নিয়ে কমিটিও গঠন করেছিল হাইকোর্ট। তারপর হাইকোর্ট উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়নের রায় দিয়েছিল। তাতেই এ বছরের ২৮ মার্চ তিনি চাকরি পেয়েছেন। হরিপুর ফোর্থ প্ল্যান প্রাইমারি স্কুলে চাকরি করছেন তিনি।

Malda

সুইটি দাসের নিয়োগপত্র

নিয়ম মেনে চাকরি পেলেও এমন অভিযোগে মর্মাহত সুইটি দাস। তাঁর বিরুদ্ধে কেন এমন অভিযোগ উঠছে তা নিয়ে ধন্দে তিনি। কেন তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হল, তা বুঝতে পারছেন না। তিনি বিজেপি নেতার মেয়ে বলেই এমন অভিযোগ তোলা হচ্ছে কি না, সেই প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয় কেউ কেউ।