Swasthya Sathi: পেশায় ভাগচাষি! সর্বস্বান্ত হয়েছেন চিকিৎসায়, মেলেনি স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধাও, পরে অ্যাম্বুলেন্সে ফিরল নিথর দেহ

Malda: মালদার ঋষিপুর অঞ্চলের চাঁদপুর গ্রামের ঘটনা। মৃতের নাম চণ্ডী মণ্ডল (২৬)।

Swasthya Sathi: পেশায় ভাগচাষি! সর্বস্বান্ত হয়েছেন চিকিৎসায়, মেলেনি স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধাও, পরে অ্যাম্বুলেন্সে ফিরল নিথর দেহ
মৃত ভাগ চাষি (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 29, 2022 | 9:04 AM

মালদা: চালের বস্তা তুলতে গিয়ে চোট লেগেছিল মেরুদন্ডে। ব্যথায় ছটফট করতে থাকেন যুবক। গরিব পরিবারের ভরসা ছিল স্বাস্থ্য-সাথী কার্ড। ভেবেছিলেন কিছুটা হয়ত সুরাহা হবে। কিন্তু আদতে হল কি? হল না। এই হাসপাতাল ওই হাসপাতাল করে শেষমেশ হল মৃত্যু।

মালদার ঋষিপুর অঞ্চলের চাঁদপুর গ্রামের ঘটনা। মৃতের নাম চণ্ডী মণ্ডল (২৬)। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন হবিবপুরের দক্ষিণ চাঁদ পুর গ্রাম। সেই গ্রামের বাসিন্দা দরিদ্র চণ্ডী মণ্ডল পেশায় কৃষি শ্রমিক। তাঁর বাবা রবি মণ্ডল ও কৃষি শ্রমিক। অন্যের জমিতে কাজ পেট চলে তাঁদের।

কাজের সময় ধানের বস্তা তুলতে গিয়ে শিড়দাঁড়ায় চোট পান চণ্ডী। তারপর থেকে শয্যাশায়ী। স্ত্রী-র নামে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড। সেই নিয়ে বিভিন্ন নার্সিংহোমে দৌড়েছেন। কিন্তু লাভের লাভ কিছুই হয়নি। সকলেই মুখ ফিরিয়েছে। বাধ্য হয়ে ছুটে গিয়েছেন মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেও তিন দিন চিকিৎসা ছাড়াই পড়ে থাকতে হয়েছে বলে অভিযোগ। পরে স্থানীয়রা দায় ছেড়ে দেন তাঁরা।

এরপরে তাঁর পরিবার বাধ্য হয়ে আবার চগুটে যান স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে নার্সিংহোমগুলিতে। কিন্তু তাও ফিরে আসতে হয়। এরপর বাধ্য হয়ে নিজেদের সম্পদের একমাত্র সম্বল একটি গরুটিকে বিক্রি করেন ১৭ হাজার টাকায়। পরে আবার হাসপাতালের দালালদের খপ্পরে পরেন। প্রায় লাখ টাকা দাবি করে তাঁরা। অগত্যা এক সমাজসেবীর সাহায্যে তাঁরা কলকাতা রওনা দেন গৌড় এক্সপ্রেসে। কিন্তু শিয়ালদহ ঢোকার আগেই মৃত্যু হয় তাঁর। হাতে গরু বিক্রি করা টাকা থেকে সাড়ে চোদ্দ হাজার টাকা খরচ করে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে মৃতদেহ বাড়ি নিয়ে আসেন তাঁরা।

মৃতের বাবা বলেন, ‘স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলাম। কিন্তু কোনও সুবিধাই পেলাম না। ট্রেনের মধ্যেই ছেলেটা মারা গেল। কোনও ডাক্তারই দেখেনি। সবাই শুধু স্থানান্তর করছিল।’