Malda News: তৃণমূলের দুই পঞ্চায়েত সদস্য নাকি BLO, নালিশ জানাতে ছুটল BJP

তাঁদের দু'জনের মধ্যে একজন প্রাথমিকের পার্শ্ব শিক্ষক ও একজন শিক্ষক। বিএলও পদ থেকে নাম বাতিলের দাবিতে রাজ্য নেতৃত্ব ও নির্বাচন কমিশনকে কাছে অভিযোগ জানিয়েছে উত্তর মালদহ সাংগঠনিক বিজেপি নেতৃত্বরা। আর এই ঘটনায় সরগরম রাজনৈতিক মহল।

Malda News: তৃণমূলের দুই পঞ্চায়েত সদস্য নাকি BLO, নালিশ জানাতে ছুটল BJP
তৃণমূল নেতাই যখন BLO!Image Credit source: Tv9 Bangla

| Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Nov 01, 2025 | 4:27 PM

মালদহ: আবার তৃণমূলের দুই পঞ্চায়েত সদস্য বিএলও (BLO)। মালদহের মানিকচক ব্লকের পর এবার হবিবপুর ব্লকের বিএলও-দের তালিকায় মঙ্গলপুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের দুই সদস্যের নাম রয়েছে বলে অভিযোগ। তাঁদের দু’জনের মধ্যে একজন প্রাথমিকের পার্শ্ব শিক্ষক ও একজন শিক্ষক। বিএলও পদ থেকে নাম বাতিলের দাবিতে রাজ্য নেতৃত্ব ও নির্বাচন কমিশনকে কাছে অভিযোগ জানিয়েছে উত্তর মালদহ সাংগঠনিক বিজেপি নেতৃত্বরা। আর এই ঘটনায় সরগরম রাজনৈতিক মহল।

জানা গিয়েছে, মালদহের হবিবপুর ব্লকের বিএলওর-দের যে তালিকা রয়েছে সেখানে মঙ্গলপুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের ১২৪ নম্বর বুথের তৃণমূল সদস্য পেশায় পার্শ্ব শিক্ষক অসীম সরকারের নাম রয়েছে। অন্যদিকে, ১২৫ নম্বর বুথে তৃণমূল সদস্য তথা শিক্ষক মাতিয়াস মার্ডির ও নাম রয়েছে বলে দাবি। বিজেপি এও দাবি করেছে, এই দুজনই হবিবপুর বিধানসভার মঙ্গল পুরো গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের সদস্য।

উত্তর মালদা বিজেপি সভাপতি প্রতাপ সিং বলেন, “নির্বাচন কমিশনের গাইডলাইন মেনে বিএলও নিযুক্ত হওয়ার কথা। হবিবপুর বিধানসভা কেন্দ্রের মঙ্গলপুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের ১২৪ নম্বর বুথে দেখা যাচ্ছে অসীম সরকার একজন পার্শ্ব শিক্ষক। তিনি আবার তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য। অন্যদিকে মাতিয়াস মার্ডি শিক্ষক। তিনি তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। আমরা অভিযোগ করেছি। কিন্তু তারপরও তারা এখনো বিএলও নিযুক্ত রয়েছেন দেখছি। এখানে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশকে এখনো মান্যতা দেওয়া হয়নি।”

এ বিষয়ে হবিবপুর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি স্বপন সরকার বলেন, “বিজেপির পায়ের তলার মাটি সরে যাচ্ছে বলে এরকম অভিযোগ তারা করছে। আমাদের হবিবপুর ব্লকের মঙ্গলপুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের ১২৪ এবং ১২৫ নম্বর বুথের তৃণমূলের সদস্য অসীম ও মাতৃয়াস তাদের নাম বিএলও লিস্টে এবার আছে। তারা নিরপেক্ষভাবে সবসময় মানুষের পাশে থাকে। বিজেপি মঙ্গলপুরা গ্রাম পঞ্চায়েত আগে তাদের দখলে ছিল। বর্তমানে তাদের দখলে নেই। যার ফলে তারা খুব দুশ্চিন্তায় পড়েছে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুসারে তারা কাজ করবে। যার ফলে বিজেপি সবকিছুতেই রাজনীতি দেখছে।”