Malda : চাকরি না পেয়ে ১৬ লক্ষ টাকা ফেরত চাইতেই যুবতীকে মারধর, পাল্টা ‘প্রতারক’ তৃণমূল নেতাকে গণপ্রহার

Malda: এদিন হরিশচন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালের কাছে আসেন জাহাঙ্গির আলম। খবর পেয়েই তাঁর কাছে টাকার জন্য যান পুতুল নেশা পারভিন। তখনই ঘটে এ ঘটনা।

Malda : চাকরি না পেয়ে ১৬ লক্ষ টাকা ফেরত চাইতেই যুবতীকে মারধর, পাল্টা 'প্রতারক' তৃণমূল নেতাকে গণপ্রহার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 02, 2022 | 11:33 PM

মালদা: চাকরির (Jobs) প্রলোভন দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে (Trinamool Leader)। টাকা চাইতে গেলে এক মহিলাকে ব্যাপক মারধর, গলা টিপে ধরার অভিযোগ উঠেছে। প্রকাশ্য রাস্তায় এ কাণ্ড দেখে পাল্টা তৃণমূল নেতাকে গণধোলাই দিল স্থানীয় বাসিন্দারা। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে মালদার (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুরে। সূত্রের খবর, হরিশ্চন্দ্রপুরের সংগঠন পাড়ার বাসিন্দা আব্দুল গাফফার পেশায় দর্জির কাজ করতেন। মারা গিয়েছেন কিছুদিন আগে। তাঁর স্ত্রী অঙ্গনওয়াড়িতে রান্নার কাজ করেন। তাঁর দুই মেয়ে, পুতুল নেশা পারভিন এবং হাজেরা খাতুন। অভিযোগ, বিধানসভা ভোটের আগে দুই বোনকে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এলাকার তৃণমূল নেতা তথা জয়হিন্দ বাহিনীর জেলা সম্পাদক জাহাঙ্গির আলম। 

অভিযোগ, এক বোনকে অঙ্গনওয়াড়ির সুপারভাইজার এবং অন্য বোনকে অঙ্গনওয়াড়ির শিক্ষিকার চাকরি করে দেবেন বলে প্রলোভন দেখিয়ে ছিলেন জাহাঙ্গির। বদলে দিতে হবে ১৬ লক্ষ টাকা। শাসকদলের উপর মহলে তাঁর ‘কানকেশন’ আছে বলেও জানান। টাকা দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে চাকরি হয়ে যাবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন। নেতার কথা শুনে চাকরির আশায় নিজেদের শেষ সম্বল জমি বেচে এবং সঞ্চিত কিছু অর্থ থেকে ওই নেতাকে টাকা দিয়েছিলেন দুই বোন। কিন্তু চাকরি দূর অস্ত, দেড় বছরের বেশি সময় পার হয়ে গেলেও টাকা ফেরত পাননি তাঁরা। টাকা চাইতে গেলে বারবার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। 

এদিন হরিশচন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালের কাছে আসেন জাহাঙ্গির আলম। খবর পেয়ে তাঁর কাছে টাকার জন্য যান পুতুল নেশা পারভিন। অভিযোগ, সেই সময় তাঁকে গলা টিপে ধরে পেটে লাথি মারেন ওই তৃণমূল নেতা। প্রকাশ্য দিবালোকে এক মহিলাকে মারধর করতে দেখায় ছুটে আসেন এলাকার বাসিন্দারা। পাল্টা ওই নেতাকে গণপ্রহার দেন এলাকার বাসিন্দারা। খবর যায় পুলিশে। পুলিশই আটক করে নিয়ে যায় জাহাঙ্গিরকে। আহত অবস্থায় হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় পুতুলকে। সেখানেই চলে প্রাথমিক চিকিৎসা। ইতিমধ্যেই হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন পুতুল। সঙ্গে টাকা ফেরতের দাবিও করেছেন। একইসঙ্গে গায়ে হাত তোলার জন্য ওই নেতার কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন দুই বোন। যদিও অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার দাবি তিনি কোনও টাকা নেননি।

ঘটনা প্রসঙ্গে পুতুল নেশা পারভিন বলেন, “আমি ১৬ লক্ষ টাকা দিয়েছিলাম। আমাকে আর আমার বোনকে আইসিডিএসের চাকরি দেবে বলে টাকা নিয়েছিল জাহাঙ্গির আলাম। ও তৃণমূল করে। বাড়িতে টাকা চাইতে গেলে ওর বউ মারছে। বলছে আর টাকা চাইতে আসবে না। আজ ওকে দেখতে পেয়ে টাকা চাইতে গেলে আমাকে মারধর করে।” হরিশচন্দ্রপুর তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান সঞ্জীব গুপ্তা বলেন, “ঘটনার কথা আমি শুনেছি। আমরা দলগতভাবে মহিলার পাশে রয়েছি। পুলিশকেও আইনতভাবে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। তৃণমূলের নাম করে অনেক দালাল টাকা তোলে। ও যে দলেরই হোক, দোষী হলে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। দল কখনও দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয় না।”