TET 2022: ‘হঠাৎ স্কুলে ঢুকল ৪-৫ যুবক, মোবাইল, ইয়ার ফোন রাখছে’, রবিবার ওই স্কুলেই টেট…
Malda News: ২০১৭ সালের পর ফের ১১ ডিসেম্বর প্রাথমিকের টেট। নিঃসন্দেহ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
মালদহ: আগামী রবিবার প্রাথমিকের টেট (TET)। তার আগে বিস্ফোরক অভিযোগ উঠল মালদহের নিবেদিতা গার্লস হাইস্কুলে। এই স্কুলে টেট হবে। সেখানেই জোর করে ঢুকে মোবাইল, হেড ফোন রাখার চেষ্টার অভিযোগ উঠল একদল যুবকের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার ওই স্কুলের বিভিন্ন জায়গায় মোবাইল ফোন রাখার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। প্রধান শিক্ষিকার অভিযোগ, তিনি বাধা দিতে গেলে জোর করে হুমকি দেওয়া হয় তাঁকে। বাধ্য হয়ে ইংরেজবাজার পুলিশের দ্বারস্থ হন বলে জানান তিনি। মাঝে আর একদিন। তার আগে এমন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ ঘিরে শোরগোল এলাকায়। ২০১৭ সালের পর আর টেট হয়নি। ১১ ডিসেম্বর প্রাথমিকের টেট পরীক্ষা হবে। ৭-৮ লক্ষ আবেদন জমা পড়েছে এবারের টেটের জন্য। কড়া নজরদারিতে এবারের টেট হবে স্কুলে স্কুলে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ টেটের গাইডলাইনও জারি করেছে। স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়েছে, পরীক্ষাকেন্দ্রে কোনও ইলেকট্রনিক্স গেজেট নিয়ে ঢোকা যাবে না। পরীক্ষাকেন্দ্রের সামনে থাকবে বায়োমেট্রিক সিস্টেম। সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টে অবধি পরীক্ষা। এই সময় পরীক্ষাকেন্দ্রসংলগ্ন সমস্ত জেরক্স দোকান বন্ধ রাখতে হবে। কোনও গোলমাল নজরে এলে খবর দিতে হবে সেন্ট্রাল কন্ট্রোল রুমে।
পর্ষদ যখন কঠোর নিরাপত্তায় টেটের আয়োজন করছে, তখন মালদহের এক বালিকা বিদ্যালয়ে উঠে এল চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। মালদহের নিবেদিতা গার্লস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সোমা ভাদুড়ির কথায়, ” বৃহস্পতিবার বিকেল প্রায় সাড়ে ৪টে। আমরা স্কুল থেকে বের হব। অন্যান্য শিক্ষিকা সবে বেরিয়েছেন। আমি আর চারজন অফিস স্টাফ ছিলাম। হঠাৎ দেখি স্কুলের মেইন গেট দিয়ে ৫-৬ জন ছেলে ঢুকে গেল। আমরাও হইহই করে বেরিয়ে আসি। দেখি স্কুলের করিডর দিয়ে উপরে যাচ্ছে, কেউ গাছে উঠছে, কেউ আবার টয়লেটের দিকে একটা সানশেড রয়েছে সেখানে উঠছে। আমাদের গার্লস স্কুল, কোনও পুরুষ কর্মী নেই। আমরাই চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করলাম। কিছুতেই গুরুত্ব দিচ্ছিল না। যখনই বললাম থানায় ফোন করছি, তখন ওই ছেলেরা বলছে, টয়লেটে যাবে বলে এসেছে। আমি বললাম এটা তো টয়লেট করতে আসার জায়গা নয়। হঠাৎ দেখি একটা প্লাস্টিকে মোড়া কী যেন ছুড়ে মারল।”
সোমাদেবীর কথায়, এরপরই তাঁদের এক স্টাফ দেখেন কালো প্লাস্টিক রাখা রয়েছে। তাতে একটা সেলফোন, একটা ইয়ার ফোন রাখা। প্রধান শিক্ষিকার কথায়, “ওদের কী উদ্দেশ্য আমি জানি না। তবে রবিবার যেহেতু একটা বড় পরীক্ষা, হয়ত কোনও সহযোগিতা পাওয়ার জন্য কাজটা করে থাকতে পারে। আমি আমার অফিসার ইনচার্জকে সঙ্গে সঙ্গে ফোন করি। উনি জানান জিডি করুন। কারণ এ নিয়ে কোনও ঝুঁকি নেওয়া যাবে না। এরপরই জিডি কপি তৈরি করে থানায় যাই। একইসঙ্গে পরীক্ষার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বিভিন্ন জায়গায় জিডির কপি, চিঠি দিয়ে এসেছি।” প্রধান শিক্ষিকার কথায়, সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা হোক, সেটাই চাওয়ার। প্রশাসন আরও সক্রিয় হয়ে ময়দানে নামুক চান তিনি।